বাড়ীর পাশে পুকুর পাড় হরেক রকম গাছ
রোদ্রছায়ায় পুকুরটাতে ভেসে উঠে মাছ।
উত্তরে হিজল বন পাখি পায়রার ডাক
দক্ষিণে পূবালী হাওয়া যেন নদীর বাঁক।
পশ্চিমে গোয়াল ঘর ফুল-ফল চারিপাশ
পুবে হেলে বাঁশ বাগান দোলে বার মাস।
গ্রীস্মে ঘরে-বাহিরে চৈত্রের তপ্ত রোদ
বর্ষায় ঢালে পানি ভুলিয়ে দিতে বোধ।
শরৎ এ শিউলি ফোঁেট মুচকি হাসি ঠোঁটে
হেমনত্দ সবায় কেবল এদিকওদিক ছোটে।
শীতের সকাল পিঠে উৎসব রঙঅপরূপ সাজে
বসনত্দ তাই নিয়ে আসে সুখ আমাদের মাঝে।
১২ মাসে ছয়টি ঋতু সবুজেরী বাংলাদেশ
চৌদিকে তাই
ঘিরে আছে মায়া-মমতার সুখ আবেশ।
আমার চেনা একটি ফুল সবাই তারে চেনো
সেই ফুলটির মিষ্টি হাসি কেন না তারে জানো।
ঐ ফুলেরী গাছটি আছে আমার পুকুর পাড়ে
তার সাথে আমার ও ভাই বয়সটা যে বাড়ে।
ফুল নিতে যখন আমার খোকা-খুকু আসে
তাদের সাথে ফুলগুলোও কেমন করে হাসে।
গায়ে তার হলুদ মাখা কাঁচা সোনার রঙ
খোকা-খুকুর সাথে তাই করে এমন ডঙ।
স্মৃতিরঘর বর্ষায় ভেজে, উড়ে যখন দুল
মিষ্টি করে তখনও হাসে আমার কদমফুল।