আমার উদ্দেশ্য খ্যাতি নই,প্রচার

কোমল (এপ্রিল ২০১৮)

মুহাম্মদ জে.এইচ (রপ্পি) UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL#
  • ২০
কে আমি, কোথা হতে এসেছি কি কাজ করবো বলে পৃথিবীতে পদার্পন, কে বা আমাকে পাঠিয়েছেন। কে আমাকে খাবার যোগার করে দিচ্ছেন, বস্ত্র দিচ্ছেন, দিনের আলো দেখাচ্ছেন, রাতের অন্ধকারে নিদ্রায় দিয়ে আরাম দিচ্ছেন,তিনি কে? নিশ্চয় উনি আছেন উনার নিজ আরশে চীরঞ্জীব, তিনি আমার সাথে ও আছেন রহমতের মহিমা ঢেলে, আমাকে তিনি দেখছেন, না, না তাই ভুল কাজটা মোটেও করা যাবে না তিনি আমাকে অবশ্যই দেখছেন, নিশ্চয় কর্মের ফল ভোগ আছে, একালে, পরকালে। বতর্মান, ও ভবিষ্যতকালে খারাপ কাজের জন্য খারাপ ফল, ভালো কাজের জন্য ভালো ফল, এভাবে চিন্তা ভাবনার করে কাজ করে এগিয়ে চলার নামই হচ্ছে ঈমান অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন করা। হে আদমের বংশগত দুনিয়ায় মানুষেরা। যুগ-যুগান্তে আদম (আ:) থেকে শুরু করে অসংখ্য পয়গম্বর বা নবী রাসূল এই পৃথিবীতে সময়উপযোগী এসেছেন, ওনাদের আসার পিছনের কারনটা কি ছিল আমরা একটু গভীর ভাবে পর্যালোচনা করি দু চোখের পাতা বন্ধ করে তবেই ত উত্তর পেয়ে যাবো। ধরা যাক আজকের দুনিয়ার কথা, আপনার একটি কোম্পানি আছে তাতে আপনি নিত্যনতুন ব্যান্ড প্রোডাক্টস তৈরি করলেন মানুষের ব্যবহার উপযোগী , আপনার উদ্দেশ্য এটি মানুষের সাথে এর পরিচয় করিয়ে দেওয়া, তা জন্য প্রথমত আপনার দরকার মানুষের মাঝে এটার বিজ্ঞাপন বা প্রচার বৃদ্ধি করে দেওয়া। তা না হলে কেউ কখনও কি জানতে পারবে আপনার পোডাক্টডসের কথা। তার জন্য তাহলে কি দরকার ব্যাপক প্রচারণা তাই ত? তাহেল আমরা যে এই বিশাল সম্রাজ্ঞের মাঝে সৃষ্টি। তিনি নমুনা সরূপ আকাশ,বাতাস, মাটি, পানি, পাহাড়,নদীনালা, নক্ষত্র, চাঁদ সূর্য ভৌত অভৌত আমাদেরচোখে দেখা, না দেখা। জানা আজানা অসংখ্য বস্তু বানিয়েছেন আর তা মানুষের কল্যানের জন্য, আর মানুষ হিসেবে আমাদেরে পাঠিয়েছন পৃথিবীতে উত্তপ্ত মাটিতে আর উনি মহান প্রভু মাহবুবে খোদা আমাদের সম্মুখে দেখা দিবেন না, তাহলে আমরা তার সম্পর্কে কেমন করে অবগত হতাম। সেই প্রেক্ষিতে আল্লাহতালা যুগে-যুগে অসংখ্য নবী রাসূল পাঠিয়েছিল পূর্বে আর তার সুবাদে আমারা মুসলিম জাতি আল্লাহকে চিনতে সক্ষম হয়েছি, এর জন্য রয়েছে সময়উপযোগী পয়গাম্বরদের প্রচরণা। উদ্দেশ্য মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি তা মনে প্রাণে দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস লাভ করা। শুধু কি বিশ্বাস করলেই হবে নাকি ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য কিছু আবশ্যক কাজ কর্ম করা দরকার। ধরুন আপনি একজন ছাত্র বিশ্বাস করেন পরীক্ষা আছে কিন্তু মোটেও স্কুলে যান না,বই ধরেন না, তাহলে আপনি কি কখনই পরীক্ষাতে পাস করতে সক্ষম হবেন? না বরং অক্ষম হবেন, পরীক্ষার ফলগত কর্মে, ঠিক, আমি মুসলমান, আপনি মুসলমান বিশ্বাস করি আল্লাহ্‌ আছেন আমাদের উপর সর্বক্ষণ নজরদারী রাখছেন, এখন আমি,বা আপনি আল্লাহর কখন কি আদেশ কখন কি নিষেধ, তা না মেনে চলি তাহলে আল্লাহকে বিশ্বাস করা হলো কি? আর এর ফল হিসেবে ত গ্রহনযোগ্য শাস্তি আমাদের কাম্য আছে। আজকাল আমরা খুব ত্নীক্ষ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় নিজ, নিজ কর্মে বেশ ত খাচ্ছি, দাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, পার্টিতে যাচ্ছি, লং ড্রাইভে যাচ্ছি, ফন্দীবাজে টাকা আত্মসাৎ করছি বিশতলার বিলাস বহুল ফ্লাট বানাচ্ছি। গাড়ি কিনছি, চোখের সামনে যা পাচ্ছি তা খাচ্ছি, কিসের আবার যাচাই বাচাই। জীবন তো একটাই, খাও দাও,ফুর্তি করো, সময় এলেই মরণের পথে যাত্রা ধরো। সাবধান:- জীবন কিন্তু একটা নই, এখন যেটা আছে তা অস্থায়ী জীবন, আর পরের জীবন তৈরি হবে তা চিরস্থায়ী আর প্রথম জীবনের কর্মের উপর নির্ভর করবে আপনার আমার পরকালের ভবিষ্যত। আজকে আপনি আমি দুনিয়ার আইন সম্পর্কে অবগত আছি প্রত্যেক দেশের একজন রাজা থাকেন, তার রাজ্য রক্ষার্থে রাজার নিয়ম কানুন ত অবশ্যই আছে, আর আমারা প্রজা বা দেশের জনগণ হিসবে তা মেনে যেতে বাধ্য থাকি। যদি কেউ রাজার আইনের নিয়ম ভাংঙ্গলো চুরি,করলো, ডাকাতি করলো,ধর্ষণ করলো তখন তাকে কর্ম অনুযায়ী নিশ্চয় শাস্তি পেতে হয়, তাহলে ভাবুন যদি একটি দেশের অবকাঠামোগত আইন থাকতে পারলে, যিনি দুজাহানের বাদশা মহান আল্লাহ উনার ও ত নির্দিষ্ট আইন, নিয়ম কানুন আছে, আর তা যদি আমরা না মেনে চলি তাহলে দুনিয়ার রাজা বাদশাহ তার রাজ্যের পাপীকে ক্ষমা করে দিলেও আল্লাহ ক্ষমা করবেন না বান্দাকে সেদিন ,পাপের ফল হিসেবে গ্রহন যোগ্য শাস্তি পেতে হবে। আল্লাহ্‌ পরম দয়ালু,তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, এখন আপনি বা আমি দুণিয়াতে পাপ ছাড়া কিছুই করেনি পূর্ণ বলতে কোন শব্দ নেই কর্মে গুণে তাহলে কি করবো ভাবছেন ন ত, তাহলে শুনেন এর উপায় কি? দুনিয়াতে থাকাকালীন এর মুক্তিলাভের উপায় হবে। তা কবিতার মাঝে লুকিয়ে আছে খুঁজে বের করুণ।
* সত্যের প্রতি বিচলিত আজ
মুসলিম নামের জাতি,
দ্বীনের পথে বিমুখ থেকে পালন করে
শয়তানের ঐ রীতি।
স্রষ্টায় মহান ভুলে গেছো আজ
শেষ জামানায় এসে,
ঈমানহারা মাখলুখ হয়ে তাই
পাপ সাগরে ভাসে।
শয়তানের ধোকায় বিবেকটুকু আজ
করে দিলে জবাই,
স্রষ্টা বলেন মানব জাতি
তবে শুনে রেখো সবাই?
অনুতপ্ত হল মহৎ গুণ তাই
তওবা করে নাও,
ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়ে, হাত তুলিয়া
আমার কাছে চাও!
কঠিন কাজও সহজ করে দিতে পারি আমি
তোমাদের কাছে সর্ব প্রথম
আমার নামটি হচ্ছে দামি।
তোমাদের রূহ, তোমাদের সাথে
তাই আমল করো বুঝে,
পথভ্রষ্ট হয়ে ফেরৎ এলে
পাবে না আমায় খুঁজে।

ভাই,ও বোনেরা খুঁজে পেয়েছেন কি পাপ থেকে মুক্তি লাভের পথ। হ্যা আপনি পাপ থেকে এ দুনিয়াতেও মুক্তি পেতে পারেন এর জন্য দরকার অদম্য চেষ্টা শক্তি, আল্লাহর অনুগত বিশ্বাস ও ভুলের অনুশোচনারর জন্য ব্যাপক তওবা করা যেমন:- আমি এক সময় যা মনে চাইতো তাই করতাম, নেশা করা,অন্যের হ্বক নষ্ট করা, পর্দায় গিয়ে সিনেমা দেখা, সরব পান করা, জুলুম করা ইত্যাদি । একদিন আমি এর জন্য অনুশোচন করলাম, প্রতিজ্ঞা করলাম এই কাজ গুলো আর কখনও করবো না এবং আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে তওবা করলাম, এবং এসব খারাপ কর্ম ছেড়ে দিলাম আর এভাবে যদি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তা ঘৃণা করি এবং নিজ ভুলের জন্য বার বার লজ্জ্বিত হয় তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ মাফ করে দিবনে। এ প্রসঙ্গে হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) বলেছেন :- যদি তোমরা পাপ না করতে, তবে আল্লাহতালা এমন মাখলুখ বানাতেন, যারা পাপ করতো, এবং আল্লাহ তাকে মাফ করে দিতেন। (ই.ফা ৬৭১০ ই.সে. ৬৭৬৬) তবে মহানবীর এই কথা দ্বারা ও মুক্তির পথ সুঘম। তাই আমরা পাপ করেছি ভুল করেছি শয়তানের ধোকায় পড়ে, আর পাপ করবো না এই অঙ্গীকার যদি করি, এবং পাপ থেকে বিরত রাখি নিজেকে। তবেই আল্লাহর সন্তুষ্টি কাম্য, এর জন্য সালাত দরকার অত্যন্ত জরুরি অর্থাৎ চলেন, আমরা ওয়াক্ত মত নামাজ পড়ি, যে ব্যাক্তি আল্লাহর এই হুকুম মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে সে আস্তে আস্তে খারাপ পথ থেকে মুক্তি পাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহায়ক হিসেবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী অনেক মূল্যবান ও শিখনীয় পোস্ট। এত সুন্দর গল্প লেখার জন্য আপনাকে বরাবর ভোট দিয়েছি । অনেক ধন্যবাদ ভাইই। এগিয়ে যান....!!
সালসাবিলা নকি খুবই মূল্যবান লেখা। একটু প্যারা করে লিখলে ভালো হতো। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য
সাদিক ইসলাম ভালো লাগলো। শুভ কামনা।

০৯ ফেব্রুয়ারী - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী