আঁধারের উপাখ্যান

আঁধার (অক্টোবর ২০১৭)

বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত
  • ১১
শিয়ালদহ স্টেশন । রাত ৭ - ২৫ এর বনগাঁ যাবার লোকাল
ট্রেন ৫ নং প্লাটফর্মে ঢুকছে .......

সারাদিনের ব্যবসার কাজ-কর্ম শেষ করে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে রাত ৭ - ২৫ এর বনগাঁ লোকাল ধরে গোবরডাঙ্গা স্টেশনে নামি । স্টেশনের বাহিরে একটা দোকানে সাইকেল জমা থাকে । স্টেশন থেকে সাইকেলে বাড়ী পৌঁছাতে রাত প্রায় সাড়ে নটা বেজে যায় । এটাই আমার নিত্য দিনের রুটিন । ৭ - ২৫ এর লোকালে দীর্ঘদিন ফেরার ফলে অন্যান্য সহযাত্রীদের সঙ্গে একটা সখ্যতা গড়ে উঠেছে । সারাদিন খাটাখাটনির পর সবাই একসঙ্গে মিলে নানা ধরনের গল্প , মজা করতে করতে বাড়ী ফিরি । বেশ হৈ হৈ করে সময়টাও কেটে যায় , আর ভালোও লাগে ।

প্রায় প্রতিদিন রাতের এই ৭ - ২৫ এর বনগাঁ লোকালে এক মহিলাকে দেখতাম কোলে একটি ফুটফুটে সুন্দর ঘুমন্ত শিশুকে নিয়ে ভিক্ষে করতে । শিশুটিকে দেখে আমাদের বড় মায়া হতো । আমরা সবাই মহিলাটিকে আমাদের সাধ্যমত সাহায্য করতাম । প্রায় রোজই সাক্ষাৎতের ফলে আমাদের সঙ্গে মোটামুটি একটা পরিচয় হয়ে গিয়েছিল । মহিলাটির নাম জুঁই নস্কর । বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি । একটু গোলগাল চেহারা । মুখশ্রী খারাপ নয় । পরনে ময়লা শাড়ী । চোখেমুখে এক অসহায় ভাব । গলার স্বরটি খুব নিচু । কথা বলার সময় মুখটাকে নামিয়ে কথা বলে । আমাদের সহযাত্রীদের মধ্যে যারা বয়েসে আমাদের থেকে বেশ খানিকটা ছোট , তারা আড়ালে মহিলাটিকে মজা করে নাম দিয়েছে -- " আঁধারের সুন্দরী জুঁই " ।

মহিলার থেকেই শোনা -- তার জীবনটাই আঁধারে ঢাকা । অত্যন্ত গরীব ঘরের একজন গৃহবধূ । দারিদ্র্যের সঙ্গে রোজ লড়াই করে চলেছে । বাড়ীতে পক্ষাঘাতে পঙ্গু স্বামী অসুস্থতার কারণে সবসময় শুয়েই থাকে । সকাল থেকে স্বামীকে দেখাশুনা করতে হয় , শিশুটির পরিচর্যা করতে হয় । নিজেদের পেট চালাবার জন্য এই ছোট শিশুটিকে কোলে নিয়ে দুপুর থেকে ভিক্ষে করতে বের হয় আর বাড়ী ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায় । একটা সময় ক্ষিদের তাড়নায় কোলের শিশুটি চিৎকার করতে করতে ঘুমিয়ে পরে । সারাদিনের ভিক্ষের সামান্য উপার্জনে রাতের বেলায় ঘরে ফিরে একবেলা খেয়ে কোন রকমে বেঁচে থাকে ।

বেশ কিছুদিন ধরে রাতের এই বনগাঁ লোকালে শিশু কোলে নিয়ে ভিক্ষে করতে আসা মহিলাটিকে আর আমরা দেখতে পাই না । ভাবলাম , মহিলাটির স্বামী অথবা তার কোলের শিশুটি হয়তো খুবই অসুস্থ , তাদের দেখভালের জন্য বোধহয় ভিক্ষে করতে বেরোতে পারে না । আমাদের ও খুব খারাপ লাগত বিশেষ করে মহিলাটির কোলে থাকা ফুটফুটে শিশুটির কথা ভেবে ।

মাস খানেক পরের ঘটনা ...। আমার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে যাবার জন্য রাত ৮-৩০ নাগাদ রানাঘাট স্টেশনে নেমেছি । স্টেশনে নেমে দেখলাম বেশ জোরে বৃষ্টি হচ্ছে । দৌড়ে গিয়ে একটা শেডের তলায় দাঁড়াতে , একটু পাশ থেকে এক মহিলার কর্কশ কণ্ঠের স্বর কানে এসে লাগলো । একটু তফাত থেকে মহিলাটিকে দেখে চিনতে পেরে বেশ অবাকই হয়ে গেলাম । জ্বলন্ত বিড়ি হাতে মহিলাটি বেশ ঝাঁঝালো কণ্ঠে এক অতি বয়স্ক বুড়িকে বলছে -- আঁধার নামলে তোর ন্যাকামি শুরু হয় ... , পারবি না মানে ? তোকে যেতেই হবে বুড়ি । ন্যাকা , - শরীরের ব্যাথায় উঠতে পারছি না ! ওসব বাজে কথা অন্য জায়গায় বলবি বুড়ি , রাত কত হোল জানিস ? লাঠিটা ধর , এই বৃষ্টির মধ্যেই তোকে বেরোতে হবে । তুইতো একটা ঘাটের মরা , কিছুদিন পরেইতো শ্মশানে যাবি । তোর লাঠির বাড়ি আজ আমার পিঠে পরবে । কাপলা শেখ আজ আমাকে আর আস্ত রাখবে না । আজ রাতের অন্ধকারে আমার দেহটাকে তো খাবে আর তোর জন্য এই ভালো ডিউটি থেকে সরিয়ে দেবে । দুপুরে তোকে এখানে বসিয়ে দিয়ে আমি একটু তফাতে পাহারায় থাকি । আমিতো দেখি -- সারাক্ষণ বসে বসে তুই শুধু ঝিমাস , স্টেশন দিয়ে এত লোক যাতায়াত করে তাদের কাছে চিৎকার করে ভিক্ষা করতে পারিস না বুড়ি ? বয়েসের ভারে ন্যুব্জ বুড়িটা কোনোরকমে দম নিয়ে ভয়ে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো -- আমি যে ক্ষিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ঝিমোতে থাকি । এই আঁধার নামলেই আমার ভয় শুরু হয় - একদিকে তুই আমাকে মারিস আর গলা খিঁচুনি দিস আর বাড়ীতে গেলেই বউ আর ছেলেটা লাঠি দিয়ে মারে , আমি যে এই অত্যাচার আর সহ্য করতে ....... মহিলাটি এক ধমক দিয়ে বুড়ির কথা বলা থামিয়ে হাতের জ্বলন্ত বিড়িটায় শেষ সুখ টান দিয়ে মাটিতে ফেলে , পা দিয়ে বিড়িটাকে মাড়িয়ে অত্যন্ত একটা বাজে ভাষা উচ্চারণ করে বুড়িটাকে নিয়ে যাবার জন্য টানাটানি শুরু করলো । আমি মনে মনে ভেবে অবাক হচ্ছি -- যে মহিলা ঘুমন্ত শিশু কোলে নিয়ে ট্রেনে ভিক্ষা করার সময় মাথা নিচু করে খুব ধীরে কথা বলতো , এই কি সেই মহিলা ? হাতে বিড়ি , ব্যবহারে উদ্ধত আর মুখে নোংরা ভাষা । রাতের আঁধারে এদের রূপটাই যেন বহুরূপি !

মহিলাটির সামনে গিয়ে দাঁড়াতে , আমাকে এই সময় এই স্টেশনে দেখে অবাক না হয়ে বেশ হালকা ভাবেই বললো -- বাবু , ভালো আছেন ? এই স্টেশনে কোন কাজে এসেছেন বুঝি ? আপনার সঙ্গে বেশ কয়েকদিন পর দেখা হোল । আপনার বন্ধুরা সবাই ভালো আছে তো ? আসলে আপনাদের লাইনে ৭ - ২৫ এর বনগাঁ লোকালে এখন আমার আর ডিউটি নেই । আমি এখন অন্য জায়গায় অন্য রূপে " টেনেশফেরার " হয়ে গেছি । আমি কিছুই বুঝতে পারছি না ।মনে মনে ভাবছি -- কিসের ডিউটি ! কিসের ট্রান্সফার ! আর তার কোলের শিশুটির কি খবর ? মহিলাটি বোধহয় আমার মনের কথা বুঝতে পেরে , কোন রকম ভনিতা না করে একেবারে নির্বিকার ভাবে আমাকে " টেনেশফেরার " ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিলো ।

মহিলাটি বললো -- আগে ভিক্ষে করার সময় যে শিশুটি তার কোলে থাকতো , সেটি তার নিজের শিশু নয় । আমরা যে " কুমপানি " তে কাজ করি , সেখান থেকে শিশুটিকে আমাকে দিয়েছিল ওকে দেখিয়ে ভিক্ষে করবার জন্য । " কুমপানি " এই সব শিশুদের ভাড়া নেয় কয়েক ঘন্টার জন্য অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের থেকে যারা রাস্তায় বসবাস কোরে কোন রকমে দিন কাটায় । শিশুটি কোলে থাকার সময় যাতে কান্নাকাটি না করে সেই জন্য ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয় । ভিক্ষে করবার সময় আমার হাবভাব কি রকম হবে , আমাকে কি বলতে হবে আর কি ভাবে বলতে হবে , সবকিছু " কুমপানি " আমাদের শিখিয়ে দেয় । দিনের শেষে রাত্রিবেলা ভিক্ষে করা থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা " কুমপানি " কে দিতে হয় । তারপর বাড়তি যে টাকা উঠবে সবটাই আমার । শিশুটিকে কোলে নিয়ে ভিক্ষের সময় আমার " ইনকাম " খুব ভাল হতো । কিন্তু সারাটা সময় ঘুমন্ত শিশুটিকে কোলে রাখতে অসুবিধা হতো বলে কাপলা শেখকে বলে ডিউটির ধরনটা পালটে নিলাম । সহজে কি দেয় ? কয়েকদিন রাতে আমার শরীরটাকে চেটেপুটে খেল তারপর আমাকে " টেনেশফেরার " করে এই বুড়ির ডিউটিটা দিল । আবার " কুমপানি " থেকে আমরা সুবিধাও পাই । সত্যি সত্যি শরীর খারাপ হলে বা কোন বিশেষ দরকারে কাজে যেতে না পারলে , " কুমপানি " সেদিনের জন্য কিছু টাকা হাতে দেয় । রোজ " কুমপানির " নির্দিষ্ট টাকাটা দিয়ে গেলে , " কুমপানি " খুশি হয়ে বকশিস দেয় , পুজোর সময় বোনাস ও দেয় । আমি অবাক বিস্ময়ে মহিলাটির কথা শুনে শিহরিত হচ্ছি ।

মহিলাটি একটা বিড়ি ধরিয়ে , বুড়ির ভিক্ষে করা পয়সাগুলি গুনতে গুনতে বললো -- এই বুড়ির ডিউটিটা অনেক হালকা । আমার খাটনিটাও আগের ডিউটির তুলনায় অনেক কম । দুপুরবেলা স্টেশনে এনে ভিক্ষে করবার জন্য বসিয়ে দিয়ে শুধু দুর থেকে নজর রাখি আর আমি আয়েশ করে বসে " ওয়াগন ব্রেকারদের " সাথে গুলতানি করি । বিকেলবেলা বুড়িটাকে এক ভাঁড় চা আর একটা বিস্কুট খাইয়ে দিই । বুড়িটা যখন ঝিমোয় , তখন চুলের মুঠি ধরে টান দিয়ে কয়েক ঘা দিয়ে ঝিমুনি কাটাই ভিক্ষে করবার জন্য । জানেন বাবু , এই বুড়িটাও ভাড়া করা । রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে থাকে । বুড়ির ছেলেটা কিছুই করে না । সারাদিন বাড়ীতে বসে চোলাই মদ খায় । বউটা কয়েকটা বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে । বাড়ীতে ছোট ছোট চারটে ছেলে মেয়ে । ছেলেটাই তো জোর করে বয়স্ক বুড়ি মা টাকে এই লাইনে নামিয়ে দিল ।

বাহিরেটা দেখে নিয়ে মহিলাটি বললো -- আমাকে এবার যেতে হবে , বৃষ্টিটা মনে হয় একটু কমেছে । বুড়িটাকে ঝুপড়িতে পৌঁছে দিতে হবে । আজ আমার কপালে দুর্ভোগ আছে । " কুমপানি " কে দেয়ার মতো রোজের টাকাতো ওঠেই নি আর আমার ইনকামের কথা ছেড়েই দিন । আজ রাতে বোধ হয় বাড়ী ফেরা হবে না , কাপলা শেখের সারা গা টিপে দিতে হবে । কাপলা শেখকে বলবো -- এই সব বাজে " মাল " দিয়ে " ব্যবসা " করা যায় না । এই " মাল " টাকে বদলিয়ে একটু শক্ত পোক্ত " মাল " এর ব্যাবস্থা করে দিতে । নিজের মনে বকবক করতে করতে অথর্ব বুড়িটাকে টানতে টানতে নিয়ে চললো যেমনভাবে গ্রামের লোক সারাদিন মাঠে গরু চড়িয়ে আঁধার নামলে দড়ি দিয়ে টেনে টেনে গোয়াল ঘরে নিয়ে যায় ।

মহিলাটি যাবার সময় বললো -- যদি কোনদিন আবার পুরোনো ডিউটিতে
" টেনেশফেরার " হই তখন হয়তো আপনাদের সঙ্গে রাতের ৭ - ২৫ এর বনগাঁ লোকালে দেখা হয়ে যাবে । একটু অন্যমনস্ক হয়ে গভীর একটা শ্বাস নিয়ে বললো -- বাবু , আমাদের জীবনটাই আঁধার-আচ্ছন্ন , আলো চলে গিয়ে আঁধার নামলেই আমাদের বেশী ভয় -- এই বলে নির্বিকার ভাবে বুড়িটাকে টানতে টানতে স্টেশন পেরিয়ে রেল লাইনের ধারে আঁধার মাখানো ঝুপড়ি ঘরগুলির দিকে এগিয়ে চললো .......।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৌরি হক দোলা বাস্তবতায় ঘেরা এক কষ্টের গল্প, যেখানে আঁধার ছাড়া আলোর উপস্থিতি সত্যি খুব কম। আর আপনার লেখাও সত্যি অনেক সুন্দর...অনেক ভালো হয়েছে। শুভকামনা.....
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি পরিচ্ছন্ন লেখা চেনা কাহিনী হলেও বেশ ভালো লাগলো.....
মোঃ মোখলেছুর রহমান মানুষের বহুরুপিতার প্রকাশ গল্পকে সতেজ করেছে ।শুভকামনা ।
মোঃ নিজাম গাজী সুন্দর লেখনী। ভোট রেখে গেলাম।
মোঃ আক্তারুজ্জামান দুঃখী মানুষের দুঃখ-গাঁথা! ভালো লিখেছেন। শুভকামনা।
স্যার , আপনার মন্তব্যের জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম । খুব ভাল লাগল । স্যার , আপনার লেখনি আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে । ধন্যবাদ স্যার । ভাল থাকবেন ।
কাজী জাহাঙ্গীর দুনিয়ার গলি ঘুপচিতে কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তার সব খবর কি সবাই পায়, কেউ যদি লিখতে পারে তাতে আমাদের কিছু উপকার হয়, জানতে পারি কিছু তথ্য বিচিত্র। এটা অবশ্য নতুন না। বাংলাদেশের টিভি এরকম ঘটনা নিয়ে নাটকও হয়ে গেছে বেশ আগে, শেয়ালদার কথাটা জানলাম। অনেক শুভকামনা, ভোট আর আমার গল্পে আমন্ত্রণ ।
ভাই , অনেক ধন্যবাদ । আপনার গল্প / কবিতা আমি পড়ে ফেলেছি আর আপনাকে আবার জানাই শুভকামনা ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী গল্পের মাঝ পথে এসে মনে করেছি- হয় তো কোনো পতিতা হবে, শেষে এসে বুঝলাম এ তো জীবনের সংগ্রাম....
ধন্যবাদ । ঠিকই , চেষ্টা করছি জীবনের সংগ্রাম উপস্থাপনা করবার ।
নুরুন নাহার লিলিয়ান ভাল লাগা রইল । শুভ কামনা ।
মনজুরুল ইসলাম Description is clear and beautiful.Dialogue is appropriate also.Did not get any pressure to continue.Real hidden picture of the society has been described.congratulations.
Dear , your comments noted with THANKS . Endeavour to write the story contemplating the tangible picture of our present society . Thanks again .
এশরার লতিফ জীবন সংগ্রাম কিভাবে ভেতরের অন্ধকারগুলোকে উসকে দ্যায়, তা নিয়ে মর্মস্পর্শী গল্প লিখেছেন। অনেক শুভেচ্ছা।

১২ আগষ্ট - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৪৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী