লেখক সাক্ষাৎকার-৫: ম্যারিনা নাসরীন, বই- একটি প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম

ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইফতেখার
২৮ ফেব্রুয়ারী,২০১৩

তাকে যখন বললাম, “আপু, আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।” তিনি বললেন, “ধুর, লজ্জা পাই!” আমি বললাম, “লজ্জার কিছু নেই আপু, সাক্ষাৎকারের সাথে পর্দা ফ্রি দেওয়া হবে!” তখন তিনি রাজি হলেন। তিনি আর কেউ নন, আমাদের ম্যারিনা নাসরীন (সীমা) আপু। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ তে বের হয়েছে তার প্রথম বই ‘একটি প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম’।


ইফতেখারুল ইসলাম:
আপু, কেমন আছেন?

ম্যারিনা নাসরীন: ভালো। তুমি?

ইফতেখারুল ইসলাম: আমি লোডশেডিংয়ে আছি, গরমকাল তবে চলেই এলো! যাকগে, প্রথম বই, সাড়া কেমন?

ম্যারিনা নাসরীন: ভালো, আমি যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক ভালো।

ইফতেখারুল ইসলাম: আচ্ছা, ঘর-সংসার, অধ্যাপনা, পাশাপাশি লেখালেখি- আপু সবকিছু ম্যানেজ করেন কীভাবে?

ম্যারিনা নাসরীন: একটু সমস্যা তো হয়-ই। লেখালেখিতে যতটা সময় দিতে পারতাম, ততটা দিতে পারি না। তবে এর মাঝেই লেখার চেষ্টা করি।

ইফতেখারুল ইসলাম: আমাদের নারী সাহিত্যিকেরা প্রায়ই একটি অভিযোগ করে থাকেন- পুরুষেরা যতটা বাইরের পৃথিবী দেখার সুযোগ পান, নারীরা ততটা পান না। আপনি এই বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন? 

ম্যারিনা নাসরীন: সত্যি বলতে আমাদের সমাজে এখনও নারীরা কোনখানেই নিরাপদ না, বাইরে তো নয়ই। যে কারণে তারা বাইরের দুনিয়া কম দেখে। যদিও আগের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি বাইরে আসছে। নারীদের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, তাহলে আরও বেশি পরিমাণে মেয়েরা বাইরে আসবে।

ইফতেখারুল ইসলাম: এখানে একটা ব্যাপার একটু বলা দরকার। আমাদের সমাজে নারী স্বাধীনতার মাঝেই কি এক বিস্তর ফারাক তৈরি করে দেওয়া হয়নি? যেমন একটি শহুরে মেয়ে যতটা স্বাধীনতা পাচ্ছে, মফস্বলের একটা মেয়ে কি ততটা স্বাধীনতা পাচ্ছে?

ম্যারিনা নাসরীন: সেটাতো পাচ্ছেই না।

ইফতেখারুল ইসলাম: এর পেছনে কী কারণ রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

ম্যারিনা নাসরীন: সাধারণত বড় শহরগুলোতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকে সে ধরনের সুযোগ মফস্বল শহরে থাকে না । তাছাড়া আর্থিক দিক হতে বা শিক্ষার দিকেও মফস্বল শহরগুলো অনেক পিছনে, যার কারণে সেখানে মেয়েরাও পিছিয়ে আছে।

ইফতেখারুল ইসলাম: আবার বইয়ে ফিরে আসি। ‘একটি প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম’ নিয়ে আপুর অভিমত জানতে চাইব।

ম্যারিনা নাসরীন: ‘একটি প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম’ একটি ছোট গল্প সংকলন, গল্পগুলিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে নারীদের প্রতি বঞ্চনা, লাঞ্ছনা ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়েছে।

ইফতেখারুল ইসলাম: শেষ প্রশ্ন- আপুকে আমি সবসময় দেখি একটি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে চলতে। আপনি কি মনে করেন, নিজের মাঝে এই ভালো গুণটি কীভাবে তৈরি করা যায়?

ম্যারিনা নাসরীন: মানুষের জীবনে তো দুঃখ হতাশা থাকবেই, অনেক না পাওয়া থাকবে। কিন্তু সেসবকে গুরুত্ব না দিয়ে কী পেয়েছি সেটা ভাবতে হবে, তাহলেই জীবনের সবকিছুকেই ইতিবাচক মনে হবে।

ইফতেখারুল ইসলাম: আপুকে ধন্যবাদ।

ম্যারিনা নাসরীন: ধন্যবাদ তোমাকেও।

 

 

 

একনজরে একটি প্রশ্নবিদ্ধ জন্ম

 

ধরন: গল্প সংকলন

 

প্রকাশক: নন্দিতা প্রকাশ

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ম্যারিনা নাসরিন সীমা অনেক ধন্যবাদ ইফতি আমার মত ক্ষুদ্র একজন কে নিয়ে তোমার এই আয়োজনে অভিভুত হলাম । শুভকামনা নিরন্তর ।
তানি হক ধন্যবাদ ইফতি ভাই ..সীমা আপুর এই সাক্ষাতকারটির জন্য ..তোমার প্রশ্ন ও সীমা আপুর উত্তর দুটোই সুন্দর ..শুভকামনা ভাইজান এবং আপু ..দুজনের জন্যই :)
ম্যারিনা নাসরিন সীমা কৃতজ্ঞতা অফুরান তানি , সবসময় ভাল থেক ।

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i