এই খানে মোর ঘর ছিলো,
যেটা ছন খড়েতে ছাওয়া।
তপ্ত দুপরে ক্লান্ত,
দেহ শান্ত করে হাওয়া।
তুমি তখন খুবই ছোট।
কেবল একপাঁ দু পাঁ হাটো।
সারাটি উঠান ঘুরে ঘুরে,
তুমি দুষ্টুমিতেই মাতো।
উঠানের কোণের ডালিম,
গাছে ছোট্ট পাখির বাসা।
তাকে ঘিরে সেই পাখিটির,
ছিলো শত রঙ্গিন আশা।
তা নিয়ে তুমি করতে খেলা।
হাসি থাকতো তোমার মুখে।
কভু যদি উড়ে যেত পাখি,
কেঁদেই সারা করতে দু: খে।
সকাল বেলা লাঙ্গল কাঁধে,
চলে যেতাম যখন মাঠে।
তোমার মায়ে কলসি কাঁখে।
ঘোমটা দিয়ে পুকুর ঘাটে।
দুপুর বেলায় ফিরতাম,
যখন ধূলা থাকতো গা' তে।
পাখা দিয়ে করতো বাতাস,
নিয়ে সরবত পানি হাতে।
পানির গ্লাস দিয়ে হাতে,
দিতো মুচকি মধুর হাসি।
তাযে কতো পরিচিত ছিলো?
আজও নয়নে উঠে ভাসি!
বিকেল বেলা মরিচ,শসা,
নিয়ে বেচতে যেতাম হাটে।
বদন খানি মলিন হতো।
শেষে আধার নামতো পাঁটে।
বাজার হতে ফিরতে যদি,
কোন দিন হতো মোর রাত।
অভীমানে সে ঘুমিয়ে যেতো,
কভু খাইতনা তার ভাত।
ঈদের কালে নতুন শাড়ী,
যখন কিনে দিতাম তারে।
শরীরে জড়ায়ে রাত্রিবেলা,
ঘুরিতো আমার চারিধারে।
ঈদের সকালে সে সালাম,
করিত হাসি হাসিয়া পাঁয়।
তার হাসিই বলিয়া দিতো,
সে ঈদের সালামী চায়।
এইভাবেতে মোর চলিতে,
ছিলো নতুন রঙ্গিন বেলা।
সব কিছু আধারে গ্রাসিলো।
মোর ডুবিলো আশার ভেলা।
হঠাৎ কঠিন রোগে চলে,
গেলো দিয়ে বেদনা পাহাড়।
অশ্রুতে তারে বিদায় দিয়ে।
আজ খুজি পাজরের হাড়।
হাটহতে ফিরলে দেরিতে,
অভীমানে মাথা নাহি তোলো।
সেই তুমি হায়রে মাটির,
দেশেতে কেমনে মোরে ভুলো?
হায় হায় আর যে পারিনা।
পাজর যায় মোর ছিড়ে।
তার কথাই আজ কানেতে,
বাজে শত স্মৃতির ভীড়ে।
ধর ধর মা বুকটা ফাটে।
বসা বিছানায় হাত ধরি।
দোয়া কর যেনো আমি তার,
মিলনে কালেমা পরে মরি
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
কবিতায় স্ত্রীর সাথে স্বামির মিলনের ব্যাকুলতার কথা স্সৃতি বর্ননার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
২৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী