দেয়াল

কোমলতা (জুলাই ২০১৫)

সোহেল আহমেদ পরান
হাসপাতালের এই ছোট্ট ক্যাবিনে অনেকদিন হয়ে গেলো অদৃজার। সাদা চাদরে ঢাকা বিছানা। পাশে ছোট একটা টেবিল। তিনটি চেয়ার। দেয়াল ও ছাদের রঙটাও সাদা। একটা সিলিং ফ্যান ঝুলছে। খুব একটা চালানো হয় না তা। একটা পুরনো এসি লাগানো উত্তর দেয়ালে। কিছুক্ষণ পরপর গড়গড় করে চালু হয়ে যায় । প্রথম প্রথম শব্দটা খারাপ লাগলেও এখন তা পরিচিত ও আপন বলে মনে হয় অদৃজার। এটা কি মায়া? পাশাপাশি থাকতে থাকতে জড়িয়ে ধরা মায়া।

কাল এ ঘরের বাইরে যাবে অদৃজা। আহা মুক্তি! পায়ের কাছে চেয়ারটায় মা এখনো বসা। চোখে চোখ পড়লেই মা হাসেন। মায়ের হাসিটা জেনো কেমন। ঠিক আগের মতো না। এগিয়ে এসে মা অদৃজার মাথায় হাত রাখে। কি যে মধুর লাগে মায়ের হাতের স্পর্শ । একসময় ঘুমিয়ে পড়ে অদৃজা।

ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় অদৃজার। মাকে সে পায়ের কাছের চেয়ারটাতেই বসে থাকতে দেখে। চোখে চোখ পড়তেই হাসার চেষ্টা করে দু’জনই। মায়ের জন্য জন্য খুব কষ্ট বোধ করে অদৃজা। অদৃজা জানে মরণ-ব্যাধি লিম্ফোমা যে পর্যায়ে বাসা গেড়েছে তাতে বাঁচার সম্ভাবনা তার একহাজার ভাগের এক ভাগ।

অপারেশন থিয়েটার রেডি। একজন নার্স এসে সযত্নে ট্রলিতে শুইয়ে দেয় অদৃজাকে। মা এসে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ধরে তাকে। কপালে চুমু খায়। ঠোঁটের হাসি তার ভিজে যায় ক’ফোটা চোখের পানিতে। দরোজায় মাকে আটকে দেয় নার্স।

অপারশন থিয়েটার রুমটাকে খুব ঠাণ্ডা ঠেকে অদৃজার কাছে। এপ্রন-গ্লাভস পরা ডাক্তার এগিয়ে আসে অদৃজার কাছে। রুমের ছাদটা মনে হয় অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। পাশে দেখার চেষ্টা করে অদৃজা। সাদা দেয়াল ছাড়া সে কিছুই দেখতে পায় না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুখের পায়রা সুন্দর হয়েছে আপনার গল্পের ধরন।
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক ভালো লাগালো খুব । শুভেচ্ছা রইলো । রইলো আমার পাতায় আমন্ত্রণ ।
জুন দারুণ।এমন লেখা এবারের সংখ্যায় প্রথম পড়লাম। ভালো লিখেছেন। ভালো লাগা ও শুভ কামনা।
শামীম খান অদৃজা কি ফিরে আসবে বর্ণময় পৃথিবীতে ! জানা হোল না । খুব মায়া লাগছে মেয়েটির জন্য । ভাল লেগেছে গল্পটি । শুভ কামনা জানবেন ভাই ।
অশেষ ধন্যবাদ শামীম ভাই // শুভেচ্ছা নিন
ফয়সল সৈয়দ অনুগল্প । পড়ে ভাল লাগলো।
অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ । শুভকামনা ফয়সাল ভাই
হুমায়ূন কবির ছোট্ট পরিসরে অনেক ভালো হয়েছে । ভোট থাকল ।
ভালোলাগায় আপ্লুত হলাম ভাই>> শুভেচ্ছা
গোবিন্দ বীন সত্যিই মন ছুয়ে গেল।ভোট রেখে গেলাম,পাতায় আমন্ত্রন রইল।
আন্তরিক ধন্যবাদ রলো দাদা। শুভেচ্ছা সতত
আবুযর গিফারী অল্পকথায় মায়ের কোমলতা ফুটে উছেছে..... আরেকটু অগ্রসর হওয়ার দরকার ছিল। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ অনেক আপনাকে>>> এটা অণুগল্প ফর্মেটে লেখা>>> কৃতজ্ঞতা

১৮ এপ্রিল - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪