খোলা আকাশ

নববর্ষ (ডিসেম্বর ২০১৪)

ruma hamid
  • ১৪৩৬
এক

আর পাঁচ দশটা মেয়ের মতো শখ আহলাদ শিলার নেই বললেও চলে । তাই বলে কিছুটা আনন্দ উচ্ছাস নেই এই কথা বললে একদম ভুল হবে ।তাইতো, একটা ছোট্ট আশা মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল সে । আর তা সময় মতো যার কাছে প্রকাশ করার কথা তাকেই প্রকাশ করলো বিয়ের পর- তার জীবন সঙ্গিনী রবীন খান এর কাছে ।
রবীন পেশায় একজন জাত ব্যাবসায়ী না হলেও ছোট খাটো ঠিকাদারি ব্যাবসায় ভীষণ ব্যাস্ত । ফলে বিয়ের পর পর নতুন বৌ কে নিয়ে কাছে কোথাও হানিমুন করতে যাবে তার হাতে সেই সময়ও নেই । তবুও নতুন বৌ এর অনেক আকুতি, তার মনের ছোট্ট ইচ্ছাটা এখন পুরন না হলে আর কবেইবা পুরন হবে । এখনইতো সময় তারা দুজন দুজনের হাত ধরে এই সুন্দর পৃথিবীর যে কোন একটা দর্শনীয় জায়গায় ঘুরবে । হারিয়ে যাবে কোন নতুন স্বপ্ন পুরিতে- যেখানে তাদের জন্য হাজারো স্বপ্নের ফুল ফুটে আছে । আর সেই স্বপ্নের বাগান থেকে বেছে নেওয়া স্বপ্ন ফুলের মালা গেঁথে এনে, দুজনে সেই মালা গলায় পড়ে প্রান ভরে ভালোবাসার গন্ধ নেবে ।
অবশেষে স্বামী রবীন খান নব বধূর মনের খোরাক বুঝতে পারলেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন রবীনের মা –
না এখন কোথাও যাবার কোন প্রয়োজন নেই । যে নতুন আসছে এক সময় তাকে নিয়ে অনেক ঘুরতে পারবে ।
মায়ের যুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে রবীন হানিমুনের কথা আর ভুলেও মুখে আনলো না । তাতে শিলার হৃদয়ে একটা ক্ষত তৈরি হলেও নিজের ভেতর সত্যি নতুন কিছু একটা অনুভব করল ।স্বপ্ন পুরির স্বপ্ন ফুলের মালা গাঁথার আগেই তার একটা স্বপ্ন পুরন হয়ে গেল । তারপর থেকে স্বামীর কাছে শিলার হানিমুনে যাবার বায়নাটি আর থাকলো না ।

দুই

শিলার ছেলের বয়স দশ বছর । অদ্ভূত ব্যাপার হলো, শিলার ছেলে রিবনের সব সময় ঘুরে বেড়ানোর বায়না থাকেই । কিন্ত সেই বায়নার দাম বাবা রবীন খান কোনদিন কানেই তোলেনি । বরং এক ঝাঁক বন্ধুদের সাথে কিনবা নিকটস্থ ছেলেমেয়ে স্বজনদের সাথে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় সে । হয় সেন্টমারটিন না হয় সবুজ সবুজ পাহাড়ে ঘেরা অপূর্ব সুন্দর বান্দরবন ও রাঙ্গামাটি ।

আজ ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর । শিলার ছেলে মায়ের কাছে বসে তার জন্মভূমি সোনার বাংলাদেশের একটা সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকে, হ্যাপি নিউ ইয়ার লিখে তার উপর গাড় সবুজ ও লাল রঙে রঙ করলো । ছবির কাজ শেষ হলে হঠাৎ মাকে প্রশ্ন করলো-
আছা মা, সবায়তো বিদেশে ঘুরতে যায় । আমরা কি আমাদের সুন্দর দেশটাকেও কোনদিন ঘুরে দেখতে পারবো না ? সুন্দর বন, পাহাড়পুর বিহার , সোনারগাঁও । তারপর কক্সবাজারের বিশাল সমুদ্র সৈকত ! তুমি জান ? আমার কত বন্ধু নববর্ষের ছুটিতে বিদেশে বেড়াতে গেছে । ওরা সবসময় কোথাও না কোথাও ছুটিতে বেড়াতে যায় । তাই সপরিবারে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে ক্লাসে কোন প্যারেগ্রাফ লিখতে বললে, ওরা সবায় লিখতে পারে । শুধু আমার লিখতে কষ্ট হয় । পরে কি করব, টিবিতে দেখেছি এমন কিছু থেকে বানিয়ে লিখে দিই । আর ভোজন নিয়ে আমাদের ঈদের ভোজন আনন্দ টা লিখে ফেলি । হি হি হি ।
ছেলের কথায় শিলার খুব খারাপ লাগে । তাই হাতে রাখা রিমোট টিপে টিবিটা বন্ধ করে বলল-
ঠিক আছে । আল্লাহ্‌ যদি আমাকে তৌফিক দেন, তোকে আমি ঠিকই আমাদের দেশটা ঘুরে দেখাবো । আর যদি তুই পড়ালেখা করে অনেক অনেক বড় হতে পারিস, শুধু আমাদের দেশ কেন, ইনশাআল্লাহ্‌ সারা পৃথিবী তুই ঘুরে বেড়াবি ।আর তখন বুঝতে পারবি আমাদের দেশ পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় কতটা বেশি সুন্দর ।
রিবন বললঃ কিন্ত মা তখনতো আমি ছোট থাকবোনা । আমার এখনকার আনন্দটাতো আমি তখন পাবো না ।
অতোটুকুন ছেলের মুখে বাস্তব সত্যি কথাটা শুনে মা শিলা দুঃখ পেয়ে বলল-
বাবারে, এখন যদি আমার কাছে টাকা থাকতো আমি কিছুটা হলেও তোর স্বপ্ন পুরন করতাম । শোন, একটু পরেই থার্টি ফার্স্ট নাইট শুরু হবে । আজ আমরা অনেক আনন্দ করবো । মজার মজার খাবার খাব । দাঁড়া তোর বাবাকে একটা ফোন দিই । আসার সময় তোর প্রিয় খাবার চিকেন বার্গার আর মিষ্টি নিয়ে আসতে বলি, কি বলিস ?
রিবনঃ হ্যাঁ মা । খুব মজা হবে । বাবাকে তাই আনতে বল ।
রিবনের বাবা রবীন তখন এক বন্ধুর বাসায় সব বন্ধুরা মিলে হৈ চৈ করে চিকেন বিরানী রান্না করছে । আর বাসার মালিক বন্ধুটি এই মুহূর্তের আনন্দটি করবার জন্য স্ত্রী কন্যাকে কিভাবে ফাঁকি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠালো- সেই গল্প বেশ মজা করে বন্ধুদের শোনাছেঃ-
মেয়ে লোকের ব্যপার বুঝিস তো । যেই বাবার বাড়ি গিয়ে কয়দিন থাকার কথা বললাম । আর দেরী করলো না ...।
কথা শেষ না হতেই সব বন্ধুরা একসাথে হা হা হা করে হেসে দিল ।
এমন সময় রবীনের মোবাইল বেজে উঠল । মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখছিল রবীন । ঠিক তখনি এক বন্ধু হাসি বন্ধ করে বলল-
কে ? ভাবী ?
শিলাকে রবীন এমুহূর্তে সত্যি কথাটা কিভাবে বলবে বুঝতে পারছিল না । তাই রবীনকে শিলার ফোন রিসীভ করতে দেরী হচ্ছিল । আবার না ধরে ও পারছিল না ।
তারপর বন্ধুর কথায় মাথা নেড়ে ফোন রিসিভ করছিল রবীন, ঠিক তখনি বন্ধুটি শিলার ফোন জেনে ‘’বাপরে ! আমি নাই’’ কথাটি বলেই এক দৌড়ে সেখান থেকে পালালো । কারন শিলা কখনো রবীনের রাত করে বাড়ি ফিরতে শুনলে রবীন তো বকা খায়ই, সাথে থাকা বন্ধুকে মোবাইল দিতে বলে তাকে ও আচ্ছামতো ঝারি দেয় শিলা । আর তা শুনতে কতটা অপমানের- তা এই বন্ধুটির ভালোয় অভিজ্ঞতা আছে এবং রবীনের অসময়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে শিলা সব সময় এই বন্ধুকেই দায়ী করে- তা বন্ধুটির বেশ মনে আছে । ফলে বন্ধুর স্ত্রীর বকা শোনার আগেই আজ অন্যরাও একদম চুপ । অবশেষে রবীন এক বুক সাহস নিয়ে স্ত্রী শিলার ফোন রিসীভ করে বন্ধুদের সামনে বলল-
শিলা আমি রাতে খাবনা । তোমরা ঘুমিয়ে পড় । না আমি এত রাতে আর বাসায় যাবনা । তুমি রিবন ঘুমিয়ে পড়, রাখছি ।
নতুন বছর শুরু হতে আর বেশি সময় বাকী নেই । ঠিক এই মুহূর্তে শিলা স্বামীর এই সময় রাতে না ফেরার কথা প্রথম বারের মতো শুনে তার মাথায় যেন বজ্রাঘাত শুরু হলো ।তখন মনে পড়ল শিলার, এমনি এক থার্টি ফার্স্ট রাতে ঢাকা টি এসসির সামনে একটি যুবতি মেয়ের উপর হামলা করা কিছু নোংরা ছেলের ন্যাক্কার জনক ঘটনা । আর তাই গম্ভীর গলায় বলল শিলা - এই ফোন রাখবেনা । বাসায় আসবে না ! মানেটা কি ? কি বলতে চাচ্ছ তুমি ! তুমি কোথায় আছো বল তো ?
ঃ দেখ তুমি বোঝার চেষ্টা কর ।
ঃ না আমি বুঝতে চাইছিনা । বলো তুমি এখন কোথায় আছ ? তোমার সাথে কে কে আছে । তাদের মোবাইল দাও ।
ঃ কেউ নেই আমার সাথে । আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় আছি । সবায় ঘুমিয়ে পড়েছে ।
স্ত্রীর কাছে রবীনকে এভাবে মিথ্যে বলতে শুনে, রবীনের বন্ধুরা মুখ চেপে হাসছিল আর অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে সকলে দ্রুত সেখান থেকে দূরে চলে গেল । আর এদিকে রবীনকে শিলার জেরা চলছে -
বলো তুমি কোন বন্ধুর বাসায় আছো ? তোমার সেই আড্ডাবাজ বন্ধুর বাসায় ?
ঃ আরে না । এটা আর একটা বন্ধু ।
শিলার ভাষায় সেই আড্ডাবাজ বন্ধুটি, দূর থকে রবীনের কথা শুনে বুঝতে পারলো তার কথা হচ্ছে । তাই রবীনকে হাতের ইশারায় বোঝালো রবীন যেখানে আছে সেখানকার কথা বলতে । রবীনও তাই বলল ।
শিলাঃ আমি তোমার অতো কথা শুনতে চাইছিনা । তুমি এক্ষুনি বাসায় এস ।
রবীনঃ শিলা কেন বুঝতে চাইছ না । এত রাতে বাইরে বের হওয়া যাবেনা । থার্টি ফার্স্ট নাইট । বুঝোয় তো রাস্তায় অনেক পুলিশ । এত রাতে রাস্তায় কোন লোক দেখলেই পুলিশ ঝমেলা পাকাচ্ছে ।
বন্ধুরা রবীনের এবারের কথায় খুব স্বস্তি পেল । আর তাই হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ইশারায় কারেক্ট দেখালো রবীনকে । রবীন তাতে ভীষণ জোর পেয়ে স্ত্রীকে বলল-
আমি তাহলে রাখছি ।
শিলাঃ আগে যেখানে আছো সেই বাসার এড্রেস বলো ?
রবীনঃ কেনো ? এই বাসার এড্রেস দিয়ে তুমি কি করবে ?
রবীন এবার বন্ধুদের বিরক্ত হয়ে ইশারা করলো ‘’এখন আমি কি বলবো ।‘’ আর যা একটু হাঁফ ছেড়ে বেঁচে ছিল বন্ধুরা, এবারের দায়িত্ব কেউ আর নিতে পারলো না । ফলে শিলার জেরায় রবীন সত্যিকার এড্রেস টা বলতে বাধ্য হলো ।
শিলাঃ ঠিক আছে । আমি এক্ষুনি আসছি ।
রবীনের চোখ ছানা বড়া হয়ে গেল । বলল-
কোথায় আসবে তুমি ।
ঃ বারে তুমি বললেনা রাস্তায় পুলিশের ঝামেলা ? তাই আসতে পারছো না । আমি আসছি । রাখছি ।
লাইন কেটে দিল শিলা ।
আর শিলার আসার কথা শুনে বন্ধুদের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গেল ।কেউ বলছে তো এই কথা, কেউ বলছে সেই কথা । আর কেউ বলছে-এটা তোর বৌ-এর বাড়াবাড়ি, বেশি সাহস বেটা ।
রবীনঃ এত কথা না বলে এখন একটা বুদ্ধি বের কর, কিভাবে শিলার আসা বন্ধ করা যায় ।
বন্ধুদের একজন ঃ এই চুপ কর সবায় । দাঁড়া আমি ভাবছি কি করা যায় ।
রবীনঃ যা বলবি তাড়াতাড়ি বল । পরে না হয় ......।
হঠাৎ এক বন্ধু বললঃ পাইছি দোস্ত ।
সবায়ঃ কী ? বল ।
বন্ধুঃ রবীন ফোন কর তোর বৌ কে । বল তুই যেখানে আছিস সেই কোয়ার্টারের সামনে যে কয়টা গেট আছে তা এগারোটায় বন্ধ হয়ে যায় । গার্ডরা এ সময় গেটে থাকেনা । এখন গেট খোলা নিয়ে অনেক ঝামেলা হবে । তার চেয়ে বরং ভোরেই চলে যাবি বলে দে ।
বন্ধুরা সবায় আনন্দে মেতে উঠল । বলল-
খুব ভালো আইডিয়া । রবীন ? তাড়াতাড়ি !
রবীন আর দেরি করলো না । স্ত্রী শিলাকে ফোন করে তাই জানালো । একটা যুক্তি মেনে শিলা রবীনকে আর তেমন কিছু না বললেও বলতে ছাড়লো না –
তো এত রাত করে বন্ধুর বাসায় থাকো কেন ? এসব আমার একদম পছন্দ নয়- তা তুমি খুব ভালো করেই জানো ।
রবীন বিনয় সুরে বললঃ ভুল হয়ে গেছে, এখন আর কি করবো বলো । কাল সকালে দেখা হবে শিলা, আমি রাখছি ।
রবীন লাইন কেটে দিলে বন্ধুরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল । তারা নতুন করে আনন্দ মুখর হয়ে উঠলো নতুন বছরকে বরন করবে বলে । আর এদিকে শিলা এতক্ষনে বুঝল, রবীন ঠিক কোথায় আছে । তারপর সেই বাসার বন্ধুর স্ত্রীকে ফোন করল সত্যিটা জানার জন্য ।কিন্তু বন্ধুর স্ত্রী বাবার বাড়ি থাকার কথা জানায় শিলাকে এবং খবর নিয়ে একটু পর বাকী কথা জানানোর কথা বলে লাইন কেটে দেয় । এরপর বন্ধুর স্ত্রী নিজের স্বামী কে ফোন করে যা জানলো নিজেও হতবাক ! তারপর ফোনে স্বামীর সাথে একটা ছোট্ট ঝগড়া শেষে, শিলাকে ফোন করে পুরো বিষয় জানিয়ে বললো –
এ আনন্দে আমরা থাকলে কি এমন অসুবিধা হতো বলেন তো ভাবী ?
শিলাঃ জানিনা ভাবী । নববর্ষের এমন একটা বিশেষ মুহূর্তে স্ত্রী সন্তানদের দূরে রেখে কতোটা বেশি আনন্দ সুখ পাওয়া যায়, তা একমাত্র তারায় বলতে পারবে ।ওহ, ভাবী আপনাকে অগ্রিম শুভেছা জানাচ্ছি, শুভ নববর্ষ !
ঠিক তখনি বাসার বাইরে থেকে সমস্বরে উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায় -
দ-শ, ন-য়, আ-ট, সা-ত, ছ-য়, পাঁ-চ, চা-র, তি-ন, দু-ই, এ-ক মুহূর্তে ফুট-ফাট, ঠুশ-ঠাশ আতশ বাজি, তারা বাজি ফোটানোর ছন্দ । সারা বিশ্বে সমস্বরে উচ্চস্বরে উচ্চারিত হলো একটি আনন্দের বার্তা হ্যাপি নিউ ইয়ার ! এই আনন্দ বিশ্বের আকাশে বাতাশ মিশে গেল । ছড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশের পথে-পথে, মাঠে-মাঠে, ক্লাবে, সমুদ্র সৈকতে হাজারো মানুষের আনন্দ উচ্ছ্বাসে কিনবা কোন সরকারি কোয়ার্টারের সামনে রবীন’দের মতো বন্ধুদের হৈ হুল্লোরে ।
শিলার ছেলে রিবন এক দৌড়ে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখের দেখায় অন্যদের আনন্দকে উপভোগ করলো ।
তারপর মাকে এসে বলল-
মা, মোবাইল দাও । সবায়কে হ্যাপি নিউ ইয়ার জানিয়ে দিই ।
মাঃ হ্যাঁরে । জানিয়ে দে ।
রিবন মোবাইল টিপে কয়েকজনকে হ্যাপি নিউ ইয়ার ম্যাসেজ পাঠালো ।
সাথে সাথে শিলার ছোট ভাইয়ের কল এলো । রিবন মোবাইল রিসীভ করে বলল- হ্যপি নিউ ইয়ার ! মামা ।
মামা তখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হাজার লোকের মাঝে বন্ধুদের সাথে আনন্দ করছিল । আর তা রিবনকে জানালো –
থ্যাংক ইউ ! মামা, হ্যাপি নিউ ইয়ার ! আমি সৈকতে । এখানে অনেক আনন্দ হচ্ছে । ইত্যাদি ।
আর শিলা কখনো ভাবেনি এমন একটা আনন্দ মুহূর্তকে, হৃদয়ে লুকানো প্রিয়জনের না দেখা কিছুটা মলিনতায়, নতুন বছরকে এইভাবে বরন করতে হবে । তাই সে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে দূরে খোলা আকাশ দেখে । তখন শিলার মন বলে উঠে- ‘’ঐ আকাশে যা আছে তাই দেখা যায়, যা দেখা যায় তাই আছে । খোলা আকাশের মধ্যে কোন মিথ্যা নাই ।‘’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ গল্পের সমাপ্তিটা আনন্দঘন হলে আরও ভাল লাগতো । নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
সৃজন শারফিনুল অসাধারণ, অসাধারণ এবং অসাধারণ। অনেক ভাল লাগলো। বিশেষ করে এই তিনটি লাইন---- ‘’ঐ আকাশে যা আছে তাই দেখা যায়, যা দেখা যায় তাই আছে । খোলা আকাশের মধ্যে কোন মিথ্যা নাই ।‘’ অসাধারণ মন ছুয়ে গেল।
ভালো লাগেনি ৭ জানুয়ারী, ২০১৫
আপনার উদার মনোভাব মন্তব্য জেনে আমার খুব ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

১৪ অক্টোবর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী