এবারের স্বাধিনতা দিবস.

স্বাধীনতা দিবস (মার্চ ২০১৯)

Ms Ahmad
  • ১২৮
এমন করে মানুষ হাসতে পারে, স্বচোক্ষে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না। পৈচাশিক ধরনের হাসি দেখে আমার নিজের বিখ্যাত মুচকি হাসি কোথায় যেন হারিয়ে গেল। আমি ইতি পূর্বে তার সামনে বসে বসে মুচকি হাসছিলাম। কিন্তু এখন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে মলিন মুখ করে বসে আছি। এক ধরনের চিন্তাও ভর করছে আমাকে। ব্যাপার কি! হঠাৎ এমন হাসি শুরু করে দিলো কেন ? চিন্তার জগত হাতড়ে যা বুঝে আসছে; তা হলো, মনে হয় আমার হাসি দেখে তার মনে প্রশান্তি ধরেনি। তাই সে আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলতে চাচ্ছেন যে হাসতে হলে আমি যেমন করে হাসি তেমন করে হাসো। কি চুনো চুনো করে হাসো!
এবার তার ধমক খেয়ে ধ্যান ভাঙ্গল। আমাকে ধমক দিয়ে বলল, কি ব্যাপার! এমন অন্ধকার মুখ নিয়ে কি ভাবছো ? এ বয়সে খালি খালি হাসতে হবে। কারণ ছাড়াই হাসতে হবে। যেন মানুষ পাগল ভাবতে শুরু করে। কি শেয়াল মুখ করে বসে আছে? দেখে মনে হয় মৃত্যুর জন্য আজরাইল আ. দিন তারিখ সময় বলে গেছে। তাই এতো চিন্তা ভার করেছে। আমার সামনে গোমড়া মুখে বসে থাকলে চলবে না। বুঝে আসছে নাতি?
আমি দাদার কথা শুনো ভ্যাবাচেকা খেয়ে ঢোক গিললাম। কয় কি এই বুড়ো দাদা! খালি খালি হাসতে হবে বলে। যাতে মানুষ পাগল ভাবতে শুরু করে। দাদার সব কথা বুঝে এসেছে, কিন্তু শেয়াল মুখ আবার কেমন? তা বুঝে আসলো না। কৌতুহল জাগল, সাথে সাথে প্রশ্ন করলাম। আচ্ছা দাদা! তোমার সব কথা বুঝলাম কিন্তু শেয়াল মুখ এ কথাটা বুঝলাম না। ঐযে শুধু শুধু হাসতে বললে, পাগলের মতো হাসতে বললে আরো কি কি যে বললে... সব বুঝেছি শুধু এটা বুঝিনি।
এবার দাদা নড়ে চড়ে বসে বলল, ভারি মুশকিল তো! এখনকার ছেলেদের সাথে কথা বলাই বিপদ। এরা একটু আগ বাড়িয়ে বেশি বুঝে ফেলে। ও.. তোরা তো আবার ডিজিটাল জগতের পোলা। একটু বেশি বুঝাই তোদের অভ্যাস। যাক ও কথা, শেয়াল মুখ জিনিসটা বুঝস না, আমি কি বলি ভালো করে শুন। শেয়াল মুখ মানে, শেয়ালরা দিনে বের হতে পারে না। তাই সারা দিন মুখ ভার করে বসে থাকে নিজের গর্তে আর অপেক্ষা করে কখন রাত হবে। তাই তোকে বললাম, শেয়াল মুখ করে বসে আসছ।
দাদাকে বললাম, এখন তো শেয়াল দেখি না দাদা। আচ্ছা দাদা! তুমি কি করে বললে? শেয়ালরা মুখ অন্ধকার মানে গোমরা করে বসে থাকে। তুমি কি দেখেছ? এমনও তো হতে পারে সারা রাত এদিক সেদিক হাটতে হবে তাই দিনে আরাম করে ঘুমায়। এই ঘুম তাদের জন্য অনেক খুশির ব্যপার।
দাদা বলল, কি আবোল তাবোল বলছ, আমি নিজের চোখে দেখেছি, শেয়াল অন্ধকার মুখ করে সারা দিন বসে থাকে। এই ছোকড়া শুন তাহলে! যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। নিজের দেশকে স্বাধীন করার জন্য গোপনে ঘর ছেড়ে ইন্ডিয়া পাড়ি দিলাম। সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে আসলাম। রাত হলে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা পাড়ি দিতাম। আর দিনে ঝাড় জঙ্গলে কখনোবা কবরস্থানে ঘুমাতাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় কত এলাকায় যে গিয়েছি তার হিসাব নাই। এখন অনেক কিছু ভুলে গেছি। বয়স হয়ে বুড়ো হয়ে গেছি তো! একবার নদীর পাড়ে একটি জঙ্গলে ঘুমানোর জন্য নির্বাচন করলাম। জঙ্গলটি এতো নিস্তব্ধ ও গাছ গাছালিতে ঢাকা ছিলো যে, দিনের বেলায় গা ছমছম করে। শরীরের পশম খাড়া হয়ে যায়। যাই হোক মরতে তো হবেই। তাই না নাতি? তাছাড়া শুনেছি পাক বাহিনি আমাদের বাড়িতে কয়েক বার হানা দিয়েছে। কে জানি বলে দিয়েছে, আমি নাকি মুক্তিযুদ্ধে বের হয়েছি। রাজাকার তো হবেই, এরা আমাদের যা ক্ষতি করেছে তা পাক বাহিনি করতে পারে নাই। পাক বাহিনি বাবা-মাকে ধরে নিয়ে অত্যাচার করে ছেড়ে দিয়েছে। তবে কি মনে করে ঘর বাড়িতে আগুন দেয় নাই তা বলতে পারবো না। ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া তো পাকিদের পচা অভ্যাস ছিলো। পরে বাবা-মা আমাকে বলেছে, পাক বাহিনি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলো, আমি কোথায় থাকি। তারা বলেছিলো, আমরা জানি না। তারা বাবা-মাকে হুমকি দিয়েছিলো যে, আমাকে পেলে হত্যা করা হবে।
আমি দাদাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম, ও দাদা! তুমি তো জঙ্গল থেকে বের হয়ে বাড়িতে চলে এসেছো। জঙ্গলে কি করলা তা তো বললা না?
দাদা রেগে-মেগে ধমকের সুরে বলল, আমি জঙ্গলে যাবো কেন ? তোরা পিচ্চি পোলাপান আসলে খারাপ। কথার মাঝখানে বামহাত ঢুকিয়ে দিবি। কিচ্ছু বুঝিস না। আবাল কোথাকার!
আমি বললাম, দাদা! আমি আবাল না, আমরা ডিজিটাল যুগের পুলাপাইন। একটু বেশি বুঝি। তুমি যুুদ্ধের সময় গা ছমছম করে নদীর পাড়ে কোন জঙ্গলে গেছিলা মনে আছে ?
দাদা হো হো করে অট্ট হাসি দিয়ে বলল। আরে আসলেই তো, কি বলতে ছিলাম ভুলেই গেছিলামরে। বুড়া হয়ে গেছি তো, কি কস! তোর বয়স হলে তোরও এমন হবে। সারা রাত হাটতে হাটতে সকালে ঐ জঙ্গলে গিয়ে পৌছলাম। আমাদের মিশন হলো দিনটা এখানে আরাম করে সামনের রাতে শহরে ঢুকবো। শহরে আরো মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের সাথে মিশে পাকিদের অস্থায়ি একটি ক্যাম্পে হামলা করবো। ঐতো আবার ভুলে যাচ্ছি। আমরা পাঁচজন গা ছমছম করে জঙ্গলে ঝুপড়ির নিচে গামছা বিছিয়ে শুয়ে পড়লাম। তার আগে অস্ত্রগুলো লুকিয়ে ফেললাম। বালিশ বলতে মাথার নিচে হাত। একজনকে পাহারাদার নিযুক্ত করলাম। আমি সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লাম বাকিদের খবর জানি না। তারা কখন ঘুম গেছে তা জানি না। যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন ঠিক দুপুর। সূর্যটা ঠিক মাথার উপর। আমি পাহারাদারে দায়িত্ব নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখলাম চতুর্দিকে। আমার সাথিকে ঘুম যেতে বললাম। আমি আস্তে আস্তে নদীর কিনারে গেলাম। দেখলাম কয়েকটি লাশ পানিতে ভাসছে। স্রোতের সাথে সাথে ভেসে যাচ্ছে। আমি আরো একটু এগিয়ে গেলাম। ভালো করে তাকালাম। দেখি চিনতে পারি কি না। না চিনতে পারিনি। চিনতে পারবো কেমনে। লাশগুলো ফুলে কালো হয়ে গেছে। মনে মনে বললাম, না জানি পাকিরা কত মানুষ মারছে। দেখতে দেখতে লাশগুলো অনেক দূরে চলে গেল। আমি বসে আছি। হঠাৎ নদীর পাশে একটি গর্তের দিকে চোখ গেল। গর্তে দেখলাম কিসের মুখ। আস্তে আস্তে একটু এগিয়ে গেলাম। দেখলাম শেয়াল। শুয়ে আছে। আমাকে দেখেছে তবুও দৌড়ে পালালো না। আশ্চর্য হলাম, ব্যাপার কি শেয়াল মানুষ দেখলে তো দৌড়ে পালায়। কিন্তু এ শেয়াল তো দেখি পালোলো না। আবার চোখ মিটমিটও করছে। মরাও তো না। তা হলে কি শেয়াল জানে, যে দেশে যুদ্ধ চলছে। আর আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমি দেশকে মুক্ত করতে যুদ্ধ করছি। দেশের সব কিছু মুক্ত করতে যুদ্ধ করছি। আর শেয়ালও তো দেশের একটি জন্তু। তাই তারও মুক্তি দরকার। লক্ষ্য করলাম, শেয়ালটি নিজের পা দুটো সামনে বিছিয়ে দিয়ে তার উপর মুখ খানা রেখে শুয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে, কি যেন ভাবছে। অন্ধকার গোমড়া মুখে বসে আছে। এখন বুঝেছিস তোকে শেয়াল মুখ করে বসে থকার অর্থ ?
আমি দাদাকে বললাম, তুমি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে শেয়াল বানিয়ে ছাড়লে। কাজটা কিন্তু ঠিক করোনি। আমি কিন্তু মনে কষ্ট পেয়েছি।
দাদা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আরে আমার আদরের নাতিন। তোকে আমি শেয়াল বলতে যাবো কেন। একটি উদাহরণ দিলাম। তোর মুখটা দেখে ভার ভার মনে হলো। তাই একটি গল্প বললাম।
আমি বললাম, দাদা সামনের মাসে কিন্তু স্বাধীনতা দিবস। মনে আছে তো ? দাদা, তুমি কিন্তু গল্পটা অর্ধেক রাস্তায় জঙ্গল পর্যন্ত রেখে দিয়েছো। তার পরে কি হলো বললে না।
আরে হ তো আমি তো তোকে বোকাই ভাবতাম। এখন দেখি, তুই ভালই চৌকন্য। বলতেছিলাম; আমরা পাঁচজন ছিলাম। আমরা সারাদিন জঙ্গলে কাটিয়ে এশার নামাজের পর পর শহরের উদ্দেশ্যে বের হলাম। অস্ত্রগুলো গোপন জাগা থেকে বের করে আনলাম। অনেক অস্ত্র ছিলো। আসলে শহরের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র সরবারাহ ও সহযোগিতা করা আমাদের একটি উদ্দেশ্য ছিলো। তখন মনে হয় ডিসেম্বরের দুই মাস আগের সময় হবে। দিন দিন আমরা সফলতার দেখা পাচ্ছিলাম। বিভিন্ন জাগায় মুক্তিযোদ্ধারা সফল প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলো। ক্রমাণ্যয়ে পাকিরা কোন ঠাসা হয়ে যাচ্ছিলো। তখন মনে হচ্ছিলো যে, মার্চ মাসে শুরু হওয়া যুদ্ধ খুব শিঘ্রই বিজয়ের মুখ দেখবে। আমরা একটি স্বাধিন দেশ পাবো। যাইহোক! আমরা পাঁচজন মিলে শেষ রাতে শহরে এসে পৌছলাম। কাঙ্খিত ঠিকানা খুজে বের করে নিশ্চিত হওয়ার পর অস্ত্রগুলো বুঝিয়ে দিলাম। ঐদিন বিকালে শহরে তুমুল যুদ্ধ শুরু হলো। আমাদের পাঁচজনের একজন মারা গেলো। আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হলাম। সেদিন রাতেই শহর ত্যাগ করে আবার ঐ জঙ্গলে আসলাম। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, পরের দিন হঠাৎ করে শেষ রাতে আক্রমণ চালাবো। এবং চোখের পলকে ক্যা¤প গুটিয়ে দিবো আর সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে যাবো। যা সিদ্ধান্ত তাই করলাম। তখন আমরা একসাথে চারজন ছিলাম। তবে আমাদের সাথে আরো আটনয়জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। যারা শহরে থাকতো। আমরা শহরের বাসিন্দা না হওয়ার কারনে শহরে থাকতে পারতাম না। কেননা তখন অপরিচিত কাউকে দেখলেই হত্যা বা গ্রেফতার করা হতো। আর তারা শহরের বাহিরে বেশিদিন অনুপস্থিত থাকতে পারতো না। কেননা অনুপস্থিত থাকলে রাজাকাররা রিপোর্ট করতো। এভাবেই মার্চে শুরু হওয়া যুদ্ধ দীর্ঘ নয় মাস চলার পর ডিসেম্বরে শেষ হলো। আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেলাম। আজো স্বাধীনতা দিবস এলে মনে হয়, ছোট্ট একটি দেশ স্বাধীনতার জন্য কতো ত্যাগ সহ্য করেছে। কত মানুষের রক্ত ঝড়েছে। কত সম্পদ নষ্ট হয়েছে। মত মেয়ের ইজ্জত নষ্ট হয়েছে। যাইহোক আমরা একটি বীর জাতি হিসেবে পৃথিবীতে মাথা উচু করে দাড়াতে পেরেছি তাই বড় কিছু। পৃথিবীবাসী আমাদেরকে বীর জাতি হিসেবে মনে করবে তাও কিন্তু কম না। আজ অনেক কথা বলেছি তোর সাথে। তোর দাদি শুনলে বকবক করবে। ধমক দিবে আমাকে। বুড়ি হয়ে গেছে তো মাথা একটু চড়া হয়ে গেছে। সব সময় খেচখেচ করে আমার সাথে। আমিও কিছু বলি না। কয়দিনইবা আর বাচবে। এখন আর কষ্ট দিতে চাইনা। তবে তোর দাদি আমাকে কিন্তু অনেক ভালবাসে। আমাকে না দেখলে খালি ক্যাচক্যাচ করবে। কই গেলাম। বাজারে বা দোকানে কি? বাইরে কি ? ইত্যাদি প্রশ্ন শুনতে শুনতে মাথা ধরে যায়। আমি কি বলি জানস নাতিন? যুবক বয়সে যদি এমন বার বার বাড়িতে আসতে বলতে, এতো হিসাব নিতে, তাহলে আরো কয়েকটি ছেলের মুখ বেশি দেখতে পারতে। তোর দাদি তখন লজ্জায় লাল হয়ে যায়। আমার পেটে খোচা মেরে চিমটি কেটে বলে কি জানস? যা শয়তান। শরম আছে কিন্তু তো দাদির! একেবারে লজ্জাবতী গাছের মতন। টোকা মারলেই হয়েছে। আজকালকার মেয়েদের শরম বলতে কিচ্ছু নাই। ঐযে তোর দাদির আওয়াজ শুনা যায় এখন আর কোন কথা বলতে পারবো না। আরেকদিন আইছ। আজ আর না।
দাদা এমনই। দাদিকে প্রচন্ড ভয় পায় আবার ভালবাসে প্রচুর। এখনও দাদিকে নিয়ে রোমান্সে মেতে উঠে। প্রতিবার স্বাধিনতা দিবসে, বিজয় দিবসে ইত্যাদি জাতিয় দিবসে সাদা পানজাবি পাজামা পড়বে। দাদা সুযোগ পেলেই গল্প ধরবে কিন্তু দাদির জন্য শেষ করতে পারে না। ধমক খেয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়। হাপানি রোগ আছে তো। লাগাতার কথা বলতে শুরু করলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। ডাক্টর কথা কম বলতে আদেশ দিয়েছে। ফুসফুসে পানি জমে যায় বেশি কথা বললে। তবে দাদার মন একেবারে সাদা। কোন প্যাচমোচর নাই। এবার স্বাধীনতা দিবস দাদার সাথে বাড়িতে উৎযাপন করবো। দাদিকে ফুফুর বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে চুটিয়ে গল্প করবো। জানতে পারলে অবশ্য দাদির গালিও শুনবো। যাকগে! তার প্রিয় মানুষকে কষ্ট দেয়ার অপরাধে গালি দেয়ার স্বাধীনতা দাদির আছে। আর দাদির বকা খাওয়ার অভ্যাসও আমাদের আছে। মনে মনে দাদিকে একটি আইসক্রিম খাওয়ানোরও প্ল্যান আছে। আশাকরি তাতেই দাদির মুখ বন্ধ হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত গল্পটা পড়লাম । ভাল লাগল । শুভকামনা রইল ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী দাদা নাতির গল্পটা খুব ভালো হয়েছে। তবে প্যারা প্যারা করে লিখলে আরও ভালো হত বলে মনে করি। আসলে- সেই সময় নাকি মরণের ভয় ছিল না। বাঙ্গালীর স্বপ্ন ছিল একটাই স্বাধীনতা। অতঃপর সে স্বাধীনতার ফল কি আজ? শুভ কামনা কবি।।
রণতূর্য ২ ভালো লিখেছেন।ভোট রইল।আমার কবিতা টি পড়ার আমন্ত্রন রইল।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

একজন মুক্তযোদ্ধার গল্প এবং দাদা মুক্তিযোদ্ধার সাথে নাতিনের স্বাধিনতা ‍দিবস উদযাপন নিয়ে গল্প। বিষয় বস্তুর সাথে গল্পের পূর্ণ মিল ও সামঞ্জস্যতা রয়েছে।

১৭ মার্চ - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী