অসম্পূর্ণ মানব

দুঃখ (অক্টোবর ২০১৫)

মাহমুদ সজীব
  • 0
  • ৪২
পূর্ণিমা রাতের কেমন যেন আলাদা একটা অনুভূতি আছে। এখন আবার শরতকাল, চারদিক থেকে মাদকতা পূর্ণ একটা আবেশ আসে। সবাই খোলা আকাশের নিচে আড্ডা দিচ্ছে, একসাথে গান ধরছে, মাঝেমাঝে উচ্চ স্বরে হাসির আওয়াজ আসতেছে। কিন্তু আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে আজব সব চিন্তা করতেছি। "আচ্ছা আমি ওদের মত নয় কেন?" জারিফ চিন্তা করে।
জারিফ প্রকিতিগত ভাবে অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন। সব সময় চুপচাপ থাকে। চুপচাপ থাকাটা অবশ্য ইচ্ছাকৃত না, পরিবেশের প্রভাব তার ভিতরের মানুষ টাকে আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় করে ফেলছে।
বাড়ির কথা মনে পড়ে জারিফের। একান্নবর্তী পরিবার,সব সময় আনন্দ উৎসব লেগে থাকে। ভাইয়া-আপুরা কত মজা করে। কিন্তু জারিফ সব উৎসব থেকে দূরে থকতে চেষ্টা করে। ওখানে থাকলে মজা করতে করতে সব সময় সে মজার বিষয়বস্তু হয়ে যায়।
"আচ্ছা আমি ওদের মত মেধাবী নয় কেন? ওরা কত সুন্দর করে কথা বলে, আমার কথা গুলো কেমন যেন এলোমেলো হয়" জারিফ ভাবে।
আব্বু-আম্মুর কথা মনে পড়ে জারিফের, তারা কি ভাইয়া-আপুদের কে বেশি পছন্দ করে? উত্তর জানে না আবিদ। তবে জানে সবাই কেন যেন তাকে করুণা করতে চাই। হয়তো পরিবারের সবাই তাকে ভালোবাসে, কিন্তু ভালোবাসার প্রকাশ করার ধরন টা ওর পছন্দ না।
বন্ধুদের দিকে তাকায় জারিফ, এখনো সবাই আড্ডায় মত্ত।ওর দিকে কারো কোন মনযোগ নেই। অবশ্য ওদের কোন দোষ দেয়া যায় না, জারিফ ওদের আড্ডায় কখনো প্রানের সঞ্চার করতে পারেনি। আসলে চিন্তা ভাবনায় মিল না থাকলে কিছুই হয় না। তারপরও ওরা জারিফের বন্ধু, ওকে নিয়ে কবিতা না লিখুক মাঝেমাঝে কৌতুক লিখে। জারিফ অবাক হয়, আচ্ছা মানুষ আরেকজন মানুষকে এত হেয় করে কিভাবে!
ইংলিশের স্যার একদিন ক্লাসে বলে জারিফ তুই ইংলিশ পড়ে কি করবি, এখনো বাংলাই উচ্চারণ ঠিক করতে পারলি না। সবাই হো হো করে হাসা শুরু করলো। জারিফের ওইদিন আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করতেছিল, কিন্তু পারে নাই। ওই দিন জারিফ একটা নতুন জিনিশ বুঝলো, আত্মহত্যা করতে সাহসের দরকার হয়।
অনেকদিন আগে শুভ একদিন ওকে বলছিল ও নাকি অটিস্টিক। জারিফ বাসায় গিয়ে আম্মু কে জিজ্ঞেস করে,আম্মু কিছু বলে নায়। তবে জারিফ আম্মু কে মুখ লুকিয়ে কান্না করতে দেখেছে।
অরিনের কথা মনে হয় জারিফের, মেয়েটা কেন যেন ওকে খুব পছন্দ করে। ও অন্য সবার মত জারিফ কে নিয়ে মজা করে না।সবসময় জারিফকে সাহায্য করার চেষ্টা করে।আকাশের চাঁদের দিকে তাকায় জারিফ, অনেক রাত হয়ে গেছে।চাঁদ টা কেন যেন অনেক জীবন্ত মনে হয় ওর, হঠাৎ মনে হয় ও অরিনের দিকে তাকিয়ে আছে। লজ্জায় মুখ নামিয়ে নেয় জারিফ। আচ্ছা অরিন কে একটা কল দিবে, জারিফ ভাবে। অরিন কি জানে জারিফের ব্যাপার টা, না থাক কল দিবে না।
আরিন কে কোনভাবে জানানো যাবে না।জারিফ অটিস্টিক, একজন অসম্পূর্ণ মানব, অটিস্টিক দের ভালোবাসতে নেই।অরিন ওর মনের কথা জানলে অরিনও ওকে ছেড়ে চলে যাবে।বুকের ভিতর কেমন একটা ব্যাথা করে উঠে জারিফের আর মনের ভিতর একটা ঘুমোট ভাব।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী "কিন্তু আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে আজব সব চিন্তা করতেছি। " এখানে এই "করতেছি" কথাটা বেমানান লাগলো। গল্পের বলার ভঙ্গিমায় আরো উৎকর্ষতার প্রয়োজন আছে।
গুরুত্ব পূর্ন পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ প্রতিবন্ধীদের জন্য অবশ্যই আমাদের আলাদা একটা ভালবাসা থাকতে হবে । ভাল লাগল লেখাটা ।
ধন্যবাদ, আমরা আসলে কিছু কিছু সময় তাদের প্রতি অন্যায় আচারন করি।
রেজওয়ানা আলী তনিমা ব্যতিক্রমী বিষয় নিয়ে গল্প , ভালো লাগলো। অনেক শুভেচ্ছা ও ভোট রেখে গেলাম।
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো---, অনেক সুন্দর গল্প ।।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।পাতায় আমন্ত্রন রইল।
এস আই গগণ ভাল লাগলো

২৬ জানুয়ারী - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪