ছলনাময়ি ভালবাসা

কোমল (এপ্রিল ২০১৮)

মোকছুদুর রহমান
সাগরের নিলাভ জলরাশির দিকে তাকিয়ে মহিন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে আর বলতেছে “তিশা তুমি আমার সাথে এমন কেন করলে, কি দোষ ছিল আমার”।রসুলপুর গ্রামের ছেলে মহিন সে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান।সে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী ও।নয়াপুর গ্রামের মেয়ে তিশা সে যেমন ছিল রূপবর্তি তেমনি ছিল অনেক বুদ্ধিমতি।মহিন ব্যবসার উদ্দেশ্যে একদিন নয়াপুর গ্রামে আসলে পথে তিশাকে দেখে তখন তিশা দশম শ্রেণিতে পড়ে।সে তিশাকে দেখলে তার প্রতি একটা ভালোলাগা সৃষ্টি হয়।এজন্য মহিন প্রায় সময় তিশার স্কুল এর সামনে দাড়িয়ে থাকতো,এভাবে কয়েকদিন দাড়িয়ে থাকার পর তিশা এটা লক্ষ করল।মহিন ব্যবসার জন্য আসে নয়াপুর কিন্তু এখন তার উদ্দেশ্য তিশাকে দেখতে আশা।প্রায় ১ মাস পর মহিন তার ভালোলাগার কথাটা তিশাকে বলে।তখন তিশা প্রথমে নিষেধ করলে ও পরবর্তিতে রাজি হয়।তারপর থেকে শুরু হয় তাদের ভালোবাসার গল্পটা।তারা প্রতি ৭ দিন পর দেখা করত,দেখা করার সময় মহিন তার জন্য দামি গিফট নিয়ে যেত।এভাবে চলে গেল ছয় মাস।একদিন মহিন তিশার মোবাইলে কল দিয়ে দেখলো যে তিশার নাম্বার ওয়েটিং বার বার চেষ্টা করার পর কল রিসিভ করল,সে তিশাকে কার সাথে কথা বলছ প্রশ্ন করলে সে বলে তার আন্টির সাথে কথা বলছে।এরপর মহিন তিশাকে একটা সিম ও একটা মোবাইল সেট দেয় তার সাথে কথা বলার জন্য।সুন্দর ভাবে তাদের রিলেশন চলছে। আরো কেটে গেল ২ বছর ,তিশা এখন কলেজে পড়ে।মাঝে মধ্যে দুজন বেড়াতে যেত আনেক জায়গায়।একদিন প্রচন্ড শীতের মধ্যে তিশা মহিনকে তার সাথে দেখা করার জন্য।মহিন দেখা করার জন্য ভোর ৪ টায় তার বাড়ি থেকে বের হয়, তাদের দু গ্রামের মাঝে একটা বড় নদী ছিল।সে প্রচন্ড শীতের মধ্যে নৌকা দিয়ে পার হয়,তখন শীতের কাপড়ের বাহিরের অংশ যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে।সকাল ৮ টায় মহিন তিশার সাথে দেখা করে।সে তিশাকে বলে“আচ্ছা আমার এই কষ্টের ভালোবাসা চিরকাল থাকবে তো”তিশা একথা শুনার পর রাগ করে বলে“আচ্ছা তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না”মহিন বললো অবশ্যই করি।কিছুক্ষণ কথা বলার পর তারা চলে গেল।এইভাবে চলে গেল আরো ছয় মাস,হঠাৎ একদিন তিশা কল করে মহিনকে বললো,যে তার পরিবার থেকে তার বিবাহ ঠিক করতেছে।এর পর তাদের আর কোন যোগাযোগ হচ্ছে না,তখন মহিন তার ফুফাতো ভাইকে কল দিয়ে সব বললে,তার ফুফাতো ভাই তিশার বাবাকে সব খুলে বলে,তিশার বাবা তিশাকে জিঙ্গেস করলে তিশা বলে মহিনের সাথে তার কোন সমপর্ক ছিল না। মহিনের ফুফাতো ভাই তিশাকে জিঙ্গেস করলে তিশা বলে মহিনের সাথে তার শুধু বন্ধুত্ব ছিল।মহিন একথা শুনার পর তিশাদের গ্রামে গিয়ে তাদের মেম্বারকে সব খুলে বলে এবং তাদের ছবি গুলো দেখায়,মেম্বার তিশার বাবাকে আসতে বললে তিশার বাবা অজুহাত দেখিয়ে আসেনি।হঠাৎ বিদেশ থেকে একটা কল আসে,রিসিভ করার পর ছেলেটি বলে যে তিশার সাথে তার ৭ বছরের সমপর্ক,মহিন প্রথমে বিশ্বাস করতে পারে নি ,পরবর্তিতে ছেলেটি কিছু প্রমাণ দেখায়।তারপর তার বিশ্বাস হয়।সে তাদের গ্রামের চলে আসে ।মহিন এখনো তিশার কথা ভেবে কাঁদে।কারণ মহিন তিশাকে অনেক ভালোবাসত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী গল্পটি যেহেতু ভালোবাসাকে নিয়ে লিখেছেন, সেহেতু এমন খোলামেলা না বলে আরও গভীরে যেতে পারতেন। আর গল্পে ভাষার মিশ্রণ আছে, দেখে নিবেন আশা করি। চলতে থাকুক কাব্যচর্চা, শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইল....।।
সালসাবিলা নকি ভালো লিখেছেন। লিখতে থাকুন। সামনে আরও ভালো লিখতে পারবেন।
সাদিক ইসলাম শুভ কামনা নতুন পথ চলা দীর্ঘতর হোক কামনা করি। শুভ কামনা ও ভোট।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া স্বাগতম গল্প ও কবিতায়। শুভ হোক এ দীর্ঘ পথযাত্রা। অারো লিখতে হবে। ভাবগুলো মনের মধ্যে জমিয়ে না রেখে বেলুনে উড়িয়ে দিতে হবে..হাওয়ায়.. হাওয়ায়। আসবেন আমার পাতায়।
মৌরি হক দোলা আমাদের প্রিয় গক’তে আপনাকে স্বাগতম! গল্পটা ভালো.... আরো গল্প পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম..... শুভকামনা....

১৩ মার্চ - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪