একটা খোলা চিঠি

আমার আমি (অক্টোবর ২০১৬)

দিপেশ সরকার
  • ১৯
জানিনা কেমন আছিস? মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে। দেখতে ইচ্ছে করে খুব। তখন মন আর বিবেকের সাথে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়ে তোকে ফোন এস,এম,এস করে ফেলি যদিও আমার তোকে ডিস্টার্ব করা বারন।
তারপর ও ফোন করলে আমার ভুলের সাজা তুই বেশ ভালো করেই দিস। একবার নয় অনেক বার বার বার সে আঘাত আমি সয়েছি। তাই এখন আনেকটা শুধরে নিয়েছি। বলতে পারিস সময় আমাকে বাধ্য করেছে তোর থেকে দূরে সরে যেতে। যেদিন তোকে প্রথম দেখে ছিলাম বলতে ক্ষতি নেই আমার পুড়ানো প্রেমিকের আদল খুজে পেয়েছিলাম তোর মাঝে। তারপর বন্ধুত্ব, সময়ের সাথে পথ হেটেছি অনেক। তারপর ভালোলাগার শুরু। একদিন মনের অজান্তেই মন দিয়ে ফেললাম তোকে। কিন্তু বলতে পারিনি। কারন একদিন জানলাম আমারি এক বন্ধু তোকে পছন্দ করে। সেদিন মন ভেঙেছে নিরবে বুঝতে দিইনি কিছুই।আবার একসাথেই চলেছি আড্ডা মেরেছি, হাসিয়েছি,দূরে সরে যেতেও চেয়েছি। একদিন তোকে কাঁদতে দেখে জেনেছিলাম তোর প্রেম ও ব্যার্থ,তো প্রেমিক তোকে ঠোকিয়েছে। না সে আমার বন্ধু নয় অন্য কেও। সেদিন তোর আরো পাশে আস্তে চেয়েছিলাম তোর কষ্ট ভূলাতে। না কোন ভালোবাসার অধিকার নিয়ে নয় একটা ভালো বন্ধু হয়ে।যানিনা কতটা কষ্ট মুছে ফেলতে পেরে ছিলাম তোর।তবে চেষ্টা করে ছিলাম অনেক। কারোন তোর মতো আমিই একদিন হারিয়ে ছিলাম আমার প্রথম প্রেম। তাই যানতাম হারানোর যন্তনা কি।এভাবে কবে যে আমি তোর মনে জায়গা করে নিয়েছিলাম যানিনা। এক শুভদিনে তুই আমাকে জানালি তুই আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিস। বিশ্বাস কর সেদিন টা আমার কত আনন্দের ছিল আমিই জানি।তবু মনকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না এটাকি সত্যি। হ্যা সত্যিই ছিল কিন্তু সেদিন ও পারিনি তোকে গ্রহন করতে। অবশ্য ফিরিয়েও দিইনি। বলেছিলাম অভি তোকে ভালোবাসে আর তুই তো জানিস ও আমার বন্ধু এবার তুই বল আমি কি করে তোকে,,,,,। সেদিন অনেক কেদেছিলি।লুকিয়ে আমিও কেদেছি অনেক বিশ্বাস কর। তারপর যখন বললি আমি তোকে ছাড়া মরে যাব, অভি আমাকে ভালোবাসে কিন্তু আমি তো না।তোকে না পেলে কি আমি ওকে আপন করে নেব কক্ষন না। তাই সেদিন আর আটকে রাখতে পারিনি গোপন সত্যিটা "আমিও তোকে খুব ভালোবাসিরে সুদিপা।" সেই থেকে হাতে হাত ধরাধরি।সেই থেকে কথা দেওয়া নেওয়া, সেদিন ছিল অনেক প্রতিশ্রুতি। কেউ কোন দিন হাত ছারবো না।সেই থেকে আমার দুঃখে তোর চোখে জল।
আমার খারাপ লাগাই তোর মন খারাপ।দুজনার খারাপ ভালোতে সেই থেকে ভাগ।আমার জন্য তুই তোর নিজেকে অনেক বদলেছিস আমিও বলদে যেতে চেয়েছিলাম তোর মনের মতো হতে।। যানিনা কতটা পেরেছিলাম। সব সম্পর্কের মতো আমাদের সম্পর্কে ও ছিল মান অভিমান মাঝে মাঝে মন খারাপ। কখনো তোর কারনে আমার খারাপ লাগা আবার কখন আমার জন্য তোর।তবে হাজার আভিমান সব মিলিন হত দুজনার দেখা হলেই। সেল ফোনে চলতো গভির আলাপ এস,এম,এস। আমার ফোন ধরতে দেরি হলে তোর এস,এম,এস এর উত্তর দিতে দেড়ি হলেই তুই অধির হয়ে উঠতিস,আমারো তাই।এই নিয়েই ছিল বেশি মন কষাকষি। কোন সময় ফোন ব্যাস্ত পেলে দুজনেরি ছিল হাজার প্রশ্ন। বেশি আমিই করতাম আর তোর মনে হতো আমি মিথ্যে তোকে সন্দেহ করি।কিন্ত বুঝতে চাইতিস না ওটা সন্দেহ নয় ভীষন ভয় হত তোকে হারিয়ে ফেলার।আমি একা কোথাও গেলে তোর যেমন ভয় হত কি করছি, কোথায় আছি আমারও ঠিক তাই সন্দেহ নয় ভয় হত।তাই তুই একা বেড়িয়ে ফোন না ধরলে,এস,এম,এস না করলে সন্দেহ না ভয় হত। ভয় হত তুই দুনিয়ার অনেক কিছুই চিনিস না ভেবে। অনেক সরল ছিলি তুই তাই ভয় হত।তুই দোষ করলে অনেক কথা রাগে শুনিয়ে ফেলতাম তোকে সন্দেহ নয় ভারানোর ভয়ে। তারপর লুকিয়ে কাদতাম তোকে কষ্ট দিতাম বলে। এক সময় মাঝে মাঝের এই অভিমান রোজ কারের ঝামেলা হয়ে গেল। তখন ভাবতাম আচ্ছা আমরা যখন বন্ধু ছিলাম তখন তো এমন হত না। তখন দুজন দুজনকে অনেকটা চিনতাম বুঝতাম আজ যেন দিন দিন কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছি। আমি ভালো কিছু বললে ও তার থেকে তুই খারাপ মানে টাই বের করে নিতিস। আমার খারাপ লাগা গুলো মনে হত তুই ভুলেই গেছিস, ফোনে ব্যাস্ত এস,এম,এস করে উত্তর নেই। তাই সেদিন অনেক অভিমানে বলেছিলাম তুই কী চাস আমি তোর জীবন থেকে সরে যায়? না সেদিন আমাকে সোরে যেতে হয়নি।তুই সরিয়ে দিলি তোর মন থেকে অনেক অনেক অনেক দূর। যতটা দূরে সরিয়ে দিলে এতোটা ঘৃণা করা যায়, এতোটা নিষ্টুর হওয়া যায়। যাকে ভালোবেসে মন দিয়ে ছিলি সুদিপা,যাকে ভালোবের সরির দিয়ে ছিলি,যার সাথে দেখা না হলে কথা না হলে পাগল হয়ে যেতিস একদিন,যে খেয়েছে কিনা না যেনে খেতে পারতিস না, যার চোখের এক ফোটা জল ছিল তোর চোখের বন্যা।তাকে অনেক সহজেই পর করতে পারলি।তাকে অনেক সহজেই দূরে সরিয়ে দিতে পারলি।অনেক অনেক নিষ্ঠুর হতে পারলি। মনে পরে যেদিন তুই তোর প্রথম প্রেমিক কে হারিয়ে অনেক কেদে ছিলি তারপর আমাকে পেয়ে বলেছিলি কোন দিন হাত ছারিস না।মনে পরে আমার বুকে কি কি স্বপ্ন একে ছিলি,চিনতে পারিস হাত ধরে চলা পথ। দেখ আমি আজো পথ চেয়ে বসে আছি তুই কিন্ত কথা রাখলিনা। মনে পরে একদিন আমি তোকে বলতাম আজ তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস একদিন এমন হবে আমিই তোর কাছে এতো খারাপ হয়ে যাব যে আমার মুখ তুই দেখতে চাইবিনা। আমার কান্নাই আজ তোর চোখে জল আসছে না।বলেছিলাম একদিন আমি তোর জন্য পাগলের মতো কাদবো আর আমার চোখের জল সেদিন তোর অভিনয় মনে হবে। আজ আমার হাত ছারতে চাইছিস না। একদিন আমি তোর বিরক্তের কারন হব। আজ মিলিয়ে দেখ সব মিলে গেছে।
আমার না খেয়ে থাকাই তোর নাকি গোলা দিয়ে নামতো না, দেখ আজ আমি অনেক গুলো দিন না খেয়েই কাটিয়ে দিয়,আমার এক ফোটা চোখের জলে তোর চোখে বন্যা হত না, আজ দেখতেই পাবিনা আমার চোখের বন্যা।আমার রাতে ঘুমপরিয়ে নিজে ঘুমাতিস আজ জান্তেও পারবিনা কত রাত এ দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি। তবু প্রতিদিন আমার যান্তে ইচ্ছে করে তুই ঠিক মতো খাস তো,সরিরের যন্ত নিস তো, এখন আর রাত জেগে তারা গুনিস না তো, ঠিক মতো ওশুধ খাস সরির খারাপ হলে, মা-এর সাথে অভিমান হলে কথা না বলে থাকিস না তো?ভীষন জানতে ইচ্ছে করে রে। ভীষন জানতে ইচ্ছে করে আজ ও কি আমার জন্য একটুও ব্যাকুল হয় তোর মন। সকালে আমার ঘুম ভাঙাতে ভুল করেও সেল ফোনে হাত চলে যায়, ভুল হয়না একবার ইচ্ছে করনা আমার সাথে একটু কথা বলতে??
হয় না যানি। কারন তুই অনেক বদলে দেছিস আর এটাই হবে আমিও তোকে বলতাম। মনে আছে যেদিন বলে ছিলাম আমি তোকে, আমি তোর হাত ছেরে দিলে তুই আবার আমার জাইগাতে কাওকে বসিয়ে নিবি হযতো.........। সেদিন অনেক খারাপ লেগেছিল আমার এ কথাই তোর। অনেক অভিমান করে আমাকে জরিয়ে ধরে কেদে ছিলি। আজ ফেসবুকে তোর পোষ্ট গুলো দেখে বুঝতে পারি তুই কত বদলে গেছিস। বুঝতে পারি তুই কতটা সরল কতটা পথ চলতে শিখে গেছিস। বুঝতে পারি কত সহজে পরকে আপন করতে পারিস আর আপনকে পর। তবু যেনে রাখ আজ মিত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে জীবনকে বুঝেছি অসল নকল বন্ধু কে চিনেছি। এক সময় যেমন তোর কাছে অনেক খারাপ হতে চেয়েছিলাম তুই যাতে আমার জীবনে না আশিস। তারপর যখন আমার খারাপ কে ভালোবেসে আমার জীবনে এলি তখন অনেক ভালো হতে চেয়ে ছিলাম তোকে অকরে ধরে রাখতে।তোকে নিয়ে বাঁচতে। ঠিক তখনিই তোর কাছে খারাপ হলাম তোকে হারালাম। তারপর অনিয়মে একদিন যখন এলকোহল আর নিকোটিন ছুয়ে রোগটা শিরাই শিরাই বিষ ঢালতে লাগলো, যেদিন যান্তে পারলাম আমি অতিথি মাত্র। সেদিন তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে হয়ে ছিল সুদিপা। কিন্তু আমি বারবার বলার পর ও তুই এলিনা আমি এতো খারাপ হয়ে গেছি, অবিস্বাস ও করিস। সেদিন অনেক কষ্ট হয়েছে কিন্তু নিয়তিকে মেনে নিয়েছি সুদিপা। তাই সেদিন থেকেই তোর কাছে আরো খারাপ হতে চায়। যেন আমার শেষ খবরটা তোর কানে গেলেও তুই না কাদিস ঘৃনাই। জানিস আমি লুকোচুরিটা তোর কাছে শিখে ছিলাম। আজ অনেক কিছু লুকাতে হয়ে।অনেক মিথ্যে বলতে হয় সবার সাথে একটা সত্য লুকাতে।তুই বলতিস না ভালো অভিনয় করতে পারি একটা সত্য লুকাতে অভিনয়টা জারি রেখেছি সবার সাথে।
তবে একটা কথা মনে রাখিস শেষ চিঠিটা পেয়ে। একদিন যেমন তোকে বলে ছিলাম তুই আমাকে সহজেই ভুলে যাবি আজ আর একটা কথা বলে রাখি আমার অস্তিত্ব ফুরিয়ে যাওয়ার পর তোকে আমার জন্য ভাবাবে। কারন যানবি যে খেলাই তুই মেতেছিস সেটা জীবন নয়। তোকে একদিন ভাবাবে। শুধু এচিঠি লেখার একটাই কারন কি কারনে আমার হাত ধরে ছিলি আর হাত ছারলি পারলে ফেরারিকে একবার বলিস।

ইতি:-
ফেরারি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ আজিজ গুরুতর আবেদন জবাব পাবার তরে। ভাল লাগলো । এসব জীবনভিত্তিক সত্যি কাহিনীর জন্য কোন মন্তব্য চলেনা। শুভ শারদীয় ।

২৬ এপ্রিল - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪