বালতি ভর্তি সাপ কিলবিল করছে।
গোসল করতে গেলেই এমনটা মনে হয় যুথীর। মগ দিয়ে পানি তুলতে গেলেই বুঝি গোটা দশেক সাপ পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে তার হাত বেয়ে ওঠে যাবে। ঘটনাটা অন্ধকারে আরো বেশী ঘটে।
এর নাম কি? Snake Phobia? নাহ এমন কেন হবে। অন্য সময়তো তার সাপের কথা মনে হয় না। সাপ দেখলেও তেমন একটা ভয় লাগে না। ভয়টা কেবল গোসল করার সময়। আচ্ছা সে ঝর্ণা দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করলেইতো হয়! কিন্তু বাথরুমে ঢুকার পর ঝর্ণার কথা মনে আসে না কেন?
ঠিক এই কারনেই সে বিকালের আগে আগে গোসল সেরে নেয়। আজ ভার্সিটি থেকে ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধা হয়ে গেল। বাসায় নাই বিদ্যুৎ। আই পি এস এর লাইন বাথরুমে দেয়া হয়নি। অথচ গোসল করা ছাড়া কোন গতি নাই। বাস থেকে পানের পিক মিসানো কফ এসে সরাসরি তার হাতে লেগেছে। যুথী কিছুক্ষন হাতের দিকে তাকিয়ে থাকার পর ভেউ ভেউ করে কেঁদে দিয়েছে। রিক্সাওয়ালা ঘটনা খেয়াল করেছে। খুব আন্তরিকতার সাথে বল্লো, আফা আপনে বন্, ওর কফ আমি ওরে দিয়া চাটামু।
যুথি অস্বস্তির সাথে অবাক হয়ে রিক্সায় বসে আছে। জ্যাম ছুটে গেছে। রিক্সাওয়ালা দোড়াচ্ছে বাসের পিছনে। রিক্সার পিছনের গাড়িগুলো একের পর এক হর্ণ দিয়ে যাচ্ছে। ও কি করবে? রিক্সা থেকে নেমে দাড়াবে? ঘিন্না, বিরক্তিতে যুথী আবারো ভ্রু কুঁচকে কাঁদতে শুরু করলো।
এত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি পার হয়ে এখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ফ্রেস একটা গোসল দিতে পারলেই হয়। এ ন্যাচেরাল বাথ নাথিং ইন বিটুইন বডি এন্ড ওয়াটার।
(চলবে)
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।