চেয়েছিনু মন ছুঁতে বারবার ঐ চন্দ্রদেশের মাটি, তাইতো আমি বুঝিনি কভু সোঁদা মাটির হাতছানি। হাতটা বাড়িয়ে ছুঁতে চেয়েছিনু মন আকাশের ঐ নীলরঙকে, বুঝিনিকো তাই এড়িয়ে গিয়েছি ঘাসের সবুজ গালিচাটিকে। উদ্ধত মন চেয়েছিনু তব জয় করিতে ঐ হিমালয় পর্বত, দৃষ্টি হতে তাই ফসকে গেছে ঐ ফুলের উপরে বসা ছোট্ট ভ্রমর। অভিপ্সু মন মোর অস্থির তব আরোহণে ঐ আকাশচুম্বী ভবন, টের পাইনিকো তাই কুঁড়েঘরটি মোর দাঁড়ায়ে রয়েছে ছায়ার মতন। অতৃপ্ত হৃদয়খানি বারেবারে যবে চায় যে দেখিতে সেই নায়াগ্রা, স্বাদ যে তাই পাইনি উপভোগে বাতাসে ধানের শীষে দোল খাওয়া। উচ্চাভিলাষী চিত্ত যে মোর পাড়ি দিতে চেয়েছে ঐ প্রশান্ত মহাসাগর, শ্রবণে তাই ব্যর্থ হয়েছি ঐ কলকল ধ্বনিতে কর্ণফুলীর সুর। যাত্রা পথে বাড়িয়েছি পা তবে যত মহাদেশ যত মহাসমুদ্দুর। যাওয়া হয়নিকো তাই পুবের হাওয়া পালে লাগিয়ে পানশি চড়ে একটু দূর। দৃষ্টি যে মোর অস্থির তব অবলোকনে ঐ দূরদেশেরই চেরি ফুলেদের খেলা, ব্যর্থ নয়ন তাই দেখিতে যেন ঐ ষড়ঋতুরই ছয়টি রঙের মেলা। লিওনার্দোর মোনালিসারই রূপের জয়গানে মেতে উঠি যবে খুব, দেখিনি তাই কলসি কাঁখে নদী হতে পানি নেয়া গাঁয়ের বধূর রূপ। ভিনদেশী গান রপ্তে যবে দিয়েছিনু মন প্রাণ, দেখা হয়নি তাই পলাশ রাঙা বসন্ত আসে নিয়ে কোকিলের গান। পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে খুঁজিতে অস্থির মন ক্লান্ত যে আজ খুব, ব্যর্থ যে তাই দেখিতে আমার স্নেহময়ি বাংলা মায়ের রূপ। তাইতো এ রূপে মুগ্ধ হয়ে আজ মন চায় ছুটে আসি, রূপের আধার জননী তুমি, বাংলা মা, তোমায় ভালবাসি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ )
তাইতো এ রূপে মুগ্ধ হয়ে আজ মন চায় ছুটে আসি,
রূপের আধার জননী তুমি, বাংলা মা, তোমায় ভালবাসি। --------------------- বাংলার রুপের কোন বর্ণনা দেয়ার মত শক্তি আমার নেই আর মন্তব্য ত কোন ছার । তবে আপনার লেখা টা পড়ে বেশ ঈর্ষা হচ্ছে ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।