লাশ টি কার?

কামনা (আগষ্ট ২০১৭)

এম এম মেহেরুল

মাঠের ঠিক দক্ষিণে ঘন ভেট গাছের জঙ্গল।তার পাশেই শতবছরের একটা পাকুড় গাছ তার ডালপালা ছড়িয়ে দিয়েছে তিন চার শতক জায়গা জুড়ে।এ দিকে গায়ের লোকজনের খুব একটা যাতায়াত নেই বললেই চলে।থাকবেই বা কেমন করে, গায়ের লোকের মগজে ঘাপটি মেরে বসে আছে জহির আলী পরামানিকের ভূতের ভয়।গতবছর আশ্বিণের শেষে এক অজানা কারনে পাকুড় গাছের উত্তরের লম্বা ডালের সাথে নিজের গামছা দিয়ে ফাস লাগিয়েছিলো জহির আলী।মরার পর প্রায় একহাত জিব বেরিয়েছিলো তার।তা দেখে ভয়ে গনি মন্ডলের ১০ বছরের ছেলেটার জ্বর প্রায় মাস খানিক পরে কবিরাজের অনেক ঝাড়ফুক, হুজুরের পানি পড়ার দৌলতে সেরেছিলো।জহিরের মরার কারন এতোদিন কেউই ঠাওর করতে পারেনি। দারগা-থানা-পুলিশ-মামলা-মকদ্দমাও কম হয় নি।গত বছরে থানা পুলিশের ভয়ে গায়ের বেটা ছেলে কেউই ঘরে থাকতে পারেনি।
মসজিদের ঈমাম মোসলেম উদ্দিনের ফতোয়া মোতাবেক জহির আলী পরামানিকের জানাজাও হয়নি।ঈমাম সাহেবের কড়া ফতোয়া ছিলো যে, ফাস লাগানো মরা মানুষের জানাজা, মাটি দেওয়া যাবে না। যদি কোন মুসলমান তার জানাজা পড়ে তাইলে সেও জাহান্নামের আগুনে পুড়বে।গায়ের লোকজন ঈমাম সাহেবের কথায় খুব মান্যি গন্যি করে।তাই তো ডোমের ঘর থেকে লাশ গায়ে ফেরার পর জহিরের বাড়ির পুবের ভিটায় জানাজা ছাড়াই কাছের দুই একজন আত্নীয় মিলে কোনমতে মাটি চাপা দিয়েছে।সেই থেকে গায়ে সব ঘটনার পেছনে এই জহির আলী পরামানিকের ভূতের হাত আছে বলেই সবাই মনে করে।সবার ধারনা যেহেতু গায়ের লোক জানাজা ছাড়াই জহির কে মাটি চাপা দিয়েছে সেহেতু এই জহিরের ভূত গায়ের সকলের উপর ভীষন নারাজ।আর তাই সে গায়ে নানা অনাচার অনিষ্ট করে চলেছে সবার।
এই জহিরের ভূতের ভয়ে গায়ের লোকজন পাকুড় গাছের এদিকে যাওয়া আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।জমির বিশেষ কাজ না থাকলে কেউই ওদিকে ভূলেও যায় না।যদিও কারো যাওয়ার দরকার পড়ে তাহলে সাথে দু একজন কে নিয়ে যায় কিন্তু একা একা যাওয়ার সাহস কেউ করে না কখনো।
গনি মোল্লা আজ সকাল সকাল বেরিয়েছে পাকুড় গাছের দক্ষিণে তার আড়াই বিঘা ফসলের জমির ধান দেখতে। সকাল দেখে সে অন্য কাউকে সাথে নেয়নি আজ।ভেট গাছের জঙ্গলের কাছে আসতেই হঠাৎ গনি মোল্লার নজর পড়ে জঙ্গলের ভিতরে একটা ছিট কাপড়ের দিকে। সে মনে মনে চিন্তা করে এখানে মেয়ে মানুষের কাপড় আসলো কই থেকে? এদিকে তো ভয়ে লোকজন কেউ আসে না।আস্তে আস্তে সে জঙ্গলের ভিতরে যায়।
ইয়া রাসুল্লাহ ইডা কি?--
বলেই এক লাফে সে চার পাচ হাত সরে আসে।আবার উকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করে।একটা মেয়ে মানুষের উলঙ্গ দেহ জঙ্গলের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পড়নে পায়জামা ছাড়া আর কিছুই নাই।তাও সে পায়জামার বাম পাশের অংশ ছেড়া।আর গায়ের ওড়না পাশে পড়ে আছে মানে যেটা দেখে গনি মোল্লা জঙ্গলের মধ্যে যায়।
এবার গনি মোল্লার ভয়ে হাত পা হীম হয়ে আসে। সে বার বার আল্লাহ রসুলের নাম যেমন জপতে থাকে তেমনি একনাগাড়ে চলে দোয়া ইউনুস পড়া। এরি ফাকে সে নিজের পাঞ্জাবির গলা খানিক উচু করে কয়েক বোতলা থুতু নিজের বুকে ছিটিয়ে দেয়।
আবার একটু উকি মেরে দেখার চেষ্টা করে পিছিয়ে যায়।উলঙ্গ দেহ খানের উপর নিজের গায়ের চাদরখান বা হাতে বিছিয়ে দেয়।
সারা গায়ে দাগ আর ছোপ ছোপ রক্ত লেগে আছে। লাশ উপুড় হয়ে থাকায় খালি পিঠ দেখা যাচ্ছে ভালোভাবে।মাথার চুল গুলান মনে হচ্ছে কেউ হাত দিয়ে উপড়ে উপড়ে দরি বানিয়েছে কাজের জন্য।বাম গালের দুই দিকে আচড়ের দাগ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।মনে হচ্ছে কোন মানব পশু তার দেহ ভোগ করে এই জঙ্গলে ফেলে গেছে। সেটা একজন ও হতে পারে আবার কয়েকজন মিলেও হতে পারে। গনি মোল্লার ওতো ভাববার সময় এখন নেই। সে যতো দ্রুত সম্ভব এখান থেকে পালাতে পারলেই বাচে।শেষমেশ যদি জহির আলীর ভূতে তার উপর হামলা করে!
সে চাদরখান বিছিয়ে দিয়ে দ্রুত পায়ে রাস্তা ধরেছে বাড়ির।
অল্প সময়ের পরেই গায়ের ঘন সবুজ দেওয়াল ভেদ করে মানুষের পাল ছুটেছে।কেউ দৌড়াচ্ছে তো কেউ আরেক জনকে ডাকতে ডাকতে হয়রান।ছেলে বুড়ো জোয়ান, মেয়ে ছেলে মানুষ, ছোট ছোট নেংটা উদোম শরিরের বাচ্চা গুলান কেউই বাদ নেই, সবার যাত্রাপথ পাকুড় গাছের পাশে ভেট গাছের জঙ্গলের দিকে।এই অল্প সময়ের মধ্যেই যে গনি মোল্লা পুরো গাও এই খবর রাষ্ট্র করতে পেরেছে সে জন্য তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
সবার মুখে এক কথা আহ আহ আল্লাহ মাবুদ একি সর্বনাশ, একি সর্বনাশ। এমন কাম কেডায় করলো, আহ তার উপর আল্লার গজব পড়ুক।
ভেট গাছের ঝোপের চারিদিকে মানুষের গোল চত্বর তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই।গনি মোল্লাও এসেছে, সাথে ডেকে এনেছে ইউনিয়ন পরিষদের মাজু মেম্বার কে।
ইতিমধ্যে মাজু মেম্বার আবার তার ছোট ছেলেকে দিয়ে পরিষদে খবর পাঠিয়েছে চেয়ারম্যানের কাছে, আর বলে দিয়েছে দফাদার কে বলিস দুটো চৌকিদার কে যেন এখনি পাঠিয়ে দেয় এখানে।
খালেক মুন্সির বউ আবার তার কোলের তিন বছরের ছেলেটাকে সাথে নিয়ে এসেছে।বাচ্চা ছেলে মানুষ তাই বাড়িতে একা একা রেখে আসতে ভরসা পায় নি, যদি জহিরের ভুতে কিছু করে বসে।কোলে নেওয়া ছেলেটার ছোট চ্যাট খান আচলের নিচ দিয়ে বেড়িয়ে আছে। সেদিকে মা ছেলে কারোই হুস নেই।
দুজনেই ব্যাস্ত লাশটা কার সেটা দেখতে।ছোট ছোট নেংটা উদোম বাচ্চা ছেলে মেয়ে গুলান হুড়োহুড়ি শুরু করে দিয়েছে ভীড় ঠেলে লাশের কাছে যাবে বলে।কিন্তু ভীর এতোই বড় যে এরা কোন কূল কিনারাই করতে পারছে না, বরং দু একজনের ধমক খেয়ে সরে আরেক খানে গিয়ে আবার চেষ্টা করছে।
মাজু মেম্বার উচু গলায় খেকিয়ে:
ঐ মিয়ারা এতো কি দেহ এ্যা, মেয়ে ছেলের লাশ এতো কি দেখনের আছে। যাও যাও দূরে যাও, আর তোমরাও যে হইছো বাপু খালি কুনো কিছুর খবর পাইলে হয়।
ঐ আমরুল্লা লাশখান সিদা কর দেখি।কার লাশ এইডা।
আমি কেন মেম্বার চাচা।এইডা মেয়ে ছেলের লাশ, বেটা ছেলেপেলে হাত লাগানোডা কি ঠিক হবি।
তাও ঠিক কতাই তো কচু রে আমরুইল্লা।ঐ জমিতনের মাও তুমি উল্টাও তো দেখি।তুমি তো শক্তি সামর্থবান মানুষ নামাজ কালাম জানো। তুমিই উল্টাও তো দেহি এইডা কার লাশ।
প্রথমে জমিতনের মা আপত্তি জানালেও শেষমেশ মেম্বারের ধমকে লাশের ডান দিকে হাত দিয়ে লাশখানা উল্টিয়ে দিয়ে চাদর খানা ভালো করে লাশের গায়ে ঢেকে দিলো।
লাশের মুখ এদিক করতেই ভীরের মধ্যে হইচই এইডা কার লাশ।
এই মাইয়া তো এই তল্লাটের কেউ না।
কিগো মিয়ারা এই মাইয়ারে কি তোমরা কেউ চেন?
কি মিয়ারা কথা কও না ক্যা।ধমক দেয় মাজু মেম্বার।
উপস্থিত সকলেই একবাক্য জানান দেয় এই লাশ তারা চেনে না আর কোনদিন এই মেয়েকে তারা দেখেও নি এই তল্লাটে।
ইতিমধ্যে মেম্বারের ছেলের খবরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুজন চৌকিদার এসেছে।মেম্বার কে সালাম দিয়ে :-
যে মেম্বার সাব আমরা আইছি।
চেয়ারম্যান সাব আইতাছে।কি করতে হইবো কন।
আগে লাশের কাছ থেইকা এই মানুষ গুলান রে সরা।ঐ আমরুল্লাহ চেয়ারম্যান সাব আসপো জলদি কয়খান ব্রেঞ্চ নিয়া আয় তো।যা তারাতারি আনিস নির্দেশ দিয়ে মাজু মেম্বার গনি মোল্লারে একটু সাইটে ডেকে নিয়ে পুনরায় ঘটনার বিস্তারিত শুনতে চাচ্ছে। কেননা চেয়ারম্যান আসবে তাকে তো পুরো ঘটনার বর্ননা দিতে হবে ।
যাই কন মেম্বার সাব আমার মুনে হয় কুনো বজ্জাত মাইয়াডার সাথে আকাম কুকাম কইরা মাইরা লাশখান এইহানে ফালাই গেছে।
তা হইবার পারে। লাশ দেইখা তো তাই মনে হয়।মেম্বারের একটু চিন্তা।
খানিক চিন্তা শেষে হকচকিয়ে মেম্বাবারের প্রশ্ন?
ঐ মিয়া লাশডা তো একখান মাইয়া মানসের, এই মাইয়া হিন্দু না মুসলমান না জাইনা আমরা যে এতো কাউলা কাউলি করতাছি এইডা কেমুন কতা কও দেহি।যদি হিন্দু হয় তাইলে তো মুসলমানের নাড়াচাড়া করা যাবো না। পাপ হবো মিয়া।
হুম হুম ঠিকই তো কইছেন মেম্বার সাব। আমি তো এইডা ভাইবা দেখি নাই।যদি হিন্দু হয় তাইলে কি হইবো?। আর আমি কিনা না জাইনা আমার গায়ের চাদর খান গায়ে দিছি।যদি সত্যে সত্যে মাইয়াডা হিন্দু হয়?
গভীর চিন্তার বিষয় মিয়া গভীর চিন্তার বিষয়।মাইয়াডা হিন্দু না মুসলমান না জাইনা তো আর কিছু করন যাবো না বুঝলা গনি মিয়া?
হুম বুঝছি মেম্বার সাব।
তয় দেহি চেয়ারম্যান সাব আসুক, কি কয় আগে শুনি, উনার ও তো একখান মতামত আছে কি কও মিয়া।
হুম তাও কতা ঠিক।
ঐ মিয়ারা সরো না কে এ্যা, দূরে গিয়া দারাও তো দেহি। সরো সরো মিয়ারা।বলে চৌকিদার দুজন লাশের কাছ থেকে গায়ের মানুষ গুলোকে হাত তিনেক সরিয়ে দিলো।
এরি মধ্যে আমরুল আর তার সাথে এ গায়ের দুজন তাগড়া জুনান ছেলে মিলে দু খান ব্রেঞ্চ নিয়ে লাশের কাছে হাজির।
মেম্বার সাব ব্রেঞ্চ আনিছি এহন কি করুম।
যা ঐ গাছের নিচে একখান ভালো জায়গা দেইখা বসার ব্যাবস্থা করেক গিয়া, চেয়ারম্যান সাব আসলো বইলা।
চলো মিয়া ঐহানে যাই দেহি চেয়ারম্যান সাব আইসা কি করে।
উপস্থিত সকলেই লাশ কার সেই নিয়ে কানাঘুষা শুরু করে দিয়েছে।কেউ বলছে এই মাইয়া পাশের গায়ের কেউ হইবার পারে।সাববিলে একখান খবর দেও গো মিয়ারা ওরা আইসা দেহুক চিনবার পারে কিনা।জমিতনের মায়ের সোজা উত্তর না না মিয়ারা এই মাইয়া সাববিলের কেউ হইবার পারে না। ঐ গায়ের বেবাক মানুষরে আমি চিনি, হাজারো হোক ঐডা তো বাপদাদার গাও।এই মাইয়া ঐ গায়ের হইবার ই পারে না। তয় মধ্যে গায়ে কেউ হইবার পারে মনে হয়।
কথাগুলো মাজু মেম্বার এতোক্ষন চুপচাপ শুনছিলো। এবার সে ধমক দিয়ে ঐ মিয়ারা কি শুরু করলা এ্যা কি শুরু করলা। এক কাম করো আশপাশ যতো গাও আছে সবহানে খবর বিলাও বেবাক আইসা দেইহা যাক। তারা চিনবার পারে কিনা তুমরা হুদাই কাউলা কাউলি কইরো না তো।
এমনিতেই একখান চিন্তার মধ্যি আছি।যাও যাও পারলি যেরাম কইলাম সেরাম খবর বিলাও।
ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ছামেদ আলী চেয়ারম্যান এসে হাজির। সবাই একসাথে সালাম
আসসালেমালাই কুম চেয়ারম্যান সাব।
চেয়ারম্যান মুখে কোন উত্তর না দিয়ে শুধু সালাম নেওয়ার ভঙ্গিতে মাথাটা একটু নাড়লো।তারপর লাশের কাছে এগিয়ে গিয়ে লাশটা ভালোভাবে দেখে নিলো।তারপর মাজু মেম্বার চেয়ারম্যান কে ডেকে নিয়ে পাকুড় গাছতলায় যেখানে আমরুল বসার জন্য ব্রেঞ্চ পেড়েছে সেখানে বসালো।সাথে সাথে লাশের কাছে মানুষের সব জটলা পাকুড় গাছের নিচে চলে গেলো।লাশ পাহাড়ায় তখন শুধু পরিষদের চৌকিদার দুজন। মানুষের জটলার ঠিক মাঝখানে ব্রেঞ্চের উপর চেয়ারম্যান,মাজু মেম্বার,গনি মোল্লা,আসগর আর করিম উল্লাহ বসা।
মাজু মেম্বার সবাই কে থামিয়ে দিয়ে ঐ মিয়ারা তোমগো মুকখান কি বন্ধ থাহে না,হারাদিন প্যাচ প্যাচ করা লাগে কে? দেখতাছো না চেয়ারম্যান সাব আইছে হেই ঠিক করবো কি করন লাগবো।চুপ করো তো মিয়ারা।
সবাই মাজু মেম্বারের ধমকে চুপ হয়ে গেলো।
এবার ছামেদ আলী চেয়ারম্যান জেরা শুর করলো ঘটনার আদ্যাপান্ত জানতে।
তা এই লাশখান প্রথম দেখলো কেডা?
যে চেয়ারম্যান সাব গনি নাকি দেখছে।
তুমি থামো তো মেম্বার বেশি কতা কও ক্যা।যে দেখছে আমি তারে জিগাইছি তারেই কইতে দেও।
তা গনি তুমি কি দেখিছো কও তো একটু শুনি, আর এই সকাল সকাল তুমি এইহানে কেন আইছিলা, এদিকে তো ভয়ে কেউ আহে না বাবা।
না চেয়ারম্যান সাব তা না। ঘটনা হইলো ঐ যে জমিডা দেখতাছেন না ঐডাতে পানি দেওন লাগবো কিনা হেইডা দেখতে আইছিলাম।তয় একা একা আমার ঐ সব ভুতে একটু ভয় ডর কম, তাছাড়া সকাল সকাল ভুত পেত আইবো কোত্থেইকা।তো আইসা দেহি ভেট গাছের চিপা দিয়া একখান ছিট কাপড়ের লাহান দেহা যায়। মনে মনে ভাবলেম এইহানে কাপড় কিসের।এই দিহে তো কেউ তেমন আহে না।যেই ভেট গাছের মিধ্যি গেছি চেয়ারম্যান সাব দেহি এই লাশখান উপুড় হয়া পইড়া আছে।হারা গায়ে কুনো কাপড় নাই।প্ররথমে ভয় পাইছিলাম, মনে করছিলাম ভূত পেত কিছু।তয় পরে সাহস কইরা কাছে যাইতেই দেহি না এইডা তো একখান মাইয়া মানুষের লাশ।মনে হয় কুন বজ্জাত আকাম কুকাম কইরা লাশহান এই হানে ফালাই গেছে। উদোম শরির দেইখা আমার গায়ের চাদরখান লাশের গায়ে ঢাইকা দিয়া একনাগারে দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে বাড়িত যাইয়া খবর দেই। মেম্বার সাবরেও আমিই খবর খান পৌছাইছি।
তাই না মেম্বার চাচা।
হুম --
বলে মাজু মেম্বার একটু মাথা নাড়লো।
ও বুঝছি।তা মিয়ারা তোমরা লাশের গায়ে হাত দিছো কে।এহন পুলিশ আইসা তো ভেজাল করবো।
পাশ থেকে আমরুল-
মেম্বার চাচাই তো উল্টাইতে কইছে।
ঐ আমরুইল্লা কি কইতাছোস, চাপা সামাল দে।তোর থেইকা বুদ্ধি নিমু নাকি?
ধমক দেয় মাজু মেম্বার।
থামো তো মেম্বার। যা হবার হইছে। এখন কি করা যায় সেইডা চিন্তা করো।এই মাইয়ারে তো দেহি কেউ চেনে না এহন থানা পুলিশে খবর দেওয়া ছাড়া তো কুনো উপায় দেখি না।
চেয়ারম্যান সাব আশপাশ দুই চার গায়ে খবর দিয়া দেহি। কোন গায়ের মেয়েছেলে? তারপর না হয় থানা পুলিশ করা যাবো।
মাজু মেম্বার কে উদ্দেশ্য করে- তা দাও মেম্বার কিন্তু এই লাশ তো ভালো মরা না থানা পুলিশে খবর না দিলি শেষমেশ আমরা বিপদে পড়মু।
তুমি এক কাজ করো মেম্বার চৌকিদারে দিয়া থানায় একখান খবর দেও।দেশে আইন বলে তো একখান কতা আছে নাকি?
আচ্ছা চেয়ারম্যান সাব খবর দিতাছি বলে একজন চৌকিদার কে ডেকে থানাতে খবর পাঠালো মাজু মেম্বার।
এবার গনি মোল্লা চেয়ারম্যান ছামেদ আলীকে উদ্দেশ্য করে -
চেয়ারম্যান সাব একখান কতা।
এই মাইয়া হিন্দু না মুসলমান হেইডা কিন্তু কওন যাইতাছে না যদি মাইয়াডা হিন্দু হয় তাইলে কি হইবো চেয়ারম্যান সাব।
মাজু মেম্বার ও গনির কথার সাথে সায় দেয়।এতোক্ষন এই ব্যাপারে চিন্তা কারো মাথায় আসে নি।সবাই লাশের বিকৃত বিষয় আর লাশের পরিচয় নিয়েই আলোচনা করছিলো।কিন্তু গনি মোল্লার কথায় এবার তাদের নতুন ভাবনা যুক্ত করে।তাদের মধ্যে এখন মেয়েটার পরিচয়ের চাইতে লাশটি হিন্দুর নাকি মুসলমানের সেই চিন্তার ঢেউ খেলে যাচ্ছে।
জটলাতে তখন একটাই আলোচনা -
হায় হায় এইডা কি কতা।তাই তো লাশ ডা যদি হিন্দু কারো হয় তাইলে কি হবো।জমিতনের মাও এই কথায় একটু নড়েচড়ে বসে। কারন হিন্দু না মুসলমান সেটা না জেনে সেই তো মাজু মেম্বারের কথায় লাশটা নিজের হাতে উল্টিয়েছিলো।
আ্যা কতা তো ঠিকই কইছে গনি।তাইতো মাইয়া ডা হিন্দু না মুসলমান না জাইনা আমরা কেন এতো কাউলাইতাছি প্রশ্ন করে জমিতনের মা।
আরে থামো তো মিয়ারা থামো আগে কথা কইবার দেও ধমক দিয়ে সবাইকে এবার থামিয়ে দেয় ছামেদ আলী চেয়ারম্যান।
বিষয়খান আগে আমারে বুঝতে দেও দেখি।কি কইলা গনি মিয়া আবার কও তো?
না মানে মাইয়াডা যদি হিন্দু হয়?
তাও তো ঠিক মিয়া। তয় আশপাশ গায়ের মানুষ আসুক দেকুক। দেখি কেউ চিনবার পারে কিনা। তারপর দেখা যাইবো।যদি কেউ চিনবার পারে তাইলে তো মিটাই গেলো।মাইয়া ডা হিন্দু না মুসলমান তখন জানাই যাবো। আর এক কাম কর তো আমরুল যা ঈমাম সাহেব মোসলেম উদ্দিন রে একটু খবর দে, কবি আমি সালাম দিছি জলদি যেন এইখানে আসে।
পাকুড় গাছের নিচে হিন্দু না মুসলমান এই প্রশ্নের আলোচনা চলতেই থাকে।একেক জনের অভিমত একেক রকম।এরি মধ্যে আমরুল ঈমাম সাহেবের সাথে দেখা করে ফিরতি খিবর নিয়ে এসেছে।
ঈমাম সাহেব কি কইলো রে আমরুল?
ঈমাম সাহেব কইলো আর একটু পরে জোহরের আযান হইবো। তিনি যোহরের নামাজ পইড়া আসবেন কইছে।
দেখতে দেখতে সকাল থেকে বেলা যে কখন যোহরের ওয়াক্তে পৌছাইছে সে দিকে কারোই কোন খেয়াল ছিলো না।আমরুলের ফিরতি খবরে সবার হুস ফিরে আসে।
জমিতনের মা তো বলেই বসে -
হায় হায় কি কস আমরুল্লা।
যোহরের ওয়াক্ত হয়া গেছে?
হিন্দু না মুসলমান তার কোন খবর নাই নামাজ কালাম বাদ দিয়া হুদায় বইসা আছি, যাই গাও গোছল কইরা আবার নামায পড়তে হবো।তার মধ্যি আবার মরা খান ধরছি।বলে সে বাড়ির পথে পা বাড়ালো।
নামাযের ওয়াক্তের কথা শুনে এবার একে একে ছামেদ আলী চেয়ারম্যান,মাজু মেম্বার,গনি মোল্লা, সহ মুরুব্বিরা সবাই নিজ নিজ বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছে।
বাড়ি যাওয়ার পথে মাজু মেম্বার চৌকিদার কে কড়া নির্দেশ দিয়ে গেলো কোন মতেই যেন কেউ লাশের কাছে ঘেষতে না পারে।সে যেন চেয়ারম্যান ফিরে না আসা পর্যন্ত কড়াভাবে লাশ পাহাড়া দেয়।
মাজু মেম্বার অতিশয় কড়া মেজাজের মানুষ সেটা চৌকিদার রা সকলেই খুব ভালো করেই জানে ।তাই মেম্বারের এ নির্দেশ অমান্য বা সামান্য এদিক ওদিক হলেই চৌকিদারের আর আস্ত রাখবে না।
আস্তে আস্তে ভিড় কমতে থাকে।নেংটা উলঙ্গ ছেলেপেলে আর একজন চৌকিদার ছাড়া প্রায় সকলেই গ্রামের পথে পা বাড়ায় ,কেননা যোহরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে ।
এ গ্রামে ধর্ম অনুযায়ী যার নামাজের বয়স হয়েছে তাকে নামাজ পড়তেই হবে। ঈমাম মোসলেম উদ্দিন এর এব্যাপারে কড়া নির্দেশ আছে।নামাজ না পড়লে তার বাড়িতে খাওয়া দাওয়া, তার সাথে উঠা বসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সকলে মসজিদ মুখো। নিয়ম অনুযায়ি শরির পাক থাক বা না থাক।
এ গ্রামে ইংরেজ আমলের মতো দৈত শাসন চালু আছে ।এক মাজু মেম্বারের শাসন দুই ইমাম মোসলেম উদ্দিনের শাসন।মাজু মেম্বারের শাসনের হেরফের ঘটলেও ইমাম মোসলেম উদ্দিনের শাসনের কোন হেরফের হবার বিন্দু মাত্র অবকাশ নাই। তার এক কথাই রাজ্যর সকল শাসন।তিনি যাই বলুন না কেন তাই ঠিক।গ্রামের লোকজন মেনেই নিয়েছে অনেকের ভুল হতে পারে কিন্তু মোসলেম উদ্দিনের কখনোই ভুল হয় না।আর তাই তো মোসলেম উদ্দিনের ফতোয়া অনুসারে জহির উদ্দিনের লাশ কেউ ছুয়েও দেখেনি আর জানাজা ছাড়া কাফন ছাড়া কোন রকম মাটি চাপা দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি টু শব্দ করার সাহস কেউ দেখায় নি।
দুপুরের রোদে ধিরে ধিরে পশ্চিমে ঢলতে থাকে সেই সাথে পাকুড় গাছের ছায়াও বাড়তে বাড়তে লাশের সমস্ত শরির ঢেকে দেয়।বেতের লাঠি হাতে চৌকিদার একসময় আনমনে পাকুর গাছের ছায়ায় বসে পড়ে,ছেলে পেলে গুলোও এখন আগের মতো ওতোটা হুরোহুরি করছে না।তারাও চুপচাপ গোল হয়ে বসে গেছে মাটিতে ,বোধ হয় দিনের ক্লান্তি তাদের বুকের উপর ভর করেছে কিছুটা তাই সবাই ঠিক লাশের মতোই চুপচাপ হয়ে গেছে।
বিকেলের ঠিক একটু আগে মাজু মেম্বার, চেয়ারম্যান, আমরুল্লা, গনি মোল্লা,ঈমাম মোসলেম উদ্দিন আর সাথে থানা থেকে আসা দুজন খাকি পোষাক পড়া পুলিশ আসলো। পুলিশের পোষাক পড়া একজন হয়তো দারগা টারগা কিছু হবে।তবে এ তল্লাটের কারোই এ সম্পর্কে কোন ধারনা নাই শুধু চেয়ারম্যান আর মাজু মেম্বার ছাড়া। সবাই এখন হা করে খাকি পোষাক পড়া দুজন পুলিশ কে দেখছে। তাদের তাকানোর ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছে তারা আমাজন থেকে আসা কোন আজব প্রানী কে দেখছে।
পুলিশ আর চেয়ারম্যানের,ইমামের বসার ব্যাবস্থা করা হলো আমরুল্লার আনা ব্রেঞ্চের উপর। বাকিরাও যে যার মতো যেখানে ফাক পেলো বসে গেলো। আর তাদের ঘীরে ছেলে মেয়ে বুড়ো, সবার তো জটলা আছেই। ইমাম মোসলেম উদ্দিন আসছে দেখে আর মেয়ে ছেলে কেউ লাশের এদিকে আসার সাহস করেনি। তারা যে যাকে যেমন করে পারে আড়াল করে বেশ দূরে থেকেই দেখছে ঘটয়ার শেষ কি হয়।লাশটা ভালো করে ঘুরে ঘুরে দেখে এসে পুলিশ ঘটনার সব বিস্তারিত শুনে খতায় কি সব হিজিবিজি লিখে নিলো। তারপর সেই খাতায় চেয়ারম্যান আর মাজু মেম্বার টিপ সই দিলো।তারা দুজনে কেউই স্বাক্ষর দিতে জানে না। স্বাক্ষর দিবেই বা কেমন করে তারা কি আর স্কুলের গন্ডি মারিয়েছে কখনো। তাদের সময় ওসব কিছু ছিলো না।টাকার জোর আর কূট বুদ্ধির জোড়েই কিনা গত ইলেকশনে ফজু চেয়ারম্যান কে একধাক্কায় কুকোপাত করেছে ছামেদ আলী। এ জন্য অনেক খরচা পাতিও করতে হয়েছে তাকে ।আর এখনো যে এ এলাকার কেউ স্কুল মূখি সেটা কিন্তু নয়।দু একজন ছেলে পাশের গায়ের স্কুলের বারান্দায় গেলেও এ গায়ের মেয়েদের ও কথা মুখে আনার ক্ষেত্রেও মোসলেম উদ্দিনের কড়া হুকুম আছে।
এরি মধ্যে পাশের গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে ছুটে এসেছে ।কিন্তু কেউই লাশের পরিচয় দিতে পারছে না।সবার মুখে একই কথা এ জন্মে এ মেয়ে মানুষ তারা দেখেনি। উপায়ন্ত না দেখে ছামেদ চেয়ারম্যান পুলিশের দারোগাকে বলছে -
কি মুশকিল হইলো দারোগা সাব কন দেহি। এই মাইয়া যে কুন গায়ের কেউ তো কইবার পারতাছে না। নাম পরিচয় না জানলি কেমনে কি হবো। আর তাছাড়া আরেক খান সমস্যা আছে দারোগা সাব।
কি সমস্যা?
মানে --- বেবাকে কইতাছে এই মাইয়া হিন্দু না মুসলমান সেইডা না জানলি তো মূর্দার দাফন কাফন করাও ঝামেলা।
হুম সেটা ঠিকই ।একটু ঝামেলাই বটে। লাশের পরিচয় জানলে আমাদের তদন্ত কাজে সুবিধা হতো। তারপরও দেখি আপাদপত লাশ আমরা থানায় নিয়ে যাচ্ছি, এর মধ্যে যদি পরিচয় মেলে তো ভালো আর যদি পরিচয় না পাওয়য়া যায় তবে ময়না তদন্ত শেষে লাশ আপনাদের ফেরত দিবো। আপনাদের যা ভালো মনে হয় নিজ দায়িত্বে করবেন। যেহেতু লাশটা আপনাদের গ্রামেই পাও্যা গেছে সেহেতু পরিচয় না পেলে তো লাশের একটা ব্যাবস্থা করতেই হবে।
হঠাত পাশ থেকে ইমাম মোসলেম উদ্দিন দাড়িয়ে কইলেই হলো নাকি। আমগো গায়ে লাশ পাও্যা গেছে তা কি হইছে?
এ্যা – কি হইছে?
এইডা তো একে মেয়ে ছেলের লাশ ,তার উপর আকাম কুকাম করছে ।কি জানি কোন নষ্টা মেয়েছেলের লাশ এইডা । দেখেন গিয়া হয়তো আকাম করতে আইসা মরছে। আর এই মাইয়ারে এই তল্লাটের তো নয়ই আশপাশ দু চার গায়ের কেউওই চেনে না। এই মাইয়া হিদু না মুসলমান সেইডাও কেউ কইতে পারে না।
ফস করে আমরুল্লা – বেটা ছেলে হইলে না হয় কাপড় তুইলা দেখন যাইতো হিন্দু মা মুসলমান।
সকলেই আমরুলের কথায় দাত কেলিয়ে খিলখিল করে হেসে ফেলে।
ঐ আমরুইল্লা চাপা খান কি চুপ থাহে না। দেখতাছোস না দারোগা সাব ইমাম সাব কতা কইতাছে ।এক ধমকে থামিয়ে দেয় মাজু মেম্বার।
আপনে লাশ নিয়া যাইবেন নিয়া যান ।তয় এই লাশের দায়িত্ব আমগো গায়ের কেউ নিবার পারবো না।আকাম কুকাম করা মাইয়ার লাশ এমনিতেই আমগো গায়ের ইজ্জত নষ্ট হইলো ।দশ গায়ের বেবাক মানুষ আইসা ছিছি কইরা গেলো। যে মাইয়া আমগো গায়ের কেউ না তার লাশ নিয়া আমগো কুনো ভাবনা নাই। তাছাড়া এইডা মনে হয় হিন্দু মাইয়া। মুসলমান কেউ হইলে কেউ আকাম করোনের সাহস পাইতো না।
কি কও মিয়ারা এই মাইয়ার দায়িত্ব কি কেউ নিবা নি। সবার উদ্দেশ্য মোসলেম উদ্দিন।
না না না ইমাম সাহেব এই মাইয়ার লাশ আমরা নিতে পারুম না।লাশ নিয়া দারোগা সাব যা করার করুক।আমগো কী ঠেকা পড়ছে। বুঝুক আর না বুঝুক মনে সায় থাকুক আর না থাকুক মোসলেম উদ্দিনের কথার উপরে কথা বা সিদ্ধান্ত দেও্যার ক্ষমতা সয়ং ছামেদ চেয়ারম্যান এর ও নাই।
অগত্যা চৌকিদার দিয়ে দারোগা লাশ মুড়ীয়ে থানায় নিয়ে গেলো ।যাবার সময় অবশ্য ছামেদ চেয়ারম্যান দারোগার বা পকেটে একশত টকার দুটো কড়কড়া নতুন নোট গুজে দিলো আর কানের কাছে কান নিয়ে অনুরোধ করে-
দারোগা সাব একোটু দেইখেন। আমগো যেন কুনো সমস্যা না হয়।
ঠিক আছে বলে দারোগা থানার পথে পা বাড়ালো ,আর দারোগাকে এগিয়ে দিতে সাথে গেলো মাজু মেম্বার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী হিন্দু নাকি মুসলিম? কেউ জানেনা, তবে মাটি দিবে কিভাবে? এইটুকু জানার জন্য বিশাল গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। কিন্তু শেষে পুলিশে নিয়ে গেল, আর জানা হল না। অসাধারণ গল্প। অনেক শুভকামনা সহ ভোট আর সে সাথে আমার পাতা আমন্ত্রণ রইলো....
জসিম উদ্দিন আহমেদ ধৈর্য্য সহকারে পুরো গল্পটা পড়লাম। ভাল লাগল। তবে গল্পটা যে গতি দিয়ে শুরু করেছিলেন, শেষটায় তা যেন হারিয়ে গেছে। আপনার লেখনীর স্টাইল ভাল। চালিয়ে যান। অামার গল্প পড়ার আমন্ত্রণ রইল।

১৬ জুলাই - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী