দূরত্ব

মা (মে ২০১৯)

Ahad Adnan
  • ৬৬৮
‘কত দিন হয়ে গেল, আকাশটা দেখি না। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে...’ ঘণ্টা খানেকের মধ্যে শ খানেক লাইক পড়েছে স্ট্যাটাসটায়। নিবিড় অবাক হয় না মোটেই। এত এত মানুষ ব্যস্ত জীবনটার মাঝে সামাজিক এই মাধ্যমটায় কেমন বুঁদ হয়ে থাকে। অযথাই কতজন কত স্ট্যাটাস দেয়। তাতে আবার কত লাইক জমা পড়ে। পাল্টা মন্তব্যের লোকেরও অভাব হয় না।
‘আকাশ খুব দূরের জিনিস। আয়নায় নিজের চেহারাই ঠিকমতো দেখা হয় না। কী অদ্ভুত, তাই না!’
‘ছোটবেলায় মেঘ দেখলেই ছাদে দৌড়ে যেতাম। একটু যদি বৃষ্টির ছোঁয়া পাওয়া যায়। আজকাল বৃষ্টি দেখলেই একটা অস্বস্তি ভাব পেয়ে বসে। আকাশ দেখতেও ইচ্ছে করে না।’
‘মনে আছে দোস্ত, দ্বিতীয় বর্ষ ফাইনালের পর দল বেঁধে গিয়েছিলাম সেন্ট মার্টিন? সারা রাত খোলা আকাশের নিচে সবাই। পূর্ণিমার আলো খোলা গায়ে মাখা। সেই প্রথম, সেই শেষ। তোরও কি সেই শেষ আকাশ দেখা?’
‘নস্টালজিয়া দোস্ত। স্মৃতি খুবই সংক্রামক।’
‘দুলাভাই, কবি হয়ে গেলেন নাকি। রাতে কোনো স্পেশাল আইটেম আছে নাকি।’
একটি মাত্র স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মন্তব্যের খেলা জমে উঠেছে। ঝড় বলা চলে কি?
ব্যস্ত রাজধানীর গুমোট বাঁধা বৈশাখের রাতটা কারও কারও কাছে জম্পেশ হয়ে ওঠে। সেই শহরেরই এক মাঝবয়সী মহিলা, ফেসবুক বন্ধুও বটে। স্ট্যাটাসটা পড়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়েন। তাঁর কাঁপা কাঁপা হাত যায় ল্যাপটপের বোতামে। ‘একই শহরে, একই দালানে, একই ফ্ল্যাটে আমাদের বাস। আমার সাথেই তোর দেখা হয় না কত দিন। আকাশ তো জানালাতে উঁকি মারে। বাবা রে, আমি তোর মা। অথচ এই আমি আজ আকাশ থেকেও কত দূরে।’
চোখ দুটো ভিজে গেছে মহিলার। ভেজা চোখের সামনে দুটি লেখা ভাসছে। ‘cancel’ আর ‘post’। না জানি কোনটায় চাপ পড়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মুহম্মদ মাসুদ স্কিপ্টটা বেশ ভালো। আরেকটু বাড়তি বিবরণ হলে ভালো হতো। কিছু সময় মায়ের জন্য রাখতে অনুরোধ করছি। শুভ কামনা। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো।
রণতূর্য ২ গল্পের প্লট অসাধারণ।কিন্তু আরো একটু বড় হতে পারত।আমাদের সোসাল সাইটের বাইরেও মায়ের জন্য সময় বের করতে হবে।ভোট ও শুভকামনা রইল।আমার পাতায় রইল আমন্ত্রণ। মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা যোগাবেন আশা করি।
রণতূর্য ২ গল্পের প্লট অসাধারণ।কিন্তু আরো একটু বড় হতে পারত।আমাদের সোসাল সাইটের বাইরেও মায়ের জন্য সময় বের করতে হবে।ভোট ও শুভকামনা রইল।আমার পাতায় রইল আমক

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মা ছেলের চিরায়ত সম্পর্ক এই যান্ত্রিক সময়ে কি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের কাছের মানুষদের আমরা দূরে ঠেলে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত। তাদের না বলা, কান্না, ব্যথার প্রতিধ্বনি কি শুনতে পাই আমরা? এই সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান দূরত্ব নিয়েই এই গল্প।

২৩ সেপ্টেম্বর - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৪১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪