আমি যদি তোমারে নাই জানি, তো ভালোবাসবো কি করে! তবু ভালোবেসেছি।
আচ্ছা ভালোবাসা মাঝে মঝে বুঝি একতরফা হয়। সেটা কেমন? সুখ পাওয়া যায় কি! জানি না, জানবো বলেও কোন সম্ভাবনাও দেখছি না। তবু ভালোবেসে গেছি তোমায়। পাবো কি পাবো না, সে হিসাব করতে যাইনি তাতে শুধু পেন্সিলের আগা ক্ষয় হতো।
যেদিন শুনলাম ও বেচারা অসুস্থ, যাকে আমি ভালোবাসি। মনটা যেন কেমন করে উঠলো। কিছুটা বিষন্ন হয়ে পড়ি। কয়েক বছর আগে, আমার গায়ে হলুদ পাঞ্জাবী ছিলো না, নগ্ন পাও ছিলো না। তবু সুযোগ করে, সব কিছু উপেক্ষা করে শুধু হাঁটতাম। চেনা জানা পরিজন ভাবলো কোন মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে আমি দিশেহারা। তারপর যে কি হলো, ক’দিন পরে আমাকে আর রাস্তায় পাওয়া গেলো না। আমাকে হাসপাতালের বেডে কাতরাতে দেখা গেল। মাঝে আমার বোনের গায়ে-হলুদ, বিয়ে ছিলো, যেতে পারলাম না। কারন আমার সারা শরীর (জন্ডিসে) হলুদ মাখানো শরীর হয়ে আছে। এইচ এস সি পরীক্ষা ছিল, সেটা না দেবার সম্ভাবনাও উঁকি দিলো কয়েক বার। আমি তবু শপথ করলাম মনে মনে আমি আবার পথে ফিরে যাবো। সবাই আমাকে পাগল মনে করলো। এখনো করে। আমি পাগল হয়ে আছি, প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি।
মুখফুটে কোনদিন বলতে পারি নাই, চোখ এড়িয়ে ভালোবেসে গেছি। গায়ে চড়াতে না পারলেও মনের শরীরে আমি চড়িয়েছি হলুদ পাঞ্জাবী। আমি হিমু হতে চেয়েছি। পথে পথে ভালোবাসার উপেক্ষায় আমি ফেলতে চেয়েছি আমার নগ্ন পা।
আমাকে, আমাদেরকে জোছনা দেখতে শিখিয়ে, বৃষ্টিতে ভিজতে শিখিয়ে, হিমু হতে শিখিয়ে সে চলে গেলো বহুদুরে। সে কি জানতো আমরা তাকে কত ভালোবাসতাম?
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।