ক্ষোভ

পার্থিব (আগষ্ট ২০১৮)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
  • ১১
  • ৬৭
একদিন বিলীন হয়ে যাবে এই ঢেউ পবনের সুর, বিলীন হয়ে যাবে এই হাতে হাত ধরে বহুদূর পথচলা
মুহূর্তে সমুদ্রের গর্জনে উত্তাল-পাতাল ঢেউ খেলবে আকাশে বাতাসে,
সেদিন কেটে যাবে সব অভিমান, কেটে যাবে মনের সব বিষণ্ণতা।
এই যে কত প্রত্যাশা রেখেছি, কত তাচ্ছিল্যের ভিড়ে জমে উঠা আকাঙ্খা নীরবে পুষে নিয়েছি
অতঃপর এক একটি স্বপ্নের কিনারায় দাঁড়িয়ে কত নীরবতা গোপন করে রেখেছি;
অথচ এখানে প্রতিবাদহীন এক শিশি বিষ ছাড়া আর কিছু জেগে উঠেনি!

মাঘের হিম শীতলতায় পলেস্তারের মত হোচট খেয়ে পড়েছে জীবনের বোধ;
আষাঢ়িয়া মেঘে নিদারুণ ভিজেছি, শ্রাবণের নদীতে একাই ডুডেছি
পোড়া মনের ভিতর বিষণ্ণতার আস্তর খসে খসে প্রাচীর জমেছে নিদারুণ,
ধীরে ধীরে অঘ্রাণের চুপসা বিকেল ছুঁয়ে গেছে রক্তাক্ত ক্যাম্পাস
তবুও কেউ ফিরে দ্যাখিনি কতটা নৃশংস জ্বরে কেঁপে উঠেছে হৃদয়
কত প্রতীক্ষার দরজায় দাঁড়িয়ে ঘাসফুলটি কতকাল ধরে হাওয়ায় দুলছে!

হেটে যাইনি সমুদ্রের কিনারায় কতদিন, তবুও জলস্রোতের ছলচ্ছল শব্দে আমায় খোঁজে
ফিসফাস অন্তহীন বিরাগে আমার বুকে তাদের প্রহেলিকার অবিমিশ্রিত ধ্বংসলীলা আঁকে,
অতঃপর কিছু অশ্রুবিন্দু জমিয়ে রাখি প্রাত্যহিক বেদনার শহরে, বিরহপীড়িত সন্দিহান রাজপথে
হৃদয়ের দৌড়ঝাঁপ কুড়ে খায় তীব্র অনুশোচনা কিংবা স্বার্থপরতায়, তবুও মৃত রাত্রির বুক ছিড়ে একটু বাঁচার আকুতি করি
অথচ সেখানেও বিষাদের জলচাপ ছাড়া আর কিছু হাত বাড়ায়নি, উত্তপ্ত মরুভূমি ছাড়া আর কিছু জেগে উঠেনি!

জানি তোমাদের দেওয়া এই নীরবতা, বিষণ্ণতা আর কিছু অভিমানের সমাপ্তি ঘটবে একদিন
অবহেলার শহরে জেগে উঠা রঙিন মুহূর্তগুলো সুপ্ত ডানা মেলে আচমকা হারিয়ে যাবে
এই নির্লিপ্ত দু’চোখ থেকে বিদায় নিবে অনুতাপের এক একটি বিষ বেদনা;
সেদিন সব উদাসীনতা কেটে যাবে, রাতজাগা পাখির কণ্ঠ মলিন হয়ে যাবে!
অতঃপর প্রণয়ের দীর্ঘবিরতির প্রত্যাখ্যান ঘটবে; কত চাওয়া পাওয়া, কত বেদনার অবসান ঘটবে
সেদিন আর কল্পনারা হাসাবে না, আধখানা রাত সঙ্গী হয়ে কারও অপেক্ষায় দীর্ঘশ্বাস ফেলবো না
একতারাটা বাঁজবে না, বাউল বেশে পথের গলিতে বিরহের গান শুনাতে আর আসবো না;
না হয় সেদিনও এই মসৃণ হাসির ছলে নিদ্রার শরীরে কাফন জড়িয়ে দিও
অতঃপর অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করে রেখে এসো, তবুও তোমরা সুখে থেকো...!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইশরাত মাহেরীন ভালো লাগলো বেশ।
উত্তম চক্রবর্তী অতঃপর অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করে রেখে এসো, তবুও তোমরা সুখে থেকো...!! অনন্য বিরহের কাব্যে অভিভূত হলাম। খুব ভালো লিখেন আপনি। সুন্দর শব্দচয়ন। ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন অহর্নিশ।
অফুরান কৃতজ্ঞতা কবি। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) ভাই... নিজেকে আর কতবার ভাঙবেন লেখায়। প্রতিনিয়ত কি সুন্দর লেখা। চমৎকার প্রকাশ। আপনি নিজেকে আরও ছারিয়ে যাবেন... নেই কোন সন্দেহ । শুভ কামনা।
অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। ভালোবাসা নিরন্তর
খোরশেদুল আলম বেশ ভালো লিখেছেন।
ARJUN SARMA নুরেআলম সাহেব, নমস্কার, আমি তো পুরস্কার নিতে আসতে পারছি না, আপনি কি দয়া করে আমার হয়ে পুরস্কার টা গ্রহন করে আপনার কাছে রাখতে পারবেন? তাহলে আমাকে কিছু প্রমাণ পাঠাতে বললে পাঠিয়ে দেব। আপনি তো পুরস্কার নিতে যাবেই। আপনার মোবাইল ফোন নম্বর দিলে আমি কথা বলতে পারি। আমার নম্বর :7005708006
শ্রদ্ধেয় আমার এখনো একটি পুরস্কারও আনা হয়নি। যারা পুরস্কার নিতে যাননি, তাদের পুরষ্কার গল্প কবিতা ডট কম এর কর্তৃপক্ষ কাছে গচ্ছিত আছে। আপনার মত, আমার মত যারা পুরষ্কার নিয়ে আসেননি, তাদেরকে একসাথে মেইল দিয়ে সবগুলো পুরষ্কার একসাথে দিয়ে দিবেন। চিন্তা করার কিছু নেই দাদা, সে সময় না হয় নিয়ে যেতে পারবেন। একসাথে সবার সাক্ষাত হবে, এর চেয়ে মজা আর কি হতে পারে! তাছাড়া আপনি যদি এর আগেই নিয়ে যেতে চান, তাহলে গল্প কবিতা ডট কম এর কর্তৃপক্ষ এর সাথে ফোন দিয়ে অথবা মেইল করে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার ফোন নাম্বার- ০১৮৮১৮৭৩১০৯, ০১৯৪০৪১৭৩২৬; আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
তাছারাও এর ভিতরে পুরস্কারের যদি কোন মেইল আসে, তাহলে পুরষ্কার আনবেন কিনা আনবেন না হ্যাঁ/না কিছু বলে দিতে হয়, যদি কোন মন্তব্য না করা হয় তাহলে সে উক্ত পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হবে।
নাজমুল হুসাইন বন্ধু এত পর এসে আপনার লেখার এত উন্নতি দেখে আমি সত্যিই বিমোহিত।ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া
রাহাত অনুভবের সুদীর্ঘ পথজুড়ে পরিণত কিছু উপলব্ধির উৎকণ্ঠা। মুগ্ধতা রইলো।
মোঃ মোখলেছুর রহমান বরাবরই অসাধারন কবিতা পাই, এবারও তার ব্যতিক্রম দেখিনা।ভোট ও শুভকামনা রইল। আর হ্যাঁ ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম ততক্ষণে সব জায়গা প্রায় দ,,,,,,,,,খ,,,,,,,,,,,,ল,,,,,,,,,,,! পূণঃ শুভকামনা।
অফুরা ভালোবাসা দাদাভাই
মাইনুল ইসলাম আলিফ আপনার মতো কবিতা আমার খুব ইচ্ছে করে।অসাধারণ।শুভ কামনা রইল ভাই।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কষ্টগুলো একটু আলাদাভাবে বুকে এসে বিঁধে। একটা সময় আসে আমরা নিজের দিকে না চেয়ে আপনজনের সুখের জন্য নিজেকে কুরবানি করে দিতেও দ্বিধা করি না। কিন্তু যখন তারা দুঃখের দিন শেষে সুখের স্থান পায়, তখন তারা ভুলে যায় তাদের জন্য রৌদ্রে পোড়ানো মানুষটির কথা, হাড় কাঁপানো শীতের রাতের কঠিন পরিশ্রম করা মানুষটির কথা। আর তখন মনের ভিতরে বিশাল একটা আঘাতের সৃষ্টি হয়, যেখানে বিষণ্ণতারা বিভিন্নভাবে এসে কষ্ট রচনা করে। যার প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য এক একটি ক্ষোভ নিয়ে আসে। আর তাদের জন্য কষ্ট করা সে পুরনো স্মৃতিগুলো যখন আমাদের মনে পড়ে তখন নিজেকে কাফনে সাজানো লাশ ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। তবুও আমরা নিজেকে ভরসা দিই; তোদের দেওয়া এই নীরবতা, বিষণ্ণতা আর কিছু অভিমানের সমাপ্ত ঘটবে একদিন। সেদিনও যদি তোদের হিংসা লাগে, কথা বলতে ঘৃণা লাগে, অবহেলার পাত্র মনে হয় সেদিনও না হয় এই দেহটাকে কাফনে সাজিয়ে অন্ধকার কারাগারে রেখে এসে তোরা সুখে থাকিস, শান্তিতে থাকিস। তবুও প্রভু তোদের সুখে রাখুক। সচরাচর এ কাহিনীগুলো আমাদের প্রায় সবার জীবনে ঘটে থাকে। যা পার্থিব বিষয়ের সাথে একেবারে মিলবন্দন। -) সুতরাং আমার ''ক্ষোভ'' কবিতাটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করলে ''পার্থিব'' বিষয়ের সাথে শতভাগ সামঞ্জস্য পাবে বলে আশা করি।

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪