আমি যখন "দেয়াল" লিখবো ...

জাহাঙ্গীর অরুণ
০৪ মার্চ,২০১৩

আমি যখন "দেয়াল" লিখবো:
৭১ এ আমরা জয় লাভ করেছি। স্বমূলে বিনাশ করতে পারিনি সেই সব নর পশুদের যারা ধর্মকে ঢাল হিসাবে রেখে আড়ালে নিকৃষ্ট কাজ করে বেড়ায়। তারাই এখন জামাত-শিবির। এবার এদের ধংস হবে। দেশ হবে ধর্মান্ধতার অন্ধকার মুক্ত। দেশ হবে, ধর্ম যার যার, দেশ সবার। হিন্দু বন্ধুদের পূজায় যেমন আমরা যাবো তেমনি আমাদের ঈদেও আসবে হিন্দু ও অন্য ধর্মের বন্ধুরা। উপজাতী ভাইদের অনুষ্ঠান দেখতে যাবো আমরা সবাই। উন্নত একটা দেশের সবাই ভূলেই যাবে দেশে এক সময় ধর্মের নামে বাড়ীঘর পুড়ানো হতো, বাসে, ট্রেনে আগুন দেয়া হতো।

তখন যদি স্মৃতি কথা লেখার মত বয়সী কেউ না থাকেন। যদি আল্লাহ সেদিন আমাকে সুস্থ্য ভাবে বাঁচিয়ে রাখেন তখন আমি হয়ত ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস লিখবো। উপন্যাসটা হয়ত হবে অনেকটা এমন -

তখন ২০১৩। মানুষের চেয়ে যে বড় কিছু নয় তা তখনো ধর্মন্ধ মানুষরা মনে করতো না। তারা মনে করতো ধর্ম আগে, এরপর মানুষ। তাই ধর্মের নামে হতো যতসব অধর্ম। বাংলাদেশের বেশীরভাগ জনসংখ্যা ইসলাম ধর্মের। আর এই সুযোগে কিছু লোকজন পরীক্ষিত এবং প্রমানিত রাজাকারের মুক্তির দাবিতে এই ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলো। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে পশুটা নিকৃষ্টতম অপরাধ করেছিলো সেই পশুর মুক্তির দাবিতে সাধারন মানুষদের পথে নামিয়েছিলো কিছু কুবুদ্ধিসম্পন্য ধর্মব্যবসায়ী। ফটোশপে এই পশুর ছবি চাঁদের সাথে লাগিয়ে অপাসিটি কমিয়ে দিয়ে মিশ খাইয়ে এরা প্রচার করলো এই পশুটাকে নাকি চাঁদে দেখা য়ায়। পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং হলো যে চাঁদে এই "মহান!" বক্তার ছবি দেখা যাচ্ছে। তখন বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ ছিলো সরল প্রকৃতির। এরা ধর্মীয় কথা মনে করে তা বিশ্বাস করলো। রাস্তায় নেমে সেই পশুর মুক্তিতে মিছিল করলো, গাড়ী ভাংলো, রেল পুড়ালো আরো কত কি...! পুলিশ মারলো, পুলিশ অরাজকতা ঠেকাতে গুলি ছুড়লো, মানুষ মরলো। যারা মরলো তারা বেশীরভাগই সরল বিশ্বাসের মুসলমান। আর এদের সরল বিশ্বাসে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতারণা করলো জামায়াত-শিবির নামের তৎকালিন একটি ধর্মব্যবসায়ী দল। ...

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর লেখনী ও ভাবনা । তোর কথার মধ্যে অনেক সত্যতা আছে । কিন্তু এর ভিতরের সত্যতা আরো মারাত্মক । এদেশ আজ কঠিন বাস্তবতার মুখে দাড়িয়ে । মুক্তিযুদ্ধ , স্বাধীনতা আর ধর্ম---, এই স্পর্শকাতর ব্যাপার গুলো আজ সামনে চলে এসেছে । এগুলো নিয়ে স্বার্থন্বেষী মহল জাতীকে এত বিভক্ত করে রাখতে পেরেছে---এটা আগে এমন করে বুঝা যায় নি । ধর্ম আর অধর্মের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পরেছে । ধর্ম ব্যাবসায়ীরা এত দীর্র্ঘদিন ধরে বক ধার্মিকতা করার সুযোগ পেল কি করে---, ! ধর্মীয় মুর্খতা কিরকম পঙ্কিলতার সৃষ্টি করে---, এটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে । শুদ্ধ ধর্মীয় চর্চার জন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতেই হবে । দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে ধর্মীয় জ্ঞান বিকাশের দায়িত্ব কে নেবে । ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়া এরুপ ধর্মীয় অনাচার দুর করা সম্ভব নয় । জামাতসহ সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ীদেরকে রাজনৈতিক , প্রসাশনিক ও ধর্মীয় ভাবে মোকাবেলা করতে হবে । আর ধর্মীয়ভাবে মোকাবেলা করতে গেলে ধর্মের জ্ঞান লাগবে । এই জ্ঞানকে ভয় পেলে চলবে না ।। = তোকে অনেক ধন্যবাদ ।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

মার্চ ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i