বাংলা কবিতার পরিক্রমাঃ ছন্দ, অন্ত্যমিল ও গদ্যকবিতা/ ছয় (অন্তিম

Lutful Bari Panna
২৪ আগষ্ট,২০১২

উত্তরধুনিক পর্যায়

আশির দশক থেকে এই দেশে যে উত্তরাধুনিক কবিতার চর্চা হয়েছে সে ধরণের কবিতা বা শিল্পের বিভিন্ন নাম আছে- যেমন ডাডাইজম, সুররিয়ালিজম, নিও ক্রিটিক প্রভৃতি। প্রথম যুদ্ধ সূচনাকালে ডাডাইজমের মাধ্যমে এটার সূত্রপাত হয় ১৯১৬ এর দিকে। এই ধারার মূল বিষয় ছিল 'বিরাজমান সংস্কৃতি যুদ্ধের জন্ম দেয়; কাজেই এর বিরোধিতা করা উচিত। শিল্পকে হতে হবে বিমূর্ত । কেননা, এটি পরিকল্পনা ও যৌক্তিক চিন্তাধারার বিপরীত। পরিকল্পনা ও যৌক্তিক চিন্তাধারা জন্ম দেয় যুদ্ধের আবহ।' কবিতাকে অন্যান্য শিল্পের মত বিমূর্ত করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই ধারাটি ছড়িয়ে পড়ে।

 

বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে এই ধারাটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দুই বাংলার দুটো প্রতিষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গের কৌরব প্রকাশনী এবং বাংলাদেশের জোনাক রোড প্রকাশনী। বাংলাদেশের আন্দালিব আমীন, মুক্তি মন্ডল, কানাডাপ্রবাসী মেজবাহ আলম অর্ঘ্য, হীরা, পশ্চিমবঙ্গের- বারীন ঘোষাল, সব্যসাচী সান্যাল প্রমুখ কবিদের হাতে এই শিল্পটি বেশ পাখা মেলতে শুরু করে। বিমূর্ত করার পাশাপাশি এটা কবিতার সব ধরনের কাঠামোকে অস্বীকার করে। কবিতা ছন্দ কিংবা কোনরকম ফরম্যাটেই লেখা হবে না। কবিতা হতে হবে সব ধরনের বাধন থেকে মুক্ত এমনকি বিষয়েরও। এইসব ধারণার একটা হল ডেথ অব অ্যান অথর। অর্থাৎ কবিতা লেখার পর থেকেই কবি অনুপস্থিত। পাঠকরা যে যার মত অর্থ করে নেবেন। আসলে মুক্তির বোধ হয় কোন সীমারেখা নেই। কবিতার এই চর্চা থেকে আগেও বলেছি সবই থেকে গেছে শুধু সাধারণ পাঠকরাই কবিতা থেকে দূরে সরে গেছেন।

 

প্রশ্ন হল আমরা কবিতা ও পাঠককে একীভূত করতে প্রয়াসী হব কিনা? এ বিষয়ে আসলে নানাবিধ মতবাদ আছে। কেউ বলেন কবিতা লিখতে হবে শিল্পের প্রতি দায় থেকে। পাঠকের কথা চিন্তা করে যারা লিখবেন তারাই ব্যর্থ হবেন। কেউ বলেন পাঠক যদি নাই পড়ল তাহলে কবিতাকে কবিতা বলবে কে? এ প্রশ্নের মীমাংসা বোধ হয় হয়নি আজো। তবে আমরা একটা ব্যাপার দেখেছি- জীবনানন্দ দাশ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদেরা সাধারণ্যে পরিচিত হয়েছেন মূলত কিছু সাধারণ পাঠকপ্রিয় কবিতার মাধ্যমেই।

 

আশির দশক থেকে যে আমরা কোন কবিকে চিনে উঠতে পারছি না এর পেছনে এই সাধারণ পাঠকপ্রিয় কবিতার অভাবই মুখ্য কারণ। আবার পাশাপাশি একথাও সত্য যে জীবনানন্দ দাশ তার সময়ে কবি হিসেবে পাঠকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। মৃত্যুর আগে তিনি নাকি মানুষকে জিজ্ঞেস করছিলেন, তার কোন কবিতাই কি কবিতা হয়নি? ভাবুন দেখি যাকে আমরা শুদ্ধতম কবি বলে দাবী করি, যার ’বনলতা সেন’ বাংলা ভাষায় সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং পঠিত কবিতা- তার এই অবস্থা। কাজেই এই আলোচ্য বিষয়টিতে আমি বরাবরই দ্বিধাগ্রস্ত।

 

সাধারণ পাঠক আর বোদ্ধা পাঠক এরকম একটা বিভাজনরেখাও তৈরি হয়ে গেছে কবিতা পাঠের ক্ষেত্রে। জনপ্রিয় সাহিত্য সচরাচর সমালোচকপ্রিয় হয় না। জনপ্রিয়তা আর শিল্পমান দুটো দুই প্রান্তে বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু আমরা দেখি শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েও সমালোচকপ্রিয় সাহিত্যক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা ছিল তার নিজের সময়ে। তবু কথা থেকেই যায় যে কোন রচনা থেকে রস গ্রহণের ক্ষমতা সবার সমান হয় না। যে রচনা থেকে সাধারণ পাঠক রস পান সেটা থেকে বোদ্ধা পাঠক রস না পেতেই পারেন আবার উল্টোটা তো বেশীরভাগ সময়েই সত্য। আবার এই যে বিভাজনটি করলাম, সেটাও এত সরল না।

 

ছোটবেলায় গল্প পড়ার সূচনা হয়েছিল 'নিশি অবসান' নামে একটা রাজপুত্র রাজকন্যার প্রেমকাহিনীভিত্তিক উপন্যাস পড়ার মাধ্যমে। বলা যায় রীতিমত মুগ্ধ হয়ে যাই। এরপর অনেকদিন পরে বইটা আবার হাতে আসে। পুরনো মুগ্ধতার স্মৃতি জমানো ছিল নিওরনে। তাই আবার খুলি বইয়ের পাতাটা। কিন্তু ততদিনে অনেক পড়ার অভ্যাস হয়ে গেছে। রুচির যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে গেছে সেটা টের পেলাম- নতুন করে বইটা হাতে নিয়ে। এমন সস্তা একটা লেখা পড়ে মজা পেয়েছি ভেবেই হাসি পেল। তো এরকম পাঠকরুচি সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়। এবং এই রুচির অনেক পর্যায় থাকে। আর সবচেয়ে বড় কথা এর কোন মুখেই কোন সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়নি। আবার অনেক লেখকের হয়ত ক্ষমতা থাকে সমালোচক এবং বেশীরভাগ পাঠক দুপক্ষকেই তুষ্ট করে সাহিত্য রচনার।

 

আমরা বরং সাম্প্রতিক সময়ে কবি আল মাহমুদের এ মন্তব্যটি শুনি। তিনি বলেছেন, ‘বাংলা কবিতার একটা মোড় ফেরা উচিত’। মোড় ফেরানো বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন জানি না। হতে পারে কবিতাকে পাঠকের কাছে নিয়ে যাওয়াকে বুঝিয়েছেন। হতে পারে অন্য কিছু। তবু এখনকার অন্তর্জাল সাহিত্যের সময় কবিতা এবং যে কোন সাহিত্যেরই একটা অন্য ধারায় পরিবর্তনের সূচনা এমনিতেই হওয়া স্বাভাবিক। আমরা শুধু অপেক্ষা করে থাকতে পারি সেই নতুন সময়ের কবিদের জন্য।

 

শেষ সংলাপ

সবশেষে নবীন কবিদের জন্য কিছু পরামর্শ। এটা আপনাকে গ্রহণ করতেই হবে এমন না। তবে যুক্তিগ্রাহ্য হলে ভেবে দেখতে পারেন। সেটা হল, ভিড়ের মধ্যে দাঁড়ালে আপনাকে কেউ আলাদা করে চিনবে না। মানে হোক, বক্তব্যে হোক, আঙ্গিকে হোক, ভঙ্গীতে হোক আপনাকে অবশ্যই নতুন কিছু করে দেখাতে হবে। এই ফেসবুক, সোশাল মিডিয়া, ওয়েবজিন, লিটল ম্যাগ, কবিতা ফোরামের যুগে অনেক কবিরা বেরিয়ে আসেন কিন্তু টিকে থাকতে পারেন না স্রোতে গা ভাসিয়ে দেন বলে। অথচ ভিড় থেকে আলাদা হওয়ার জন্যই সুকান্ত ভট্টাচার্য খুব বেশী উঁচু মানের কবি না হয়েও সবার নজরে পড়েছিলেন। তিনি তার বক্তব্য দিয়ে একেবারে স্বতন্ত্র একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। এই ভিড়ের স্রোতে মিশে যাবার জন্যই শেষ তিন চার দশকে আমরা আলাদা করে অনেক কবিকেই চিনতে পারছি না। সুতরাং যাই লিখুন স্রোতকে অনুসরণ না করে নতুন কিছু করুন। আর নতুন কিছু করতে হলে অবশ্যই পুরনোকে ভালভাবে চিনতে হবে। পুরনো ঘরগুলোকে না চিনলে, পুরনো ঘরগুলোর ডিজাইন, কাঠামো, অবস্থান ইত্যাদি না জানলে আপনি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারবেন না। যা সৃষ্টি হবে তা কোন না কোনভাবে পুরনোকেই অনুসরণ করবে। এজন্য আপনাকে প্রথমত অনেক জানতে হবে, অনেক পড়তে হবে। আর নতুন সৃষ্টির প্রক্রিয়াটাও একটা প্রবহমান বিষয়। প্রতিনিয়ত নিজের গড়ে তোলা আঙ্গিক, অবস্থান থেকেও নিজেকে বেরিয়ে আসতে হবে অর্থাৎ পর্যাপ্ত বৈচিত্র্য থাকতে হবে লেখায়, চিন্তায়, উপস্থাপনায়। এবং এটা কবিদের উদ্দেশ্য করে বলা হলেও যে কোন সৃজনশীল শিল্পের ক্ষেত্রেই এই বক্তব্য প্রযোজ্য।

 

(যারা লেখাটি পড়লেন তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি কারো যৌক্তিক দ্বিমত থাকে তাকেও স্বাগতম। এখানে কিছু সংগৃহিত তথ্য যেমন আছে, তেমন কিছু ব্যক্তিগত চিন্তার জায়গাও আছে। তথ্যে যেমন ভুল থাকতে পারে তেমন আমার ব্যক্তিগত ধারণার সাথে সবাই একমত হবেন এমন ভাবনাও আমাকে তাড়িত করে না। শুধু একটাই সনির্বন্ধ অনুরোধ, পুরো লেখাটার মূল টোন না বুঝে কেউ দয়া করে বিরোধিতার স্বার্থে অন্ধ বিরোধিতা করবেন না। এটা কোন লেখক বা কবিকে ছোট বা বড় করার জন্য লেখা হয়নি। মাস কয়েক আগে একটা লিটল ম্যাগের বিষয় হিসেবে লেখাটার সূচনা করেছিলাম- আগেই বলেছি বন্ধু সূর্যর অনুরোধে। সে সময়ে শেষ করতে না পারায় লিটল ম্যাগটির পরবর্তী সংখ্যাকে টার্গেট করে লেখাটা শেষ করলাম।)

 

(সমাপ্ত)

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমেদ সাবের ধন্যবাদ পান্না "বাংলা কবিতার পরিক্রমাঃ ছন্দ, অন্ত্যমিল ও গদ্যকবিতা" বিষয়ক ব্লগটির জন্য। খুব মনোযোগ দিয়ে ছয় পর্বই পড়লাম। এই স্বল্প পরিসরে এই তথ্য-সমৃদ্ধ লেখাটার মাধ্যমে অনেক কিছু জানলাম যা আমার নিজের কিছু ভুল শোধরাতে সাহায্য করেছে। বিদেশে দীর্ঘদিন অবস্থানের ফলে অনেক নতুন কবির নাম জানা ছিল না। তোমার লেখার মাধ্যমে তাদের সাথে পরিচিত হলাম। আশা করব, ভবিষ্যতে লেখাটা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবে।
Lutful Bari Panna সাবের ভাই- সত্যি কথা হল অন্তর্জাল না থাকলে আপনাদের মত যারা কমবেশী শখেই লেখালেখি করেছেন- এবং প্রবাসী হয়ে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তাদের লেখার সাথেও পরিচিত হবার সুযোগ হত না। আমার এমন একজন পরিচিত বন্ধু হল "মেজবাহ আলম অর্ঘ'। অসম্ভব রকম মেধাবি কবি এবং চারটা বই থাকা সত্বেও প্রবাসী হওয়ায় দেশের পাঠকরা তার লেখার সাথে তেমন পরিচিত না। আমি কারো ভক্ত হয়ে উঠলে তাকে সেটা জানাতে কার্পণ্য করি না। প্রয়োজনে তার রেফারেন্সও দেই অনেক ক্ষেত্রে। যাদের নাম বললাম তারা অনেকে যেমন আপনার মত কিছুটা প্রবীণ, তেমন অনেকে আমার বন্ধু পর্যায়ের কেউ আরো নবীন। কিন্তু আসল কথা হল এরা প্রত্যেকেই মেধাবী। আমার মনে হয় এদের কারো কারো হাত ধরে বাংলা কবিতা আবার পাঠকের মাঝে ফিরে আসতে পারবে। ঠিক আপনার কাছাকাছি বয়সের একজন কবি বিনয়ভূষণ মিত্র। অসম্ভব রকম চমৎকার লেখেন কিন্তু কোন বই নাই বলে লেখক হিসেবে পরিচিতি নাই। কিন্তু সুবীর বোসের মত এসময়ের নামী কবিরাও তাকে গুরু মানতে দ্বিধা করেন না। বিনয়দা আপনার মতই আমাকে খুবই স্নেহের চোখে দেখেন। এসব দেখেশুনে আমি সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য হয়েছি যাদের রচিত বই ব্যাপক পরিচিত তারাই শুধু লাইম লাইটে আসতে পেরেছেন- কিন্তু অনেক মেধাবি লেখক আড়ালেই রয়ে গেছেন- সব যুগেই।
Lutful Bari Panna ছন্দ অন্ত্যমিল নিয়ে আসলে কিছুটা দন্দ্ব সব ক্ষেত্রেই আছে। যেমন আমার প্রিয় এক কবি রাকা দাসগুপ্তা- ২০১০ এ ওর প্রথম বই বের হয় কোলকাতা বই মেলায়্ তার আগে থেকেই অন্তর্জালে সে ব্যাপক পরিচিত কবি ছিল। প্রথম বই থেকেই সে সুপারহিট কবি। কিন্তু তারও শ্রীজাতর ব্যঞ্জনান্ত অন্ত্যমিল নিয়ে অ্যালার্জী আছে। যেমন আছে শ্রীজাতর মামাত বোন শ্রীদর্শিনীরও। যদিও ভাইয়ের মতই শ্রীদর্শিনীরও অসম্ভব মিষ্টি ছন্দ আর কবিতার হাত। ওর বই বেরিয়েছে গত বছর। ওরা দুজনই আমার সাথে একটি সাইটে একসংগে লেখার জন্য মোটামুটি ভালই পরিচিত। আবার বিনয়দার মত প্রবীণ কবি ঠিকই এই ছন্দে প্রচুর লিখে যাচ্ছেন। এটাকে আমি যার যার নিজস্ব ধ্যান ধারনা বলে ভাবি। এদের সাথে পরিচয় থাকায় এক ধরণের গর্বমেশানো ভাললাগা বোধ করি।
খন্দকার নাহিদ হোসেন সবগুলো খণ্ড পড়লাম...... তো তারপর একটা ধন্যবাদ পান্না ভাইকে না দিয়ে আর পারছি না। মাহি ভাই এক জাগায় বলল আমার নিজের ভিতরও হয়তো ছন্দ আছে...... আর তাই আমি পান্না ভাইয়ের সাথে একমত প্রচুর পড়ার কোন বিকল্প নেই। অন্তত আমাদের ভিতর ছন্দ থাকলে সেটা সচেতন ভাবেই আমরা জানবো সেই ধারা কেমন... আগের ধারার সাথে তার কতটুকু মিল কিংবা অমিল আছে... মানে আমাদের হয়তো থেকে বের হতে হবে। আর সেক্ষেত্রে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
Lutful Bari Panna নতুন প্রজন্মের কবিদের দিকে আমি বরাবরই আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকি। জীবনানন্দ রবীন্দ্র প্রভাব বলয় তেকে বেরিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের সাহিত্যের সাথে সখ্যতা করে। যতদূর মনে আছে তিনি ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষক ছিলেন। যেটা তার জন্য বিড়াট সুযোগ ছিল। পরে অনেক কবিই এই পথে হেটেছেন। আমার মনে হয় পাবলো নেরুদা, মলয়িসা, আমেরিকার অ্যাশবেরীর কবিতাগুলো আমাদের পড়া দরকার। স্প্যানিশ নেরুদার ইংরেজী ভার্সন নেটে পাওয়া যায়। আফ্রিকান মলয়িসার কিছু বাংলা অনুবাদ পড়েছিলাম। অ্যাশবেরী এখন পর্যন্ত পাইনি। যদিও আমিরিকানরা গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে তাকেই সেরা বলে দাবী করে। যদি পাওয়া যেত।
Azaha Sultan .......লেখায় যৌক্তিকতা বিদ্যমান, তবে মোড় ফিরানোর কথাটায় দ্বিমত আছে.....আল মাহামুদ সাহেব বোধহয় দিনদিন কবিতাপাঠের যে বিলুপ্তি দেখতে পাচ্ছে সেব্যাপারে বলতে চেয়েছেন........তা বোধহয় আর সম্ভবপর হবে না--পাঠক এখন কবিতার দুর্বোধ্যতা নিয়ে মাথার ঘাম ঝরাতে চায় না আর সম্ভবত......তবে কি কবিতার মতো কবিতা সৃষ্টি হবে না আর? অবশ্য হবে...মুহূর্তে কচুলতার মতো বের না হয়ে বছরে পদ্মফুল একটাই যথেষ্ট নয় কি? ধন্যবাদ পান্না ভাই। কথা অনেক....সময় খুব কম.......
Lutful Bari Panna আপনার ভিন্নমতকে স্বাগতম। তবে আমি ঠিক হতাশ হতে রাজী নই, কোন না কোন কবি এসে এই বন্ধাত্ব নিশ্চয়ই ঘুঁচিয়ে দেবেন। কবিতা তার হাতে শিল্পকলা আর পাঠক মনরঞ্জনকে একই সমান্তরালে এন দাঁড় করিয়ে দেবে। আমরা সেই অনাগত সময় আর মেধাবী কবিকূলের জন্য অপেক্ষা করতে পারি।
পন্ডিত মাহী সব গুলো পর্ব পড়লাম। আশাকরি ছাপা হলে কোন কাঁট-ছাট ছাড়াই ছাপা হবে।
Lutful Bari Panna সম্ভব হবেনা বোধ হয় মাহী। এতবড় লেখা ছাপানো যাবে কিনা সন্দেহ আছে। যদি নির্বাচিত হয়ও ব্লগ ভার্সনে অনেক উদাহরণ আছে সেগুলো কাটছাট করতে হবে।
তানি হক ধন্যবাদ ..

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

মার্চ ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i