মুক্তির ফরমান

স্বাধীনতা দিবস (মার্চ ২০১৯)

রণতূর্য ২
  • ২১
  • ১৪০১
"রক্তচোষার দল
ভালোয় ভালোয়
বাংলা এবার
ছাড়বি কিনা বল!"

"কে হাকে?বাঙাল নাকি
রাস্তার ঐ কাঙাল নাকি,
এদেশকে ভাংবি তোরা?
কি করে পারিস দেখি!"

"ওরে ও পাক হানাদার
তাফালিং করিস বেকার,
যখন মোরা নামব পথে
পাবি না পথ পালাবার।"

"গায়ে নেই বস্ত্র তোদের
হাতে নেই অস্ত্র তোদের,
কি করে লড়বি তোরা?
পথে ঘাটে মারব তোদের।"

"শোন তবে নরপশুরা
খালি হাতে লড়ব মোরা,
প্রতিরোধ করব তোদের
গেলে যাক প্রান-ভোমরা।"

"বহাব রক্ত নদী
আরেক পা বাড়াস যদি,
থেমে যা ওখানটাতেই
ধরা খাবি শেষ অবধি।"

"আমরা মুক্তি সেনা
কিছুতেই ভয় করিনা,
দলে দলে শহীদ হয়ে
মেটাব দেশের দেনা।"

"এদেশে গড়ব ঘাটি
মানুষ নয় চাই যে মাটি,
গুনে ফেল শেষের শুরু
আসছে যমের লাঠি।"

"তবে হোক এবার লড়াই
ভেঙ্গে দেব সকল বড়াই,
চেয়ে দেখ কেমন করে
আকাশে পতাকা ওড়াই।"

"ওরা তো আসছে তেড়ে
জল-স্থল-আকাশ ফুড়ে
স্থান হবে এবার আমার
ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।"

"জেগেছি কালো সে রাতে
ভেসে যাবি রক্ত-স্রোতে,
দেখা হবে আবার সেদিন
বিজয়ের রাঙা প্রভাতে"।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নুরুন নাহার লিলিয়ান ভাল লেগেছে । ভোট দিলাম । শুভ কামনা ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নুরুন নাহার :)
Jamal Uddin Ahmed অনেক সুন্দর কবিতা। শুভ কামনা, ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জামাল উদ্দিন ভাই ♥
আবিদ হাসান "ওরা তো আসছে তেড়ে জল-স্থল-আকাশ ফুড়ে স্থান হবে এবার আমার ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।" পাকিস্তানী বাহিনীর করুন দশা চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই লাইন দিয়ে।আপনার কবিতাটি ভালো লাগল।যদিও দুবার পড়ে বুঝতে হয়েছে।
ধন্যবাদ আবিদ হাসান আপনাকে ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।আমার কবিতাটি সংলাপমূলক।আপনাদের ভালো লাগাই আমার অনুপ্রেরনা।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী স্বাধীনতার অঙ্গীকার, খুব সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। তবে কিছু লাইন যথোপযুক্ত নয়,যেমন- হাতে নেই অস্ত্র তোদের; হাতে অস্র না থাকলে তারা ৩০লক্ষ মানুষকে মারছে কিভাবে? জানি বলেবন- সবাইকে কি আর অস্র দিয়ে মারছে, যেভাবে মারুক না কেন, আংশিক ছাড়া তো বাকীসব অস্রের কবলে। এমন আরও কিছু লাইন আছে, আশা করি কবি দ্রুত এইসব কেটে উঠবেন এবং বেশি বেশি পড়বেন ও লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এমন প্রত্যাশায় অনেক শুভ কামনা সাথে শুভেচ্ছা ও ভোট রইল।
ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য। আমি এখানে স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তের চিত্রায়ন করার চেস্টা করেছি।যেখানে হানাদার বাহিনী আমাদের চোখ রাঙিয়ে দাবানোর চেস্টা করছে।যুদ্ধের পূর্বে আপামর জনসাধারনের কাছে অস্ত্র ছিল না।আমার ধারনা আপনি ব্যপারটি ধরতে পারেননি।এখানে কথোপকথন দেওয়া হয়েছে এবং "হাতে নেই অস্ত্র তোদের" এই কথাটি পাক সেনাদের যারা আমাদের মুক্তিকামী জনতাকে ভয় দেখাচ্ছে যেন তারা যুদ্ধে অগ্রসর না হয়।
কবিতাটি সংলাপ মূলক এবং উক্ত চরনটি পাক হানাদারদের করা।তাদের দৃষ্টিতে বাংলার অস্ত্রহীন মানুষ যদি যুদ্ধে নামে তবে পথে ঘাটে মারা পড়বে।এটাই বোঝাতে চেয়েছি।
কাজী জাহাঙ্গীর স্বাধিনতার আকাঙ্খায় উদ্দীপ্ত চেতনার সেই ক্ষণটাকে বেশ ভালো ভাবেই তুলেছেন , অনেক শুভকামনা রইল। এগিয়ে যান দৃপ্ত পায়ে..
প্রত্যেকটা কমেন্ট নিচে ‘প্রত্যুত্তর’ এখানে আপনার রিপ্লাইটা লিখেবেন তাহলে যাকে লিখছেন তিনি নোটিফিকেশন পাবেন, ধন্যবাদ।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য :)
রণতূর্য ২ আনেক ধন্যবাদ কবি বাসু দেবনাথ।শুভকামনা আপনার জন্য।
বাসু দেব নাথ খুবই সুন্দর লাগলো সাহিত্যিক সংগ্রামী ভাষা।
Ms Ahmad ভালো হয়েছে।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে :)

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

উক্ত কবিতায় একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে মুক্তিকামী জনতা ও হানাদার বাহিনীর মধ্যে প্রতিকী কথোপকথন এর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানি শোষকরা কখনো ভাবতেও পারেনি আমরা তাদের সাথে সম্মুখ সমরে যাওয়ার সাহস করব! তাই শুরুতে আমাদের সকল প্রতিবাদের জবাবে তারা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসেছে; হেয়-প্রতিপন্য করেছে; ভীতি প্রদর্শন করে আমাদের দাবিয়ে রাখার চেস্টা করেছে।আমরা যুদ্ধ চাইনি, শান্তি চেয়েছি।কিন্তু শেষে উপায়ন্তর না দেখে বাংলার মুক্তিকামী জনগন স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুদ্ধে নামে। বাংলার মানুষের এই অভূতপূর্ব সাহসীকতা দেখে হানাদার বাহিনী ভীত হয়ে পড়ে।তারা বুঝতে পারে তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে।অত:পর শুরু হয় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।

১৮ ফেব্রুয়ারী - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী