যে স্মৃতি নীরবে কোনো ভাষা খুঁজে পায় না যে স্বপ্ন ভেঙে ছাইভস্ম হয়ে ফিরে না পাই কোন অস্তিত্ব আমি আজও সে পথে থেকে তোমাকে খুজি, বুকের ক্ষত চিহ্নগুলো গভীর অরণ্যে লুকিয়ে রাখি। মহাজাগতিক ইট কাঠের জঙ্গলে ধাবমান ট্রেনের মত নিজেকে ভাসিয়ে দিই শুন্যতার ভিতরে ক্রমে ক্রমে জমিয়ে রাখি বিষাক্ত কাটা, নির্জনতা-ই পুড়িয়ে দিই সবটুকু সুখ আর নীল খামে জ্বালান দিই নীল কষ্টের ভাঁজ! কিন্তু কখনও তুমি চেয়ে দ্যাখোনি এ দু’চোখের কাজল ঘেঁষে বয়ে চলা খরস্রোতা নদীটি, ক্ষুধিত নিশ্বাসে নীলিমার সঞ্চারী পারাবাত ছুঁয়ে ক্যানভাসের ভাঙা খাঁচায় জমে উঠা আগ্নেয়গিরি, রাতের নিস্তব্ধ প্রহর ভেঙে দু’চোখের বুকে জন্ম নেওয়া ইনসমনিয়া...!
রুদ্র ইচ্ছা গুলো সে যে লুকিয়ে গেছে আর জ্বলে উঠেনি কোনদিন, একরাশ তৃপ্তি নিয়ে যারা একদিন অনন্তকালের জন্য বাসা বেধেছিল তারাও চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়েছে। সব ভুলেও যেন আজ ভুলতে পারি না প্রজাপতির হলুদ ডানায় তোমার সে রঙধনুর আকাশে আবিরে রাঙ্গানো সাঁঝ, আলতা মাখানো তুলির আঁচড় বেঁয়ে বার হাত শাড়ির পদযাত্রা, রাঙা ধুলোর মেঠো পথ ঘেঁষে রেটিনার অতল গহ্বর থেকে বের হয়ে আসা তোমার রুমালে নৈবেদ্য অশ্রুজল মুছে দিয়ে সারাজীবন পাশে থাকার আশ্বাস...!
অথচ আজ সে স্মৃতি মনে করে মোহন চাঁদোয়ার টানে বুকে বিষাদের ফেনিল তুলি, যেন আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি যেন ধূসর চিত্রলিপির বুকে শত বছর ধরে নীল কষ্ট গুলো জমিয়ে রেখেছি! এভাবে বুকের ভিতর কর্পূরের মত দোলে ক্ষুধিত নিশ্বাস নিমগ্নে আগুনে পোড়ি ঝুরঝুর ভেঙে পড়া বালুর মতোন, লালিত যৌবনও কম পোড়ে না, আক্রোশে ফেটে পড়ে কিন্তু সেখানে স্বপ্নের দগ্ধ ত্বক ছাড়া আর কিছু নেই!
হয় তো একদিন স্টোনহেঞ্জের পথ ভুলে পামির মালভূমির পথ ঘেঁষে আমার নিষিদ্ধ শহরে তোমার প্রবেশ হবে, না হয় সেদিন আকাশের নীলাভ আঁচল ছুঁয়ে নক্ষত্রের মত নিরিবিলিতে জ্বলে উঠা নির্ঘুম রাতের গোপন কান্না গুলো বুঝে নিতে পারবে, কিংবা সুনীল গগনে কালো আভায় লুকিয়ে থাকা মেঘের অভিমান গুলো উপলব্ধি করতে পারবে কল্পনার রাজপ্রাসাদ বেঁয়ে শ্রাবণের নদীতে নেমে আসা ধূসর পান্ডুলিপির কষ্ট গুলো আঁকতে পারবে, না হয় সেদিনও জলজ স্রোতে ভেজা আমার এ দু’চোখ তোমাকে উপহার দিবো, তবুও তুমি ভালো থেকো...!! আমার অশ্রুসিক্ত টেবিলে তোমার শেষ রৌদ্রচিঠির দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ
আপনার কবিতা দিন দিন আরো বেশি শাণিত হচ্ছে।চমৎকার সব শব্দের দারুণ দারুণ কারুকাজ।আমি কিন্তু আপনার এই কবিতাটি এই নিয়ে তিনবার পড়েছি।লগইন না করে পড়েছি দুইবার,ব্যস্ত ছিলাম বিধায় তখন মন্তব্য করতে পারিনি।বসন্তের শুভেচ্ছা সহ ভোট আর শুভ কামনা রইল।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
ভালোবাসার মানুষ যদি দু'চোখের কাজল ঘেঁষে বয়ে চলা খরস্রোতা নদীটি কখনো চেয়ে না দেখে তবে তা হৃদয়ে খুব আঘাত দেয়। অনেক মানসম্পন্ন কবিতা। আমার শ্রদ্ধা জানবেন ভাই। ভাল থাকবেন।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ )
হয় তো একদিন স্টোনহেঞ্জের পথ ভুলে পামির মালভূমির পথ ঘেঁষে
আমার নিষিদ্ধ শহরে তোমার প্রবেশ হবে----------------- প্রতিটি লাইন পরছিলাম আর চিন্তার জাল ছড়িয়ে ভাব ছিলাম, কি সুন্দর সব্দএর গাঁথুনি । যেন সব্দেরা এক ছন্দে নৃত্য করছে। খুব ভাল লাগলো পড়ে ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।