বিবর্ণ বন্ধকীনামা

আমার আমি (অক্টোবর ২০১৬)

নাস‌রিন নাহার চৌধুরী
মোট ভোট ২৬ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪.৫৩
  • ২০
  • ৪০
যেই মাটির ঘরটাতে আমাকে থাকতে দেয়া হয়েছে সেই ঘরের পাশেই পুকুর। জানালা দিয়ে কখনো কখনো পুকুরের পানির আঁশটে গন্ধ নাকে লাগে। আচ্ছা মাছের গন্ধ আঁশটে হয়, তবে আমি কেন বলছি আমার নাকে পুকুরের পানির আঁশটে গন্ধ লাগে? এই গন্ধটা এখন আর আমার ভালো লাগেনা। অথচ একটা সময় শ্বশুরের পুকুরের এই গন্ধটা নেবার জন্যই সন্ধ্যার অন্ধকারে পুকুরের পারে গিয়ে দাঁড়াতাম। বিবাহিত হয়েও স্বামীর ছায়া ছিলনা আমার উপর। যেই মেয়ের স্বামী নিরুদ্দেশ হয় তার বদনামের অন্ত থাকেনা। আর যদি আশেপাশে যুবক বয়সী দেবররা থাকে তাহলেতো কথাই নেই।

আজ আমার মেয়ের আসার কথা। আমার চারিত্রিক সনদপত্র নিয়ে। প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসারের সিল, স্বাক্ষর করা আর সবার মতো গতানুগতিক চারিত্রিক সনদপত্র নয়, এটা ডিএনএর টেস্ট রিপোর্ট।
আমার মেয়েটা পড়াশুনায় তুখোড়। ওর সবথেকে কাছের বন্ধু ও আমাকেই মনে করে এখন পর্যন্ত। কতো কিছু যে ও আমার সাথে শেয়ার করে তার ইয়ত্তা নেই। শখ ছিল বিদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে নামের আগে ডক্টরেট তকমাটা লাগাবে। কিন্তু দেশের শুরুটাই বেচারী সঠিকভাবে করতে পারেনি।
খুব স্বপ্ন নিয়ে ওর সাবজেক্টের থিসিস কোর্সটা নিয়েছিল। ও তখনও থিসিসের অআকখ কিছুই জানতো না, যদিও তার আগের কোর্সে একটা রিপোর্টে ও ৯০ প্লাস নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু ছয়মাস ও শুধু রিসার্চ টাইটেল নিয়েই ঘুরেছে সুপারভাইজারের পেছন পেছন। হতাশার চূড়ান্তে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল...কিন্তু দু-দু'টা দুধের বাচ্চা সামলে, রাতে বাচ্চাদের ঘুম পারিয়ে চোখের জল নিয়মিত লুকাতো আর পড়ায় মন বসাতো। ভাবতো এবার বুঝি ওর ফার্স্টক্লাস নম্বর মিস হয়ে গেল...ওর স্বপ্নের প্লেসটা বুঝি ও আর ধরে রাখতে পারলো না। হয়তো বিবাহিত জীবনের পরাধীনতা থেকেই কীভাবে দাঁত কামড়ে লেগে থাকতে হয় সংসার থেকে শিখে গিয়েছিলো। যেই লেগে থাকা বা স্বপ্ন দেখাটা ওর শৈশব বা কৈশোরে ছিলনা। ও গোয়েন্দা হতে চেয়েছিল। আমি কখনো জোর করিনি ওর ইচ্ছেতে। ও আসলে তখনও শিখেনি সুপারভাইজারের লোলুপ দৃষ্টি সামলে কীভাবে কৌশলে নিজের কাজ উদ্ধার করে নিতে হয়। তাই ছয়মাস পর বাধ্য হয়ে সুপারভাইজারকে বলেছিল 'স্যার, দুই বাচ্চা সামলে থিসিসের কাজ করতে পারছিনা, তাই ছেড়ে দিতে চাই।' আমার কাছে এসে গোপনে কেঁদেছে। শেষ পর্যন্ত ৩০০ নম্বরকে কোরবানি দিয়ে ১০০ নম্বরের প্র্যাক্টিকাম করেছে। হ্যাঁ, সেখানে ফার্স্টক্লাস নম্বর ছিল। কিন্তু মেয়েটা আমার তৃপ্তি পায়নি ডিপার্টমেন্টে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েও। কারণ একটাই ...থিসিস ছাড়া ও কোর্স শেষ করেছে।

ও এখনও ওর ক্যারিয়ার নিয়ে যুদ্ধ করছে। যুদ্ধ করছে ‘স্বামী’ নামক প্রভুর মন যুগিয়ে ক্যারিয়ার বাঁচাতে। ওর এই সংগ্রাম আমার ভালো লাগে দেখতে। আমি অনেক কিছুই পারিনি। আমি পারিনি নিজেকে পর্যন্ত বাঁচাতে। জীবন দিয়ে একটা ব্যাপার বুঝেছি, মেয়েদেরকে খুব বেশি কৌশলী, চতুর না হলে টিকে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে উঠে। আমি কৌশলী ছিলাম না বরং খুব বেশি বোকা ছিলাম। মানুষকে বিশ্বাস করতাম আরো বেশি। তার খেসারতই এখন আমায় দিতে হচ্ছে এই মাটির ঘরে থেকে। জানিনা জীবনের বাকী সময়টা কেমন করে কাটবে।

মাটির ঘরগুলো বেশ পুরনো। এখানে থাকাটা একটু কষ্টকরই বটে। আমার বিছানার একটু পাশেই বৃষ্টির পানি পড়ে ঘর ভেসে যায়। ঘরের বিভিন্ন স্থানে ইঁদুরের গর্তে ভরে গেছে। সেদিন শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির পর ঘর থেকে একটা সাপ বেরিয়ে গেছে। আমার করার কিছুই নেই। আমাকে এখানেই থাকতে হবে। পাশেই কয়েকটা পাকা ঘর। সেখানে ছেলে তার সংসার পেতেছে। আমাকে ওরা খাবারে কষ্ট দেয়না। কিন্তু ছেলে নিয়মিত মনে করিয়ে দেয় বন্ধকী জমি ছাড়িয়ে নিতে। আর সাথে এও জানিয়ে দেয় সেখানে মেয়ের কোন হক-দখল নেই। আর মেয়ে কার জন্মের সেটা নিয়েও ছেলের সন্দেহ নয় রীতিমতো সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছে সে। কখনো ঝগড়া তুলে মেয়েকে সাফ জানিয়ে দিতেও দ্বিধা করেনা।
বর্তমানে এলাকার চেয়ারম্যান হচ্ছেন আমার মামা শ্বশুর। উনার কাছে কোন সমস্যা নিয়ে গেলে মুখের উপর বলে দেন ‘আপনজনদের জন্যে কিছু করলে বদনাম হবে’। কিন্তু উনারই পরিবারে আমার স্বামীর সম্পত্তি আটকে আছে সেকথা কখনো তুলতে পারিনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি এলাকার মেম্বার ছিলেন। বিহারিদের নিরাপত্তার জন্যে মাটির নিচে বাঙ্কার তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমার মতো নিরাপত্তাহীন ভাগ্নে বউয়ের কথা উনার ভাবনায় আসেনি।

কিন্তু এসব কার কাছে বলবো? আর ছেলেতো আমার সাথে সৎবাপের মতো আচরণ করে। ছেলের ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জেই মেয়েটি ডিএনএ টেস্ট করাতে বাধ্য হয়েছে।
কখনও খুব নিবিড়ভাবে ও আমায় জিজ্ঞেস করেছে, ‘মা, আব্বাতো আপনাকে সেভাবে ছায়া দিয়ে রাখতে পারেননি। হয়তো সেই দুঃসময়ে, কখনো আপনার দূর্বলতম সময়ে কেউ আপনার কাছ থেকে সুযোগ নিয়েছে। তেমন কিছু হলেও কিন্তু আমার কোন সমস্যা নেই মা। আমি আপনাকে মা ডেকে যেমন বড় হয়েছি তেমনি বাবাকে বাবা জেনেই বেড়ে উঠেছি। এর বাইরেও যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে থাকে আমার দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। এসব নিয়ে ভেবে জীবনটাকে দূর্বিষহ করার কোন আগ্রহ আমার নেই।‘ আমি মেয়েকে বলতে পারিনি, আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সেই অন্ধকার হয়ে থাকা ইতিহাস। কেবল মলিন হাসি দিয়ে বলেছি, নাহ রে তেমন কিছু ঘটেনি। তুই নিশ্চিন্ত থাক। ও নিশ্চিন্ত থাকতে চেয়েছে। কিন্তু ছেলের সম্পত্তি দরকার। আমাকে নিয়মিত তাগাদা দেয় তাকে লিখে দিতে। ছেলের বউ এই নিয়ে প্রায়ই খোঁটা দেয়। একমাত্র ছেলেকে সম্পত্তি লিখে দিতে আমার এতো সমস্যা কিসের?
আমি বউকে বলতে পারিনি আমার সমস্যার কথা। যেই অপবাদে আজ আমার চারিত্রিক সনদ পত্র আসবে সেই একই অপবাদে আর কোন বিশেষ মেয়ের চারিত্রিক সনদপত্র কি আমার ছেলে আনবে? যেই মেয়ের ঔরষে আমারই ছেলের সন্তান রাখতে না পেরে সেই মেয়ে পৃথিবী ছেড়েছে?
ছেলে কলেজে পড়ার সময়ই উত্তর পাড়ার এক মেয়ের সাথে দেখতাম খুব ভাব হয়ে গেছে। আমার আপত্তি ছিলো না ওদের সম্পর্কে। ভেবেছিলাম ছেলে একটু রোজগেরে হোক। তারপর দিনক্ষণ দেখে ওর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে বিয়েটা পড়িয়ে দিব। কলেজ পাশ দেবার পর ছেলে যখন সরকারি চাকরির পোস্টিং-এ এলাকা ছাড়লো তার পরপরই মেয়েটা এসে প্রায়ই খুব কাঁদতো আমার কাছে। জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতো না কেবল অঝোরে কাঁদতো। একদিন ওর এক বান্ধবী বলে দিল সেই ভয়ঙ্কর সত্যি কথাটা যে, কী কারণে ও শুধু বোবার মতো কাঁদে আমার কাছে। ছুটিতে ছেলে যখন বাড়ি এসেছিল তখন ছেলেকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে বিয়ের কথা পারলাম। জানালাম মেয়েটিকে আমার অপছন্দ নয়। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ছেলে মুখের উপর বলে দিল ওই চরিত্রহীন মেয়েকে সে বিয়ে করবে না! আমি বোবা হয়ে গিয়েছিলাম! তাহলে আমার কাছে মেয়েটির কান্না কি মিথ্যে ছিল? অভিনয় ছিল? আমার কাছে এর জবাব নেই। মেয়েটির বান্ধবী দাই দিয়ে লুকিয়ে এ্যাবরশন করালেও শেষ রক্ষা হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে চলে গেছে এই মিথ্যে আশার পৃথিবী থেকে।
লজ্জায়, ঘৃণায় আমার গা রিরি করে উঠে। মায়ের উপর এতো বড় অপবাদ ছেলে আমার বিশ্বাস করলো কেমন করে? হয়তো নিজে অভিজ্ঞ বলেই সম্ভব হয়েছে বিশ্বাস করতে। কৈ আমার মেয়েতো বিশ্বাস করেনি কখনো! বরং আমাকে সবসময় বলেছে...’মা, এসব একদম গায়ে মাখবেন না। লোকের মন্দ পুষ্পচন্দ।‘

প্রায় ঘরের পুরুষরাই ঘর ছাড়ছে। কেউ ভয়ে পালাচ্ছে আর কেউবা দেশকে স্বাধীন দেখার আশায় ঘর ছাড়ছে। আমার ঘরের দু'জন পুরুষ দেশকে স্বাধীন দেখতেই ঘর ছেড়েছিল। ছেলেটার তখন কতোই বা বয়স! মেট্রিক পরীক্ষার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কে জানতো আমার ছেলে কখনোই মেট্রিক পাশ করতে পারবে না! কখনোই আর আমার বুকে ফিরতে পারবে না! ছোট ছেলেটি তখন নিতান্তই ছোট। স্কুলে যাওয়ার বয়স তখনও হয়নি।
মনে আছে নভেম্বরের একরাতে ছেলের বাবা এসেছিল। বলে গিয়েছিল কোন দুশ্চিন্তা না করতে। আর... শেষ আদর করে গিয়েছিল। পরেরবার যখন এসেছিল বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে..হাতে বড় ছেলের রক্তাক্ত জামা-কাপড়। তারপর আর ফেরেনি...। আমার কপাল পুড়েছিল তখনই। আমি জানতেও পারিনি।
মামা শ্বশুরের তিন ছেলের দু’জনই বাড়ি ছাড়া। একজন রয়ে গেছে। নিয়মিত আমার খোঁজ খবর রাখতো। কাছের পুরুষ বলতে তখন সেই দেবরই ভরসা ছিল (!)। সবধরনের সহযোগিতা তার কাছ থেকে পেয়েছি। সব পুরুষের ভেতরই হয়তো নারী লোভী একটা সত্তা বাস করে। যাদেরটা প্রকাশ পায়না তাদের বলি ‘ফেরেশতা’ আর যাদেরটা প্রকাশ পেয়ে যায় তাদের আমরা বলি ‘পশু’।
আমার দেবরটিকে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। কখনো হালকা রসিকতা করতো না তা নয়। গায়ে মাখার প্রয়োজন মনে করিনি।
এক সন্ধ্যায় সেই দেবর এসে পাকসেনাদের আর আলবদর বাহিনীদের কাছ থেকে ঘনিয়ে আসা বিপদ সম্পর্কে কিছু জ্ঞান দিয়ে গেল। সাথে এও বললো সম্পত্তি নাকি হাত ছাড়া হয়ে যাবে। যদি বন্ধক দিয়ে রাখি তবে যুদ্ধের সময়ে সেই বন্ধকের টাকা দিয়ে চলতেও পারবো আর যুদ্ধ শেষ হলে তা নিরাপদে ফিরে পাবো নইলে আলবদর বাহিনীর কেউ সম্পত্তির লোভে একা পেয়ে ভিটে ছাড়া করতে পারে। ছেলের বাবা ফিরে এসে যদি না পায়? কোথায় খুঁজবে আমাদের? দেবরের কথায় সেদিন যুক্তি ছিল। ফেলে দেবার মতো মনে হয়নি। সেই-ই ভিটেবাড়ি বন্ধক রাখতে সাহায্য করেছিল। হ্যাঁ, বন্ধকের টাকা যা পেয়েছিলাম তাতে পরের বাড়িতে গিয়ে ঝিগিরি করতে হয়নি, কিন্তু আজীবনের বন্ধকীনামায় আটকে গেছে সেই সম্পত্তি আমার দেবরেরই কাছে। জানতে পেরেছিলাম অনেক পরে, যখন আমার গায়ে অপবাদের বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
সম্পত্তি বন্ধক নেবার পর এক রাতে দেবর আমাকেও নিতে চেয়েছিল তার শরীরের খোড়াক হিসেবে। ক্লান্ত, বিবর্ণ আমার উপর ঝাঁপিয়ে পরা সেই পশুকে চিনতে আমার কষ্ট হচ্ছিল বড্ড। মেয়ে তখন আমার গর্ভে মাত্রই জানান দিচ্ছে। নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পুরুষাঙ্গে কামড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু দেরী হয়ে গিয়েছিল। যন্ত্রণায় কুকড়ে থাকা চাচার মুখটা দেখতে পায়নি কিন্তু মায়ের বিবস্ত্র অবস্থা দেখে ছোট ছেলে ধরেই নিয়েছিল বাবার অনুপস্থিতিতে মা বুঝি ‘চাচা’ নামের মামাতো দেবরের সাথে লটকে গেছে!

টেলিভিশন দেখার সুযোগ তেমন একটা হয়না। ওটা ছেলের শোবার ঘরে রাখা। স্কুল থেকে ফিরে নাতনী এসে আমাকে খবরের কাগজটা দিয়ে যায়। সেখান থেকেই জানতে পারি আজ স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের শাস্তি হিসেবে এর ফাঁসি হয়েছে। কাল ওর ফাঁসি হয়েছে। অনেকদিন পরতো বটেই তারপরওতো বিচার হচ্ছে। বিচারের রায় হচ্ছে আর তা কার্যকরও হচ্ছে।
স্বাধীনতা বিরোধী, মানবতা বিরোধীদের অপরাধের শাস্তি হয়। কিন্তু সেই সময়ের দেশপ্রেমী, মুখোশপরা, নারী লোভী পিশাচরা বহাল তবিয়তেই রয়ে গেছে আমার মতো ভুক্তভোগীদের সামনেই। এদের কোনদিন বিচার হবেনা। আর আমার বন্ধকীনামা হয়তো বিবর্ণ হতে হতে একসময় আমার ছেলের হাতে ঠিকই পৌঁছে যাবে যার প্রয়োজন আমার বা আমার মেয়ের নেই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জয় শর্মা (আকিঞ্চন) অভিনন্দন...
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই।
Lutful Bari Panna khub beshi golpo porte parini e shonkhyar. tobe jetuku porechi shekhane amar bichar khete jabe bujhini. ovinondon... :)
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে অভিভূত হলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।
Fahmida Bari Bipu Onek ovinondon. edhaning temon ekta asha hoi na. aj esheshe apnader safollo er golpo dekhlam. shuvokamona roilo..
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন।
কাজী জাহাঙ্গীর অভিনন্দন, অভিনন্দন আর অভিনন্দন, বিজয়ের কন্টকাকীর্ণ পথ হউক কুসুমাস্তির্ণ।
আপনার আন্তরিক শুভেচ্ছায় আপ্লুত হলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শাহ আজিজ অভিনন্দন গল্পে পুরস্কার পাওয়ার জন্য।
অনেক কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় লেখক। আপনার কাছ থেকে একটা পরামর্শ নেবার ছিল। মেসেজে যদি দেখতেন অনুগ্রহ করে।
Lutful Bari Panna আপনার লেখার হাতটি সাবলীল। একটানে পড়ে ফেলার মত। মেদহীন একটা গল্প। আর যে কাহিনী অথবা সে সামাজিক সমস্যা তুলে এনেছেন সেটা এত নিখুঁত ধরেছেন যে গল্পকারদের যে একটা সামাজিত দায় থাকে সেটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। হ্যাটস অফ!!!
আপনার মন্তব্যটির দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। এতো বড় মাপের একজন লেখক আমার মতো অতি সাধারণ একজনের লেখার যে মূল্যায়ন করলেন তা বাঁধাই করে রাখতে ইচ্ছে করছিল। শেষে ইচ্ছেটা পূরণ করলাম। আমার খুব প্রিয় কভার ফটোটা সরিয়ে আপনার মন্তব্যটাকেই কভার ফটো বানালাম। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন, শ্রদ্ধেয় লেখক।
মোজাম্মেল কবির মায়ের প্রতি ছেলের অবিশ্বাস খুবই কষ্টকর... চমৎকার প্লট। লেখার ধরণ অসাধারণ। এবার বেশ কিছু ব্যাতিক্রম ধর্মী লেখা পড়লাম। তার মধ্যে এই গল্পটি অন্যতম। শুভ কামনা রইলো।
নোটিফিকেশনে দেখলাম আপনি মন্তব্য করেছেন। সত্যিই একটু দুশ্চিন্তা নিয়ে ভয়ে ভয়ে মন্তব্যটি দেখলাম। আপনার মতো পাকা হাতের কারো এমন দারুণ মন্তব্য সত্যিই আমার মতো অতি সাধারণ লিখিয়েদের জন্যে অনেক অনুপ্রেরণার। কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয় লেখক।
তানি হক Onek din pore akti golpo porlam... Osomvob valo legeche.. Dhonnobad janben
সুখের অনুভব কখনো চিনচিনে হতে পারে এই প্রথম আপনার মন্তব্য পড়ে অনুভব করলাম। দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা রইল।
সেলিনা ইসলাম চমৎকার থিম নিয়ে লেখা গল্প...! তবে শেষে মনে হল গল্প বড় হবার তাগিদায় হঠাৎ-ই শেষ করে দেয়া হয়েছে! খুব ভালো লাগা গল্পে...নিরন্তর শুভকামনা।
আপনার উপস্থিতিতে আমার লেখা যেনো প্রাণ পেলো। বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি লেখায় বাড়তি মেদ যোগ করতে চাইনি। এখানে পুরুষ কর্তৃক কম বেশি তিনজন নারীর (এই সমাজের বাস্তবচিত্র বটে) রকমফের নির্যাতনের কথা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কিছু কুৎসিত মানসিকতার মানুষ, যাদের বর্তমানে সমাজে খুব নামডাক, সম্মান আছে- এসব মুখোশধারী মানুষের একটা চেহারা পাঠকের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। এদের আসল চরিত্র কেবল ভুক্তভোগীই জানেন। এই পৃথিবীতে এদের বিচার কোনদিনই হবেনা। কেননা আইনের যুক্তি প্রমাণে এরা অপরাধী নয়। আপনার উপস্থিতিতে যেনো কথারা পেয়ে বসেছে আমায়। অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা জানবেন।
সমাধিরঞ্জন মনে হচ্ছে অজ্ঞাতে অজান্তে আহত করেছি। আমি বলতে চেয়েছিলাম 'ড়' 'র' এর মিস্টেক খুব কমন না হলেও আনকমন নয়। এখন তো বানানের বিশেষ কেউ তোয়াক্কা করেনা। আর একটা কথা শিরোনামের মিল হওয়াকে প্লাজিয়ারিজম বলিনি তো! বিষয় এক না হলেই হল, এবন তা হবার সম্ভাবনা প্রায় নিল। নমস্কার
শ্রদ্ধেয় শ্রী সমাধিরঞ্জন, প্রথমত আমি মোটেও আহত হইনি। কারণ আমার কাছে পুরস্কারের চেয়ে সঠিক বানান, বাক্য বিন্যাস আগে। আমার কাছে সাহিত্য চর্চা যেমন প্রতিবাদের একটা মাধ্যম তেমনি সাধনার একটা মাধ্যমও বটে। আমরাই যদি সঠিকভাবে আমাদের ভাষাকে তুলে না ধরি তবে পরবর্তী প্রজন্ম কী শিখবে আমাদের কাছ থেকে? আমার একটা সীমাবদ্ধতা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি যে অন্যদের লেখায় বানান ভুল আমি ইচ্ছে করেই বেশি উল্লেখ করিনা, কারণ আমি জানি অনেকেই সমালোচনাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনা। কিন্তু বানান, বাক্য নিয়ে আমাকে কেউ কোন পরামর্শ দিলে আমি তাঁর কাছে মনে মনে কৃতজ্ঞ থাকি। কারণ একটাই আমি নিঁখুত হতে চাই। এবার আসি প্লাজিয়ারিজম নিয়ে...শিরোনাম হয় খুব সংক্ষেপে...সেখানে অনেকের শিরোনামের সাথে মিলবে এটাই স্বাভাবিক। মূল কবিতার বা গল্পের লেখার ধরণ, বাক্য উপস্থাপন এক রকমের না হলেই হলো। আপনার আলো আমার লেখায় নিয়মিত আলো ছড়াক। শ্রদ্ধা জানবেন।
বানান নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি থাকে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু কিছু শব্দ দেখলেই বুঝা যায় এটা টাইপিং এরর নাকি লেখকের সীমাবদ্ধতা, তাই ভাবটা বুঝে নিয়ে কিছু কিছু ওভার লুক করতেই হয়, সফটওয়ারের কারনে যুক্তাক্ষর সমস্যা তো আছেই, সবাইকে ধন্যবাদ।
@শ্রদ্ধেয় কাজী জাহাঙ্গীর, আমি নিজেও আমার পক্ষ হয়ে এতো সুন্দর করে বলতে পারতাম না, যতোটা আপনি আমার হয়ে বললেন। আপনার মতো তুখোড় সমালোচকের কাছ থেকে আমার এই লেখায় দু'টো অসাধারণ মন্তব্য পেয়ে আমি যারপরনাই পুলকিত। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আহত হননি জেনে খুব ভালো লাগছে, নইলে জীবনের শেষ লগ্ন অব্দি মনে হতো আমি কাউকে আঘাত দিয়েছি। সফটওয়্যারের যে মিস্টেক তা বোঝা যায় এবং ইগ্নরেব্ল। যেবন বন্ধু ছাপা হয়, বধুন বা কিন্তু কিতুন। তবে যে বানানে দক্ষ তারই অধিকার আছে তা ভাঙ্গার (ভেঙ্গে আবার গড়তে পারে সে চির সুন্দর)। আমার মনে একটি জিজ্ঞাসা আছে, করজোড়ে সবাইকেই বলছি, আমাদের (অর্থাৎ কলকাতার, যা মূলত আনন্দবাজার ডমিনেট করে) বাংলা বানান আর বাংলাদেশের বাংলা বানানে কি কোথাও কোথাও অমিল আছে? উত্তরের আশায় রইলাম (আমার কবিতার নায়িকার মতো আশা নয়)
শুভ সকাল। @শ্রদ্ধেয় শ্রী সমাধিরঞ্জন, আপনার উত্তর আমি দিতে গেলে সময় চাই। কারণ খুব ভালো করে না জেনে বলতে চাই না। তবে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। কারণ ভাষার উপর আপনার দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। আপনার মন্তব্যগুলো থেকেও অনেক শিখছি। শ্রদ্ধা রইল।

২৮ মার্চ - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ২২ টি

সমন্বিত স্কোর

৪.৫৩

বিচারক স্কোরঃ ২.৮ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ১.৭৩ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪