সদ্যসমাপ্ত অমর একুশে বই মেলায় আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। নাম "সুখ পোড়ানো ছাই"।
বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা থেকে বই সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যাবেঃ
"সুখ পোড়ানো ছাই" এর পংতিমালার মধ্যে কষ্ট আছে, আছে দুঃখ-বেদনা আর অভিমান। আবার বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে ভিজার মত অনিন্দ্য আনন্দবোধও আছে। পরাজয়ের সরল স্বীকারোক্তি আছে, হতাশা আছে, আছে বিজয়ীর দলে নাম লেখাবার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। এলোমেলো জীবন যাপন শেষে আছে চন্দ্রের স্নিগ্ধতায় অবগাহনের নিমন্ত্রণ, আছে প্রজাপতির লাল কালচে ডানায় সুখ খোজার সূত্র।
কবিতাগুলো পড়ে অবচেতন মনে প্রশ্নে আসতে পারে জীবন কি আসলেই খুব অর্থবহ? নাকি জীবন মানেই ইনস্যানিটির সাথে আজন্ম সন্ধি? জীবন কি সর্বদাই একাকী, মৃদু বাতাসে টলমল? আবার পরক্ষণেই মনে হবে বেঁচে থাকাই নান্দনিক, বেঁচে থাকাতেই সার্থকতা। বইয়ের প্রতিটি পংতি যেন মানব জনমের সেই অনিশ্চিত নান্দনিকতার বিজ্ঞাপনঃ
‘সুখের পাখি উড়াল দিলে দিক
চল আমরা একটা দুঃখ পাখি ধরি’
‘সূর্যকে চলে যেতে বলি তবে?
তুমি কি আমার স্নিগ্ধতার চন্দ্র হবে?’
‘আমি শুধু দেখি মাথার উপর নীল আর নীল
কিছু করার নেই আমার, আমি ডানাহীন চিল’
‘দুঃখ আমার বাহির জুড়ে, দুঃখ ভিতরে
নাম না জানা দুঃখ কত দেখাই কি করে’
‘অন্ধকারে জোনাক জ্বলে ছড়িয়ে তারার আলো
আমার যত কাছের মানুষ সবাই থাকুক ভালো’
‘তুই জলে ভাসা ফুল, আমিও বিশেষ কিছু নই
তবু আমার ইচ্ছে করে, তোর কিছু হই’
‘প্রয়োজন ফুরাবার আগেই দৃষ্টিসীমায় আসো
প্রয়োজনের অধিক যদি কিছু থাকে, তবে কিছুটা ভালোবাসো’
‘কষ্ট পাওয়া অনেক হলো, আমি এবার নষ্ট হবো’
‘কবি চিরদিনই ছিল, আজো আছে
কবি থাকবে চির অম্লান, চির অক্ষয়’
‘এই পৃথিবী এক সাহিত্যের খামার
চলো দেখি কি ভূমিকা তোমার আর আমার’
ছোট ছোট প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ-ভালোবাসা, কাছে থাকা কিংবা দূরে যাওয়ার পংতিমালা নিয়ে রচিত এক আখ্যানের নাম "সুখ পোড়ানো ছাই"।"
এই বইয়ের কিছু কবিতা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল গল্প-কবিতায়।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে রকমারিতেঃ
https://www.rokomari.com/book/197571/sukh-porano-chai?fbclid=IwAR1fC7GC4Qp86gffQSdF43DQ_GScHDOhvslFKGMzM9zyd2bIo5LwKvZZQ9o