ঝড়

ঝড় (এপ্রিল ২০১৯)

ss cc
  • ৭৯১
আসাদ টিকে গেল তাহলে!
আর জাতিসংঘ; ঐ যে মরা গোনার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি
ধর্ষণকে একটি শীতল সংখ্যায় পরিণত করতে যাদের জুড়ি নেই
তারাও দিনরাত হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
লাশের সংখ্যা একচুলও এদিক-ওদিক হবে না, নিশ্চিত।
ওরা তো শিশুদের খাবারের প্যাকেটও পাঠাচ্ছে আজকাল।
আর কানে ফিসফিস করে বলে যায়-
“তোমরা তো আমাদের অনুকম্পাতেই বেঁচে আছ, নাদান”

কয়েকটা পঙ্গপাল বাতাসে উড়ছিল।
চোখের লোলুপ কামাগ্নিতে জ্বালিয়ে দিল গাঁজা,
আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য
আর আমার মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ।
ওদের নীল গ্লাসের গারদে
টলতে থাকে সী অফ গ্যালিলির সম্ভ্রম।

বিশ্বাস কর, হত্যাকারী সুনামি আসার আগে
এক মুহূর্তের জন্যেও থামেনি ইফানের স্বর,
হারম্যানের গিটার কিংবা এ্যান্ডির ড্রাম।
কিন্তু হঠাৎই একটা ঢেউ… কয়েকটা কান্নামেশা আর্তচিৎকার…
আর তারপর সবকিছু শেষ।
ঝড়ের আগে যেমন শান্ত থাকে শহর
তেমনই শান্ত ছিল পম্পেই।
এবং এই ধাতব মূর্তিগুলো
যাদের আমরা দেখি ম্যারাথনের নিখুঁত ভঙ্গিমায়
গ্ল্যাডিয়েটরদের রক্তারক্তি খেলা দেখতে
হয়তো তারাও সেদিন নেশাগ্রস্থ হয়ে এসেছিল
রোমের উন্মুক্ত উদ্যানে।

জানো, ঈসা যখন দুনিয়ায় এসেছিলেন
সে সময় লাশগুলো চিৎকার করে উঠেছিল।
আর তর্জনী উঁচিয়ে বলেছিল, কে তাদের হন্তারক
এবং কোনটি সেই নৃশংস ঘাতকের চেহারা।
তখন যেভাবে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গিয়েছিল জল্লাদগুলো
তুমিও কি ওভাবেই নীত হবে একদিন,
হে সাতশো কোটি মানুষের রক্তপিপাসু উন্মাদ সভ্যতা?

রাতের অন্ধকারে যেভাবে অবলুপ্ত হয়েছ অসংখ্য জনপদ
সুমেরীয় ও ব্যাবিলিনীয় সভ্যতা
রোম
ইরামের প্রাচীন দালান
আদ ও সামুদ
আবরাহার হস্তীবাহিনী
তুমিও কি বিলুপ্ত হবে সেভাবেই?
ওসব শূন্য বিরানভূমিতে বাতাসে
এতদিন কাঁচ ভাঙা শিরশিরে শব্দ
আর মাটিতে হাজার বছরের চাপাকান্না
মানুষের কুঁচকানো ফসিল
ইট-পাথরের স্তুপ
থমথম নীরবতায় লুকিয়ে ছিল যেরকম
তোমার রক্তমাখা কুৎসিত জিভও কি তাদের মতোই
বোবা মাছের মতো সাঁতার কাটবে কলঙ্কিত ঘৃণায়
ইতিহাসের স্রোতবহুল কালিতে ?

তারপর বিমূঢ় হয়ে পড়ি।
ভাবি, তাহলে সব শেষ।
নাচতে থাকে বিষাক্ত ছোবল।
চোখের পাতা টলতে টলতে নেমে যায়। দেখি,
জেগে উঠছে পথিবীর সমস্ত মৃত আত্মা।
ঘোড়ার রেকাব ধরে এগোচ্ছে বখতিয়ার
সাথে তার সতেরো সওয়ারী।
আহত বাঘের মতো গর্জন শুনি হাসানের;
তার হাতে লাল উসমানীয় পতাকা-
মাংসে ঢুকে গিয়েছে সাতাশটি তীর।
কালো পতাকায় ছেয়ে গেছে জালিমের রাজধানী।
রক্তে আগুন লাগানো কেরাত ভাসছে হেরায়।
বাতাসে কাঁপন তুলছে আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি।
স্বপ্নের পর্দা দুলে ওঠে।
চকিত হই- বাইরে সবকিছু নিরুত্তাপ
ঝড়ের আগে যেমন শান্ত থাকে সব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী (ভোট বন্ধ, তাই ভোট দিতে পারিনি)
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আপনার কবিতার ভিতরে কাব্যের আলাদা একটা সার্থকতা পাওয়া যায়। এই লেখাটিও সেইম।। অনেক ভালো লেগেছে।। শুভ কামনা কবির জন্য।।
এস জামান হুসাইন উন্মাদ সভ্যতা। ভালো লাগল। ভোট বন্ধ। আমার পাতায় আসবেন।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

উক্ত কবিতায় এই জড় সভ্যতা বিনাশী এক অবশ্যসম্ভাবী ঝড়ের কামনা করা হয়েছে।

১৭ ফেব্রুয়ারী - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪