সংক্রমণ

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (সেপ্টেম্বর ২০১৪)

সজল চৌধুরী
মোট ভোট ১২ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৩৯
>>ঘটনা শুরু<<

-কিভাবে করলে? এটা তো অসম্ভব।

বিশাল বপুর কোম্পানির পরিচালক বিস্ময়ের সাথে বললেন ওপ্রান্তের হালকা পাতলা রোগা শরীরের অরুপকে। রুপ থাকলেও তার নাম অরুপ! শখের প্রোগ্রামার। এসেছিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। ১৫ স্তরের নিরাপত্তা ভাংতে হবে,সময় ১০ দিন,পুরস্কার ২ মিলিয়ন । আক্ষরিক অর্থে এমন ব্যুহ ভেদ করা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু পুরুস্কারের পরিমাণ দেখে পাণিপ্রার্থী নেহায়েত কম নয়। আসলে প্রতিযোগিতার আদলে এটা কোম্পানিটার একটা প্রচার অভিযান। তবে কথা হচ্ছে অরুপ প্রথম দিনেই ৪ ঘণ্টায় নিরাপত্তা ভেঙ্গে ফেলেছে।

পরিচালক আবার বলা শুরু করলেন, আমরা ধরে নিয়েছি এটা ভাঙ্গা অসম্ভব। দশ দিনে তো নয়ই। আমরা আরও ৫ দিন দেব বলে ঠিক করে রেখেছি। তুমি কিভাবে পারলে? সাধারণ প্রোগ্রামার তো আছেই, সেই সাথে হোয়াইট হ্যাট, গ্রে হ্যাট এমনকি ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারও রয়েছে। তুমি এখন শখের প্রোগ্রামার! তুমি কিভাবে পারলে?

অরুপ বুঝতে পারছে না কিভাবে শুরু করবে। সে একেবারেই থতমত খেয়ে গিয়েছে। ৪১ বছরের জীবনে এমন পরিস্থিতে সে পড়ে নাই। কিভাবে সে শুরু করবে?

আমতা আমতা করে অরুপ বলা শুরু করল, আমি আসলে প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করেছি। এটা খুবই দ্রুত কাজ করতে পারে।

-এখন চলছে পঞ্চদশ প্রজন্মের ভাষা আর এন্টিভাইরাসে ব্যবহার করেছি ষষ্ঠদশ প্রজন্মের কাছাকাছি ভাষা। প্রথম প্রজন্মের ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে এই ফায়ার ওয়াল ভাঙ্গা আর সুচ দিয়ে পাহাড় ভাঙ্গা একই বিষয়। যা সম্পূর্ণ অসম্ভব।

-জানেনই তো প্রথম প্রজন্মের ভাষা খুব দ্রুত কাজ করতে পারে।
-হুম, এটাও জানি খুবই ছোট্ট একটা বাগ পুরো ভাষাকে নষ্ট করে দিতে পারে।
-Yes. That’s the point.
-What?

- বিষয়টা এমন, প্রথমে যখন ফায়ারওয়ালে প্রোগ্রাম প্রসেসিং করা শুরু হয় মানে বাগ খোঁজা শুরু করে তখন ১৫ স্তরের ১ম স্তরে আমার প্রোগ্রামটা স্কানিং এ চলে যায়। এটা এইসময় ভাইরাস হয়ে না থাকায় ১ম ওয়াল সেটাকে অনুমতি দেয়। এটা ঠিক তখন ঘটে যখন কোন প্রোগ্রামকে ফায়ারওয়ালের ছাঁকনি দিয়ে ছাঁকা হয় মানে স্ক্যান করা হয়। এইসময় কোডটা ১ম স্তরে এক্সেস পাওয়ার পেয়ে যায়। ফলে এটি প্রথম স্তরে যা খুশি তাই করতে পারার অধিকার পেয়ে যায়। এরপর কোডটার ভিতরে একটা টাইমার চালু হয়ে যায়। তারপর কাউন্ট ডাউন শেষে কোডটা দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রথম কোড দ্বিতীয় কোডে নির্দিষ্ট কিছু বাগ সৃষ্টি করে। আমি এমনভাবে কোডিংটা করেছি যাতে দ্বিতীয় কোডের নির্দিষ্ট কয়েকটা স্থানে বাগ সৃষ্টি করলেই এটি ‘হ্যামার ভাইরাস’ (Hamer Virus) হয়ে যায়। এরপর এই ভাইরাস প্রথম স্তরকে ভেঙ্গে ফেলে। এরপর প্রথম কোডটির মাঝে থাকা আরেক টাইমার চালু হয়। ওটার কাউন্ট ডাউন শেষে দ্বিতীয় কোডটির বাগ ফিক্স করে ফেলে আর প্রথমটার সাথে সংযুক্ত হয়ে আগের চেহারা ফিরে যায়। এরপর সেটি ২য় স্তরে যায়, টাইমার চালু হয়, ভেঙ্গে যায়, বাগ সৃষ্টি করে, ভাইরাস তৈরি করে, আবার বাগ ফিক্স, আবার আগের চেহারায়, এভাবে চলতে থাকে।

-বুঝলাম। এখন ভাইরাসটা আমাদের প্রোগ্রামারদের দিয়ে দাও, ওরা এর এন্টিডোট তৈরি করুক।

-ওটা ওয়ানটাইম ইনজেকশনের মতো। একবার ব্যবহার করা যায়। তারপর ওটা নিজে থেকেই তার সবকিছু ফরম্যাট করে ফেলে।

-তাহলে ওটার কোন কপি? এখন কি হবে?
অরুপের বুক ধক ধক করতে থাকে। সত্যিটা কি বলবে?

>>কাটা দিয়ে কাটা তোলা<<

অরুপ বাসায় রওনা দিল। সত্যিটা হল ভাইরাসের কপি তার কম্পিউটারে রয়েছে। ঘরে ঢুকে বক্স খুলতেই তার মুখ হা হয়ে গেল। তার সবচেয়ে প্রিয় আড়াই ইঞ্চির সিপিইউ সেখানে নেই। কি করবে এখন সে? ভাইরাসটা না দিতে পারলে দুই মিলিয়ন টাকা হাত ফস্কে বেড়িয়ে যাবে। মাথার উপর পাহাড়সম দেনার চাপ। আর ভাবতে পারে না সে।হাত দিয়ে মাথা চেপে বসে পড়ে।

অরুপ কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন হাতে নেয়। চিন্তা দিয়ে চলা সেলফোনটা চিন্তাভাবনা থেকেই আদেশ নেয়। সে বার বার পুলিশকে কল করার জন্য নাম্বার আওড়ায় কিন্তু পারে না। শেষ পর্যন্ত সে পরিচালককে ফোন দেয়।

পরিচালককে সবকিছু জানানোর পর পুলিশ এসে পরিচালকের নির্দেশের কারণে দুই মিনিটের কাজ সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে করে যায়।

অরুপের তখনো অনেক কিছু দেখার বাকি ছিল। কারণ রাত তখনো হয় নি।

দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে জেগে উঠে পানি পান করার জন্য গ্লাসের দিকে হাত বাড়াতেই দেখতে পারে মুঠোফোনে বার্তার নোটিফিকেশন এসেছে। ঘুমিয়ে ছিল বলে মুঠোফোন তাকে ডাকে নি। জেগে উঠেছে বলে এখন নোটিফিকেশন দিচ্ছে। রাত ৩টায় বার্তাটা এসেছে। অচেনা নম্বর। বার্তাটা হিজিবিজি ইউনিকোড বেজড প্রোগ্রামিং কোড।
কোড নিয়ে পিসিতে কোডগুলো কমান্ড মডিউলে প্রবেশ করাতে লাগলো। পরিচালকের দান করা সিপিইউ এর কারণে তার পিসি নতুন জীবন পেয়েছে। সব কোড প্রবেশ করার পর ইন্টার চাপার পর দেখলো একটা একটা করে অক্ষর তৈরি হচ্ছে আবার মুছে যাচ্ছে চিরতরে। সব অক্ষর মিলিয়ে যা পেল তাতে তার অ্যাড্রেনালিনের ক্ষরণ বেড়ে গেল বহুগুণে।

GIVE PASSWORDS
GET ONE BILLION
IF AGREE THEN COME
IF DON’T AGREE THEN DIE.

টাকার চিন্তা বাদ দিয়ে এখন নিজের জানের চিন্তায় অরুপ অস্থির হয়ে উঠলো। মুঠোফোনে হাজার ঘেঁটেও আগের বার্তাটা পেল না।স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে গিয়েছে। ঠিক বেলা ৩ টায় একইভাবে বার্তা। পিসিতে ইনপুট দিতেই সে জানতে পারলো তাকে কোথায় যেতে হবে। একবার ভাবল পুলিশকে সে জানাবে, আরেকবার ভাবল পরিচালককে জানাবে। কিন্তু জানের চিন্তায় সে কাউকেই জানাতে পারলো না। এরপর ঠিকানা অনুযায়ী যখন পৌছাল তখন কারো ডাকে পিছন ফিরে তাকাতে গেল। কিন্তু তাকানোর আগেই পড়ে গেল। তাকে কি মেরে ফেলা হল? সে কিছুই বুঝতে পারলো না।কারণ বোঝার আগেই চোখের সামনে সব কিছু হয়ে গেল ঘোর অন্ধকার।

নার্ভলেস অস্ত্রটা দেখতে ঠিক হাতলওয়ালা বড় দাঁতওয়ালা চিরুনির মত। এর চিরুনির মতো দাঁতগুলো ইলেকট্রিক প্রোব হিসেবে কাজ করে, যা ইলেকট্রিক ম্যাগনেটিক পালস তরঙ্গ আকারে নিক্ষেপ করতে পারে। এগুলো মানুষ বা যে কোন প্রাণীর নার্ভকে সাময়িকভাবে অচল করে দেয়। ছুড়ির মতোই চালাতে হয়,তবে তা দূর থেকে,বাতাসে। হাত লক্ষ্য করে নার্ভলেস চালালে হাত সাময়িকভাবে অচল হয়, পায়ে প্রয়োগ করলে চলন ক্ষমতা থাকে না আর ঘাড়ে প্রয়োগ করলে অজ্ঞান। শিকার কিছুই বুঝে উঠার আগেই সব কিছু হয়ে যায় অন্ধকার, ঘোর অন্ধকার।

অরুপের জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে আবিস্কার করে এক টর্চার সেলে। অরুপের হৃদপিণ্ডে হাতুড়ি পিটানো শুরু হল।

হঠাৎ একটা গমগমে কণ্ঠস্বর তাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলল। কোথা থেকে যেন বায়োলজিক্যাল স্ক্যানারগুলো এসে গেল। সব দেওয়ার পর কিছুক্ষন নীরবতা। অরুপ অনুমান করলো, তার দেওয়া পাসওয়ার্ড পরীক্ষা করে দেখছে। তারপর সেই কণ্ঠস্বর বলল, DONE.

এরপর সেলে কেউ ঢুকল।নার্ভলেস চালাল। অরুপ পিছন ফিরে তাকে দেখার আগেই আগের মতো একপাশে হেলে পড়ে গেল। যখন তার ঘুম ভাঙল সে নিজেকে নিজের বিছানায় পেল। ধড়মড় করে উঠে বিছানা থেকে নামতেই একটা মোটা চামড়ার বড়সড় কালো ব্যাগ পেল। ব্যাগ খুলতেই পেল এক বিলিওন টাকা! এই টাকা দিয়ে সে কি কি করবে ভাবতে ভাবতেই দরজায় কেউ টোকা দিল। ব্যাগ লুকিয়ে দরজা খুলতেই পুলিশের প্রবেশ। একটু খুঁজতেই টাকাটা পেয়ে গেল, যে টাকার উৎস নেই। পুলিশের পরে এল পরিচালক। অরুপের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল, Sorry, my boy. কাটা দিয়েই কাটা তুলতে হয়।

অরুপের সামনে সবকিছু পরিস্কার হয়ে গেল। এ সবই পরিচালকের চাল ছিল। কি সুন্দর চাল! অরুপ এখন কি করবে? তাকে এখন বাকি জীবন জেলে কাটাতে হবে। এতদিনের পরিশ্রম সব বৃথা হয় গেল। বৃথা হয়ে গেল। এখন কি ফাঁস হয়ে যাবে তার আসল পরিচয়?

>>প্রজেক্ট এক্স<<

-ওফ,আমাকে একবারও বিষয়টা জানালে না কেন?
অরুপ মুখটা চোরের মত করে বলল, বিষয়টা এত দ্রুত ঘটে গেল যে জানানোর সময় পাই নাই। এখন কি করব?

আগুন্তক রাগের সাথে বলল, জেলে পচতে থাকো।
এসময় অরুপের পিছনের স্মৃতিগুলো যেন ফ্ল্যাশব্যাক দিতে লাগলো।

তার সংসারে ছিল স্ত্রী ইশরাক আর ছোট্ট পুতুলের মতো মেয়ে, নাদিয়া। দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে আশ্রয় নেয় পাশের একটা দেশে। ক্ষুধায়, মহামারিতে আর অনাহারে সে তার পরিবারকে হারায়। তারপর এই আগুন্তকের সাথে দেখা। এই আগুন্তক যে অনেক শক্তিশালী সে সম্পর্কে অরুপ শতভাগ নিশ্চিত। কারণ, প্রথমত সে আজ পর্যন্ত সেই লোকটার পরিচয় তো দূরে থাক নাম পর্যন্ত জানতে পারে নাই আর দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী না হলে এভাবে পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে নিতে পারতো না যেখানে পরিচালক নিজে বসে থেকে কেস তৈরি করে দিয়ে গিয়েছে।
ছাড়িয়ে নিয়ে আগুন্তক দামি স্কাইকারে (আকাশে উড়তে পারা গাড়ি) করে একটা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে বলল, আপাতত খবর ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকো।

অরুপ ব্যাগ হাতে নিয়ে ঘুরতেই আগুন্তক চলে গেল। এলাকায় প্রবেশ করতেই মাথায় ভারি কিছুর আঘাতে সে পড়ে গেল । জ্ঞান হারাবার আগে দেখতে পেল কিছু যুবক তাকে ঘিরে ধরেছে, একজন তার চোখে কিছু একটা স্প্রে করলো। তার সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল। অরুপ এই স্প্রের সাথে সেই যুদ্ধের সময় থেকেই পরিচিত। এটা ব্লাইন্ড হরমোন স্প্রে। নির্দিষ্ট সময় মানুষকে অন্ধ করে রাখে।
এবার সে কার শিকার হল?

জ্ঞান হবার বেশ কিছুসময় পর তার দৃষ্টি স্বাভাবিক হল। সে শুয়ে আছে অন্ধকারাচ্ছন এক রুমে নোংরা বিছানায়। দরজা খোলার আওয়াজে অরুপ শব্দের উৎসের দিকে ঘুরল। একজন পেশিবহুল লম্বা চওড়া লোক ঢুকল।

-জ্ঞান ফিরেছে তাহলে?
অরুপ ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, তোমরা কে? আমি কোথায়?

-আমার নাম ইলিয়াড। এখন তুমি আছো পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন স্থানে, সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যাকারদের আস্তানায়। হা হা হা। আমরা এমন এক ভাইরাস “প্রজেক্ট এক্স” তৈরি করছি যা ভেঙ্গে ফেলবে পৃথিবীর সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহাকাশ পর্যন্ত চলে আসবে আমাদের হাতের মুঠোয়। তবে সমস্যা বাধাচ্ছে মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার।
অরুপ বিস্ময়ের সাথে বলে,মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার!

-হুম, অনেক আগের ধারণা। অনেক আগে তৈরিও হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তৈরি হয়েছে কিছুদিন আগে। সেই নতুন সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিজে নিজে সব সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেটা নিয়ন্ত্রণ করবে আগামীর বিশ্ব। যদি এটাকে থামিয়ে দিতে না পারি তবে আমরা কিছু মানুষের প্রযুক্তির হাতের খেলনা হয়ে যাব। কারণ এই কম্পিউটারের ব্যাকডোরের চাবি কেবল কিছু মানুষের হাতে থাকবে। মজার বিষয় কি জানো?

-কি?

-ঐ সুপার কম্পিউটারকে নিয়ে প্রজেক্টটার নামও “প্রজেক্ট এক্স”। আমাদেরকে “প্রজেক্ট এক্স” ভাইরাসটা দাও।

-আমার কাছে তো সেটা নেই।

-তোমার সব খবর আমাদের কাছে আছে। তোমার গোপন ইমেইলটার সন্ধানও আমরা পেয়েছি। সেখান থেকে ভাইরাসটাও নামিয়েছি কিন্তু বায়োলজিক্যাল পাসওয়ার্ড তো আর আমরা ভাঙতে পারি না। তাই ওটা নিয়ে কাজ করতে পারি নাই। হা হা হা।
অরুপ বুঝতে পারলো সে ধরা পড়ে গিয়েছে। পালানোর কোন পথ নেই। আসলেই কি নেই?

>>গডফাদার<<

ইলিয়াড মনিটরের সামনে অরুপকে বসিয়ে দিতে দিতে বলল, মহান গডফাদারের নামে শুরু হোক।
অরুপ ভ্রু ধনুকের মতো বাকিয়ে বলল, মহান গডফাদার?

-হুম। আমাদের হ্যাকিং জগতের গডফাদার। যার নাম-পরিচয় কেউ জানে না। সবাই চেনে তার কাজে। পৃথিবীর এমন কোন কোড নেই যা তিনি ভাঙতে পারেন না। তিনি পৃথিবীর অলিখিত গডফাদার। সবাই তাকে মহান গডফাদার বলে ডাকে। তাকে দেখার খুব ইচ্ছা আছে।

-তো তাকে দিয়ে কাজ করালেই তো হয়।
-এই ভাইরাস তো তারই তৈরি।

অরুপ লাফ দিয়ে বলে, কি যা তা বলছেন? এটা তো আগুন্তক আমাকে দিয়েছিলেন।

-ওর নাম যাদব। ওর একটা ওষুধের বিশাল কোম্পানি আছে। বলা যায়, পৃথিবীর ৮৫ ভাগ ওষুধ ও একাই সরবরাহ করে। ও এটা ডার্ক ওয়েবে গডফাদারের কাছ থেকে কিনেছে। কারণ সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার চালু হলে মানুষের দেখভাল সব কম্পিউটারই করবে। মানুষের আর কোন প্রাণঘাতী রোগ থাকবে। রোগ না থাকলে তার কোম্পানির কি হবে ভেবে দেখেছ? ও দেউলিয়া হয়ে যাবে। হা হা হা।

ভাইরাস পাসওয়ার্ড মুক্ত করে ইলিয়াডের হাতে দিয়ে বলল, এখন আমাকে যেতে দাও।

-হা হা হা। মজার কথা বললে। এখানে কেউ ঢুকলে আত্মা নিয়ে বের হতে পারে না। আত্মাটা এখানেই ছেড়ে যেতে হয়। হা হা হা। বাঁচতে চাইলে আমাদের সাথে কাজ কর।

অরুপ বুঝলো সে ফাঁদে পড়ে গিয়েছে। উপায় না পেয়ে তাদের সাথে থাকতে শুরু করল।
চার সপ্তাহ পড়ে ইলিয়াড তার সব হ্যাকারদের নিমন্ত্রন জানিয়ে বলা শুরু করলো,আপনারা জানেন, মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রজেক্ট এক্স এর কথা। যেটা চালু হলে আমাদের কমোডে বসে হাগু করা ছাড়া আর কোন কাজ থাকবে না। সেই প্রজেক্ট এক্স কে রক্ষা করবে যে অপ্রতিরোধ্য ফায়ারওয়াল। সেই ওয়াল ভাঙ্গার জন্য যে ভাইরাস লাগবে তা আমরা পেয়ে গিয়েছি মহান গডফাদারের কল্যাণে। আমি সবাইকে এর কপি দিয়ে দিচ্ছি যাতে আমাদের কেউ ব্যর্থ হলে যেন আরেকজন এগিয়ে আসতে পারে।

অরুপ চমকে উঠে ভয়ংকর ভাইরাসটার কথা শুনে। গডফাদার এত খারাপ হল কি করে? কে এই গডফাদার? এই ভাইরাসকে কে থামাবে?
ইলিয়াড সভা শেষ করে অরুপকে বলল, জানো আমাদেরকে কে ফান্ড করেছে?

-না।
-যাদব।

অরুপ নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, কি বল? মাথা ঠিক আছে? কেন সে এই কাজ করবে? আমাকেই বা কেন জড়িয়েছে? আমার কি দরকার ছিল?

-সরকারের প্রজেক্ট এক্স ধ্বংস করে আমাদের প্রজেক্ট এক্স সফল হলে কার বেশি লাভ বুঝ না? যাদবের। সে তাহলে দেউলিয়া হওয়া থেকে বেঁচে যায়। আর আমরাও কিছু উপরি পাই সেই সাথে বিশ্ব দখল তো আছেই। অনেককাল আগে ব্যবসায়ীরা গডফাদার নামক গুন্ডাদের সাহায্য নিত ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে। এখন পেশীশক্তির চেয়ে প্রযুক্তির গুরুত্ব বেশি। তাই আমাদের মতো হ্যাকারদের গুরুত্ব আগেকার গডফাদারের মতো। এই কারণেই তো মহান গডফাদারের উত্থান। হা হা হা।

-তাহলে আমাকে কেন?

-ওটা একটা ফাঁদ ছিল। বোকা বানানোর ফাঁদ। তোমাকে নিয়ে যেয়ে ধরা খাইয়ে পরিচালককে বোকা বানিয়েছে। এখন পরিচালক ভাববে তার কাছে ভাইরাসটা আছে। সে সে অনুযায়ী এন্টিভাইরাসটা হালনাগাদ করবে। নিশ্চিন্ত মনে প্রজেক্ট এক্সে ব্যবহার করবে। কিন্তু তার জন্য দুঃখের বিষয় সেটা আসল ভাইরাসের একটা ডামি ভাইরাস। হা হা হা। আসল ভাইরাস তো আমাদের কাছে। তোমাকে চাবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বায়োলজিক্যাল চাবি। আর এই চাবি মানে তোমাকে কে যোগাড় করে দিয়েছে জানো?

-কে?
-মহান গডফাদার। হা হা হা।
অরুপ অবাক হয়ে বলে, কি?

>>যবনিকাপাত<<

সবাই যে যার নিজস্ব সার্ভার থেকে ভাইরাস আপলোড করে দিয়েছে। পৃথিবীর মোটামুটি প্রায় সব শক্তিশালী হ্যাকারদল তাদের নিজ নিজ জায়গায় বসে অপেক্ষা করছে ১২টা বাজার জন্য। ১২টা বাজলেই ভাইরাসটা CIH ভাইরাসের মতো চালু হয়ে ধ্বংসলীলা চালাবে।

ইলিয়াড অরুপকে বলে,তোমাকে একটা প্রাচীন কৌতুক শোনাই, দুজন প্রোগ্রামার বন্ধু কিভাবে সহজে ধনী হতে পারবে বলতো দেখি।

অরুপ ভ্রু কুঁচকে বলল, হ্যাক করে?

-নাহ, একজন ভাইরাস তৈরি করে আর আরেকজন সেটার এন্টিভাইরাস তৈরি করে। হা হা হা।

গলার স্বর নামিয়ে ইলিয়াড আবার বলল, জানো ১৩ বছর আগে যে দুই দেশে যুদ্ধ হয়েছিল সেটার কারণ ছিল কিছু ভুয়া বার্তা। আর সেই বার্তাগুলো আমি আর আমার দল তৈরি করেছিলাম।

অরুপ মুখ শক্ত করে বলে, হুম জানি। কারণ ঐ দুইটা দেশের একটা ছিল আমার দেশ।

ইলিয়াড কৌতুক করে বলে, তাহলে এটাও জানো, সেই সময় তোমার দেশের মানুষরা যারা পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের বেশিরভাগ মারা গিয়েছিল যে মহামারীতে সেই মহামারী কার সৃষ্টি?
অরুপ দাঁতে দাঁত ঘষে বলল, হুম। যাদব। ওরফে মৃত্যু দানব ওরাইসিস। যে মানুষকে রোগাক্রান্ত করে তারপর তার ওষুধ বেঁচে।যে কারণে সে আজ এত বড়লোক।

-ভালোই জানো দেখছি।

অরুপ খুব গম্ভীর স্বরে বলে উঠে,ইলিয়াড।

ইলিয়াড অবাক হয় অরুপের গাম্ভীর্য দেখে। কিছু বলে না।

অরুপ সেই গাম্ভীর্য বজায় রেখে বলে, তোমার খুব শখ মহান গডফাদারকে দেখার, তাই না?

ইলিয়াড অবাক হয়ে বলে, হুম কেন?
-তাহলে...

অরুপ কথা শেষ করতে পারে না। কারণ সবাই সমস্বরে বলছে,৫...৪...৩...২... এবং এক। সবাই হাততালি দিতে থাকে। তারপর সবাই নজর দেয় খবরের দিকে। এখন তো একটাই ব্রেকিং নিউজ। সরকারের প্রজেক্ট এক্স শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু না, সবাই অবাক হয়ে দেখল খবরে দেখাচ্ছে পুলিশ সব হ্যাকারদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরা সবাই ইলিয়াডের সাথে প্রজেক্ট এক্স এর সাথে ছিল। খুব বেশি সময় যায় নি, ইলিয়াডও শুনতে পেল পুলিশের সাইরেনের শব্দ। ছাদে স্পেশাল কমান্ড দলের নামার ধুপধাপ আওয়াজ আর তাদের ওয়্যারলেসের শব্দ। ইলিয়াড যা বোঝার বুঝে নিল। সে হাটুমুড়ে বসে পড়ল, তার সামনে অরুপ এসে দাঁড়াল। বলল, ইলিয়াড তুমি শেষ। তোমার আর যাদবের ব্ল্যাক প্রজেক্ট এক্স এর যবনিকাপাত হয়েছে। তুমি ধরা পড়ে গিয়েছ।
ইলিয়াড কাঁদতে কাঁদতে বলল, এটা কিভাবে হল? কিভাবে?

অরুপ সেই আগের ভঙ্গীতে বলতে লাগলো, তোমার খুব শখ মহান গডফাদারকে দেখার, তাই না?

ইলিয়াড কাঁদতে কাঁদতে বলল, হ্যাঁ। এই সময় তাঁকে খুব দরকার।

ইলিয়াড অরুপের উত্তর শুনে অবাক হয়। ভীষণ অবাক।

>>মহান গডফাদার<<

-আমিই সেই মহান গডফাদার।

ইলিয়াড কাঁদতে কাঁদতে হেসে ফেলে, তুমি, তুমি গডফাদার? তাহলে আমিও গডফাদার। হা হা হা।

অরুপ ইলিয়াডের কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে বলতে থাকে,আমি একসময় নিজেকে আবিস্কার করি অপ্রতিরোধ্য হিসেবে। পৃথিবীর এমন কোন প্রতিরক্ষা বুহ্য নেই যা আমি ভাঙতে পারতাম না। একসময় আমাকে সবাই গডফাদার নামে চিনতে শুরু করে। পুলিশ আমার কোন তথ্য জমা রাখতে পারতো না। যে তথ্যই রাখতো আমি মুছে ফেলতাম। যে কারণে আমি হয়ে যাই, হ্যাকিং জগতের মহান গডফাদার। এই সময় আকস্মিকভাবে আমি ইশরাক নামের একটা মেয়ের প্রেমে পড়ি। আমরা বিয়ে করি। আমাদের সংসারে আসে রাজকন্যা নাদিয়া। নাদিয়াও পারে না আমাকে আলোর পথে আনতে। নাদিয়ার বয়স যখন সাড়ে তিন বছর তখন আমরা সপরিবারে বেড়াতে যাই প্রযুক্তি বর্জিত এক গ্রামে। ঠিক সেই সময়টা কাকতালীয়ভাবে তোমরা সুযোগ পেয়ে যাও। যখন আমরা শহরে ফিরি তখন দেশটা জ্বলছিল। প্রাণ নিয়ে সীমান্তে আশ্রয় নেই। সেখানে আঘাত হানে যাদবের প্রাণঘাতী ভাইরাস। দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়। আমি হারাই আমার প্রানপ্রিয় স্ত্রী আর আমার রাজকন্যাকে। তাদের চিরকালীন অনুপস্থিতি আমার বোধ ফিরিয়ে দেয়। আমি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করি। তবে তার আগেই জেনে যাই তোমার আর যাদবের কথা। তারপর থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষা।

-এই তোমার প্রতিশোধ? পৃথিবীকে নিজের তৈরি ভাইরাসে সংক্রমিত করে ধ্বংস করে দিয়ে?

-না। আসলে কি জানো কে কার খেলার পুতুল ছিল? তুমি আর যাদব ছিলে আমার খেলার পুতুল। প্রথমে আমি সরকারের সাথে কাজ করি। তৈরি করি মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম। তারপর তার সুরক্ষার জন্য তৈরি করি ১৫ স্তরের প্রতিরক্ষা বুহ্য। যেটা দিয়ে তোমাদের মতো হ্যাকারদের শায়েস্তা করা যাবে আর যাদবের মতো ওরাইসিসের হাত থেকে জীবন বাঁচানো যাবে। কিন্তু আমি জানতাম পৃথিবীতে যতদিন তুমি আর যাদব থাকবা ততদিন এই কম্পিউটার হুমকির মুখে থাকবে। তাই যাদবের কাছে গডফাদার হয়ে তাকে এই ডামি ভাইরাস দেই। সেই সাথে আমাকেই আমি পাঠাই তার কাছে বায়োলজিক্যাল চাবি হিসেবে। তারপরের কাহিনী তো জানা।

-তাহলে এই ভাইরাসের কাজ কি ছিল?
-প্রতিরক্ষা ভেঙ্গে দেওয়া।
-কার?

-তোমার মত নিচু হ্যাকারদের। শুধু তোমাদের প্রতিরক্ষাই ভাঙ্গে নাই। ১২টা বাজার সাথে সাথে স্থানীয় পুলিশদের কাছে কাছে তোমাদের আস্তানার ঠিকানাও পৌঁছে দিয়েছে। তারপরের কাহিনী তো বুঝতেই পারছো।

-কিন্তু যাদবের তো কিছুই করতে পারলা না।

-ওর সমস্ত কুকীর্তি এখন ব্রেকিং নিউজ। আর ওর মত পিশাচের দেউলিয়া হতে আর বেশিদিন বাকি নেই।

-তোমাকে আমি ছাড়বো না।

বলেই অরুপকে মারতে তেড়ে আসে ইলিয়াড। কিন্তু ততোক্ষণে পুলিশ তার হাতে ইলেকট্রিক্যাল ব্যান্ড তথা হাতকড়া পরিয়ে দিয়েছে। কোন অপরাধ করতে গেলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তড়িৎ শক খাবে। হাতে ব্যান্ড দেখে কাঁদতে কাঁদতে বলে, এখন আমি কি করব?
অরুপ মজা করে বলে, কমোডে বসে হাগু করা ছাড়া আর এখন আর কোন কাজ নেই। হা হা হা।

>>শেষকথা<<

অরুপ হাটুমুড়ে বসে পড়ল একটা এপিটাফের সামনে। আপনমনে বলতে লাগলো, ইশরাক, আমি প্রতিশোধ নিয়েছি, চরম প্রতিশোধ।

তারপর সে ঘুরল আরেকটা এপিটাফের সামনে। বলতে লাগলো, মা,আমার মা। আমার সোনামণি। আমার রাজকন্যা। আমার নাদিয়া। আমি এসেছি মা। যে দানবটা তোমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে থাকতে দেয় নি আমি তাদের শাস্তি দিয়েছি। কঠিন শাস্তি। এখন থেকে কোন মা-বাবার রাজকন্যা-রাজপুত্রকে কে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কক্ষনো না। আমার সোনামণি এবার খুশি তো। সোনামণি...

অরুপ থেমে যায় কারণ কেউ তার ঘাড়ে হাত রেখেছে। সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে পরিচালককে। পরিচালক বলে উঠে, স্যার, আসুন। দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

-হুম। যাচ্ছি।

অরুপ উঠে দাঁড়ায়। কবরটাকে পিছনে ফেলে আসতেই সে যেন শুনতে পায় তার নাদিয়ার কণ্ঠ, “ধন্যবাদ বাবা”।

==========*==========

উদ্বোধনের সময় সব দেশের প্রধানরা অরুপকে এগিয়ে দেয় তার তৈরি মানবীয় সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটারের দিকে। তার স্ত্রী ইশরাক আর তার মেয়ে নাদিয়ার স্মৃতি স্মরণ করে, কম্পিউটারটার নাম দিয়েছে নাদিয়া আর ফায়ার ওয়ালের নাম দিয়েছে ইশরাক।

অরুপ এগিয়ে যায় কম্পিউটারের মেইনফ্রেমের দিকে। তারপর কণ্ঠ নির্দেশ দেয়, “নাদিয়া, জেগে উঠো।”

একটা মৃদু যান্ত্রিক গুঞ্জন শুরু হয়। অপটিক্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত সারি সারি সাজানো কেবিনেটের গাঢ় নীল বাতিগুলো জ্বলে উঠতে লাগলো। মনিটরে দেখা যেতে লাগলো সুপার কোয়ান্টাম কম্পিউটার সক্রিয় হওয়াকে।

পুরোপুরি সক্রিয় হলে অরুপ ফায়ারওয়ালকে বলল, “ইশরাক নাদিয়াকে নিরাপত্তা দাও।”

নাদিয়াকে মায়ের মমতায় আগলে রাখলো ইশরাক আর দূর থেকে বাবার মতো দাঁড়িয়ে দেখে অরুপ। সবার অজান্তে সে চোখের জল মুছে নেয়।

এক সময়কার হ্যাকিং জগতের মহান গডফাদার মনে মনে বলে সেই প্রাচীন বিখ্যাত উক্তি, “With great power comes great responsibility.”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আফরান মোল্লা অভিনন্দন রইলো॥
নাজনীন পলি অভিনন্দন।
শামীম খান অভিনন্দন রইল ।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) অনেক অভিনন্দন
অনেক ধন্যবাদ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু অনেক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
সহিদুল হক valo laga janalam vote-er madhyome, onek suvo kamona, aamar kobitay amontron
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
এশরার লতিফ অবশেষে... অবশেষে একটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর দেখা মিললো। দারুন।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
এমন মন্তব্যের জন্যই হয়তো লিখতে বসা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
একনিষ্ঠ অনুগত অনেক ভালো লাগলো। দারুণ লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

২৫ এপ্রিল - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৭ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৩৯

বিচারক স্কোরঃ ২.৯৯ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৪ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪