ছোট্ট বেলার মধুর স্মৃতি ভুলি কেমন করে
বারে বারে উঁকি দেয় সে ব্যস্ত মনের ঘরে
মায়ের সাথে ফজরের নামাজে দিন হতো শুরু
মক্তবে তে পড়া দিবো … বুক দুরু দুরু
পান্তা ভাতে ইলিশ ভাজা মজার খাওয়া শেষে
সবুজ খেতে দিতাম ছুট…ছন্ন ছাড়া বেশে ।
কাদা মেখে রোদে পুড়ে কোঁচে কলাই ডাল
আনবো ধুয়ে ভালো করে..পাশেই আছে খাল
মনি-রুমা-মুন্নী–রুবেল কোথায় গেলি তোরা?
আয়রে আয় খাবো সবাই মিলে গরম রাখালপোড়া ।
খাওয়ার পরে বন্ধুরা সব উঠি গোল্লা ছুটে মেতে
হঠাৎ করে ছন্দ পতন… ইশকুলে তে হবে যেতে।
দিদি মণির আদর শাসন লেইজারে হল শেষ
ছুটির ফাঁকে চালতা মাখা লাগবে খেতে বেশ ।
পড়া শেষে পুস্কুনিতে মাছ ধরতে যাবো দুপুর বেলা
ঝিলের তোলা সাপলা টাকির হবে বোন ভাত মেলা
বিকেল বেলা হাটে যাবো বাবার নাও খানিতে চরে
সদাই শেষে মিষ্টি খাবো ইচ্ছে মতো পেট ভোরে ।
রাতের বেলায় মায়ের পাতের ভাত নিয়ে কাড়াকাড়ি
বাবার পাশে কে ঘুমাবে? সব ভাইবোনের আড়াআড়ি !
এমন করে মধুর সময় গুলো হতো যে পার
চোখ ভিজে উঠে হায় !সেদিন ফিরবেনা তো আর ।
তাই স্বর্ণ তোলা স্মৃতি গুলো কেমন করে ভুলি
যত্ন করে শৈশবকে মনের অ্যালবামে তে তুলি ।।
( রাখাল পোড়া – কাঁচা কলাই ডাল পোড়া ) ( লেইজার – টিফিনের ছুটি ) (পুস্কুনি – পুকুর )
( বোন ভাত – চড়ুই ভাতি )
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।