পশুপাখী পোষা

জাহাঙ্গীর অরুণ
২৭ ফেব্রুয়ারী,২০১৩

পশুপাখি পোষা
ছেলেবেলার খুব পরিচিত একটা প্রশ্ন হচ্ছে- আমরা খাওয়ার জন্য বাঁচি, না বাঁচার জন্য খাই? বুদ্ধি করে এর উত্তর দিতে হতো- বাঁচার জন্য খাই। খাওয়ার জন্য বাঁচি বললে তো খাদক বলে খেপাবে সবাই। এখন বুদ্ধি নয়; বরং যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখা যাক। সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের বাসায় অ্যাকুয়ারিয়াম দেখা যায়। অ্যাকুয়ারিয়াম ভর্তি রংবেরঙের মাছ। কী সুন্দর, আহা রে, কী সুন্দর! এক টুকরো জীবন্ত সুন্দরকে প্রাণবন্ত করে পাশে রাখা কি এত সুন্দর হয়! কেউ কেউ পাখি পোষেন। এ শুধু সুন্দরই নয়, যেন মধুরও। যান্ত্রিক শহরেও ঘুম ভাঙে পাখির কিচিরমিচির শব্দে। দুর্দান্ত সৌভাগ্য তো একেই বলে। মাছ, পাখি, এসবে হচ্ছেটা কী? আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। আবার পল্লীকবির সেই বিখ্যাত গান- মোরা পঙ্খি মারি পঙ্খি ধরি মোরা পঙ্খি বেইচা খাই/মোদের সুখের সীমা নাই...। যে মাছ আর পাখি আমাদের খাদ্যেরই অংশ, সে মাছ ও পাখি কি না আমরা জামাই আদর করে পুষছি? তাদের সঙ্গে আমাদের কী মধুর বসবাস!
পশুপাখি পোষার ভালো-খারাপ দুই-ই আছে। আগে ভালোটাই বলি। মনটা ভালো থাকে। যারা পশুপাখি পোষে তাদের স্বভাবের মধ্যে একটা নম্র ভাব থাকে। প্রকৃতির সন্তানদের সেবা যারা নিজের সন্তানের মতো করে, তাদের প্রকৃতি কিছু দেবে না, তা তো হয় না। প্রকৃতি তাদের স্বভাবে প্রেমের প্রভাব বাড়িয়ে তার প্রতিদান দেয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের মনে তাড়া দেয় কখন খাবার দিতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে ইত্যাদি। আর এমনিতে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। প্রেমময় পরিচর্যায় যে মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকে, সে মস্তিষ্ক অন্যের ভালো করতে না পারলেও অন্তত খারাপ কিছু করতে পারবে না। এবার বলি খারাপ দিকটা। বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। বন্য প্রাণীগুলোকে খাঁচায় রাখাটা একটা অন্যায় বটে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সান্ত্বনার কথা হলো- দেশি পাখি পোষা নিষেধ। আর যেসব বিদেশি পাখি পোষা হয়, সেগুলো বংশপরম্পরায় খাঁচায় থাকতে থাকতে তাদের স্বভাবই হয়ে গেছে খাঁচার ভুবনে বসতবাড়ির মতো।
কেউ কেউ শখের বশে পশুপাখি, মাছ প্রভৃতি পোষা শুরু করলেও পরে এর ব্যবসায়িক দিক চিন্তা করে তা আর ছাড়তে পারেন না। সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারলে বাচ্চা বিক্রি করে মাসে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়ে মধ্যবিত্ত একটা সংসার চলে যায়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় পশু-পাখির বাজার হলো ঢাকার কাঁটাবনে। শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর পার হয়ে একটু সামনে গেলেই পাখপাখালির ভিড়ে পাওয়া যাবে আরো হরেক কিছু। আমাদের বাংলাদেশে মাছ, পাখি, কুকুর, বিড়াল, কচ্ছপ, গিনিপিগ প্রভৃতি পোষা হয়। এদের মধ্যে অবশ্য রয়েছে নানা প্রকারভেদ। নিজের ভেতরের সুপ্ত প্রকৃতি প্রেমটাকে সামনে আসতে দিন। তবেই গহিনে হারিয়ে যাবে মনের হিংস্র পশুটা।
জাহাঙ্গীর হোসেন অরুণ

http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1166&cat_id=2&menu_id=20&news_type_id=1&index=3#.US1s6zf4JDk

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মো ফরহাদ আলম দারুন লিখেছেন ভাই। আপ্নার লেখাটা পরে অনেক ভাল লাগ্ল।
রোদের ছায়া ভালো লিখেছেন । ভালো দিন মন্দ দিক দুতর কথাই বললেন । তবে পশুপাখি পোষার একটা মন্দ দিক আপনি হয়তো খেয়াল করেননি ...পশু পাখি থেকে মানুষের মাঝে অনেক রকম অসুখ ছড়ায় । তবে এজন্য নিশ্চই আমরা পশুপাখি বাসায় পোষা ছেড়ে দিব না ।
এফ, আই , জুয়েল # পশু-পাখি পোষার সাথে মানুষের মানবীয় গুনাবলীর বিকাশ ঘটে---এটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে । আসলে প্রকৃতির সাথে মানুষের যে মনের টান বা আকর্ষন ---এটা একটা রহস্যময় ব্যপার । প্রায় সব নবী ও সেন্ট জীবনের বিরাট সময় ধরে পশু-পাখি পুষেছেন---,প্রতিপালন করেছেন ।= আল্লাহ কিভাবে জীবিতকে মৃত করেন এবং মৃতকে জীবিত করেন --এটা দেখার জন্য ইবরাহীম নবী বায়না ধরলেন । আল্লাহ তাকে চার রকম চারটা পাখি এনে পোষ মানিয়ে ---(এমন পোস যাতে নাম ধরে ডাকলে আসে ) তারপর টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন পাহাড়ে ফেলে দিয়ে এসে নাম ধরে ডাকতে বললেন । ডাকামাত্র পাখিগুলি জীবিত হয়ে তার কাছে চলে আসলো । = চার রকম পাখি--, চার রকমের খাবার । দীঘদিন ধরে এগুলোকে পোষ মানানো---এটা খুব সহজ ব্যপার ছিল না । মানবীয় গুনাবলীর চরম শিখরে উন্নিত হওয়ার জন্য হতে পারে এটা একটা সাধনার কাজ করেছিল । = আসলে পশু-পাখি আর প্রকৃতির সাথে মানুষের নীবির সম্পর্ক----, মানব আত্মাকে অমর প্রেমে মাতিয়ে তোলে । = তোকে ধন্যবাদ ।।

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i