শিকড় - একটি বটগাছের আত্মকাহিনী

বাবারা এমনই হয় (জুন ২০১৯)

মুহম্মদ মাসুদ
  • 0
  • 0
  • ৬৪
নিশ্চুপ হয়ে ঘরের কোণে বসে রয়েছি। আর বারান্দায় ঝড়ে ওলট-পালট করে দিচ্ছে সবকিছু। কখনো দমকা হাওয়া আবার কখনো মেঘের গর্জনে পরিবেশটা জ্বলছে আর নিভছে। মুখ বন্ধ করে সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না। হঠাৎই –
মন খারাপ করেছিস? মন খারাপ করিসনা আমার বাপ। আমিতো আছি। যা বাইরে থেকে ঘুরে আয়। তো আব্বু বাইরে যাক তারপর এসে টাকা নিয়ে যাস।
মা বুঝি এরকমই। সারাজীবন বন্ধুর মতো এভাবেই সাহায্য করছে বারবার। এভাবেই পাশে থেকে সাহস দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাত বুলিয়ে দিচ্ছে কপালে। শতশত বায়না চুপেচুপেই পূরণ করে দিচ্ছে অবিরত।
যাচ্ছো যাও। তোমাকে যেন আর বাড়িতে না দেখি। যতই দিন যাচ্ছে ততই আরও বাঁদর হয়ে যাচ্ছে। তোমাকে দিয়ে আমার কিছু হবে না। তোমার মতো ছেলে আমার লাগবে না। অমুকের ছেলে দেখো - পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করে বাবাকে সাহায্য করছে। আর নিজে এখনো বাবার কাঁধে বর করে ঢেউ খেলছে।
এভাবেই প্রতিনিয়ত বাবা আমাকে গালমন্দ করে। প্রতিদিন সকালে খাবার খাওয়ার সময়। আবার রাতের টেবিলে সহ্য করতে হয় প্যানপ্যানানি আর ঘ্যানঘ্যানানি।
রাতে যখন ঘুমের ঘোরে সদ্য পা রেখেছি ঠিক তখনই মাথায় কোমলমতি হাতের স্পর্শে ঘুম ভেঙে যেত রোজরোজ।
বাবা বলতো - কিরে! রাগ করেছিস? না হয় একটু বকেছি তাই বলে কি আমার সাথে কথা বলা যায় না? তুইও একদিন বাবা হবি। সেদিন বুঝতে পারবি সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য বাবা-মা কতো চিন্তা করে।
আজ বছর তিনেক পার হলো। বাবা! কেন আজ তোমার সেই বকবকানি, প্যানপ্যানানি শুনতে পাইনা? কেন আজ তোমার সেই স্পর্শটুকু, অভিমানী আদরটুকু আমার মাথায় স্পর্শ করে না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

পৃথিবীর সকল বাবারাই তার সন্তানের কাছে বটগাছের মতো। সন্তানের হাঁটতে শেখা থেকে শুরু করে চাকরি বা কর্মজীবন পর্যন্তও বাবার দায়িত্ব শেষ হয় না। অনেক বাবাতো সন্তানকে এতো বেশি ভালবাসে যে একটু উঁচু গলায় পর্যন্ত কথা বলে না। যদিওবা কখনো মনের অজান্তে বলে ফেলে তাহলে নিশ্বাস বন্ধ করে হাউমাউ করে কাঁদতে বাকি থাকে। পৃথিবীর সকল বাবারাই বুঝি এরকমই। ভালো থাকুক সকল বাবা।

৩০ মে - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৪৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪