মাঝে মাঝে কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখতে সাধ জাগে। ইচ্ছেপূরণ করেই ফেললাম। গল্পকবিতার এবারের সংখ্যায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে একজন লেখকের একটা ক্ষোভের প্রকাশ দেখে একটু থমকে গেলাম। তিনি যা বলেছেন সেটার মূল অংশ তুলে আনছি। "...... যারা বিজয়ী হয় ...তারা বার বার বিজয়ী হয়.................এর মানে তা কি বুজলাম না ?..............তাদের লেখায় কমেন্ট পরে........vote পরে.....,কিন্তু অন্য সদস্যদের লেখায় কমেন্ট ও পরে না vote ও পরে না....................... ....তাহলে কে বিজয়ী হবে তা আগে থেকেই কিসু মেম্বারের কাছে জানা থাকে .................... "
..............................
লক্ষ্য করুন তার অভিযোগের তিনটি দিক-
১। যারা বিজয়ী হয় তারা বারবার বিজয়ী হয়।
২। তাদের লেখায় কমেন্ট পড়ে, ভোটও পড়ে- অন্যদের বেলায় তা হয় না।
তৃতীয় অভিযোগটি আরো কঠিন
৩। তাহলে কে বিজয়ী হবে তা কিছু সদস্যরা আগে থেকেই জানেন কিনা?
...............................
অভিযোগটি নিয়ে খুব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে গেলাম না। পাঠকরা যথেষ্টই বুদ্ধিমান। এই অভিযোগটি তারা ভালই বুঝেছেন বলে আন্দাজ করতে পারছি। তাছাড়া এটা খুব নতুন অভিযোগও নয়। এ নিয়ে অনেকেই আগেও কথা বলেছেন। আমার মনে হয় অনেকে মুখ ফুটে বলতে না চাইলেও এ বিষয়ে তিনি তাদের মনের কথাটাই বলেছেন।
..............................
বরং আমরা এর সম্ভাব্য উত্তরগুলো একটু বিশ্লেষণ করে দেখি। গল্পকবিতায় আসার আগে আমি বিভিন্ন লেখালেখির সাইটে, ব্লগে লিখেছি। কোথাও তুমুল জনপ্রিয় ছিলাম- কোথাও কোনরকম অবস্থানই গড়ে তুলতে পারিনি। কারণ বিশ্লেষণ করে দেখলাম কোন কোন জায়গার মেজাজের সাথে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছি। সেখানে পাঠক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি। ভাল লেখার প্রশংসা করেছি। তুলনামূলক কাচা হাতগুলোকে ভাল লিখতে অনুপ্রাণিত করেছি। এক পর্যায়ে দেখেছি সেখানে অনেক ভাল লেখক থাকা সত্ত্বেও আমি আমার লেখায় প্রচুর মন্তব্য পাচ্ছি। সেটা লেখার চাইতে আমার অংশগ্রহণটাই মূল কারণ বলে মনে হয়েছে। সেখানে কোন প্রতিযোগিতা হয় না, পুরস্কার নেই তবু একজন লেখকের কাছে তার লেখার স্বীকৃতির চাইতে বড় পুরস্কার কি আছে?
মজার ব্যাপার হল সেখানে ছদ্মনামে লেখা দিয়েও নিরীক্ষা করে দেখেছি। পাঠকের ভাল লাগলে তারা লেখকের নাম-পরিচয়, পূর্ব সম্পর্কের ধার ধারেন না। মন্তব্য কিংবা হিট সংখ্যা দিয়ে তাদের ভাল লাগা বুঝিয়ে দেন। আবার ভাল না লাগলে লেখককে একেবারে উপেক্ষা করতেও কম দেখিনি।
পাশাপাশি যেসব জায়গায় খাপ খাওয়াতে পারিনি, বিশেষত ব্লগে যেখানে ব্লগারদের মেজাজ চড়া তারে বাঁধা। অল্পতেই খেপে যাচ্ছেন, গালাগালি, বিদ্রুপ করে লেখকের পুরো জেনারেশনকে ধুয়ে ফেলতে দ্বিধা করছেন না আবার পর-মুহূর্তেই সেই লেখককেই হয়ত আকাশের গম্বুজে তুলে দিচ্ছেন। সাহিত্য সাইট এবং ব্লগের মেজাজ ভিন্ন। এক জায়গায় পছন্দ না হলে উপেক্ষা করা হয়। উপেক্ষিত ব্যক্তি সেখানে বেশীদিন লেখালেখি চালাতে সংকুচিত হন। অন্য জায়গায় গালাগালির তুবড়ি ছোটে, এ সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত না হলে সেখানে টেকা মুশকিল। তাছাড়া বিশুদ্ধ সাহিত্যচর্চাকারীদের জন্য ব্লগ খুব পারফেক্ট জায়গা না। ওটা বিবিধ বিষয়ে ক্যাচাল পারদর্শীদের জায়গা।
গল্পকবিতায় ঢুকে এ দুজায়গার মেজাজের সাথেই একটু ভিন্নতা দেখলাম। বলা যায় এ দু জায়গার একটা সমন্বয় বোধ হয় এখানে আছে। প্রথমত এটাও একটা বিশুদ্ধ সাহিত্যচর্চার স্থান। আবার পুরস্কার নামের একটা মুলো সামনে থাকায় একটা সাজ সাজ প্রতিযোগিতার মতান্তরে যুদ্ধের আমেজও। মড়ার ওপর খাড়ার ঘা'টা হল যারা প্রতিযোগী তারাই এখানে বিচারক। মানুষ খুব বিচিত্র প্রাণী। নানান রকমফের আছে এ প্রজাতিটির মধ্যে। কেউ কেউ তার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকেই ভোট দিয়ে এগিয়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ প্রাণে ধরে প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোট দেবার কঠিন কাজটা করতে পারছেন না। কেউ নিজের ছাড়া কারো লেখাই পড়ছেন না, কেউ নিজের লেখায়ও সময় দিতে পারছেন না। লিখেই খালাস। এটার অবশ্য নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট লেখকের ব্যস্ততা দায়ী হতে পারে। হয়ত তিনি নিজে ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নন। অন্য কারো মাধ্যমে মাঝে মাঝে লেখা পোষ্ট করেন। এই মুহূর্তে রফিকুজ্জামান রণি নামের সেই অসাধারণ মেধাবী কবির কথা মনে পড়ছে যে এক সংখ্যায় পুরস্কৃত হয়েছিল। আমি তার কবিতার ভক্ত। কিন্তু সময় দিতে না পারার কারণে ভাল লিখেও বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। কিংবা আমার আর এক প্রিয় কবি সিপাহী রেজা, যে একবার পুরস্কৃত হলেও এ জায়গায় ঠিক মজা পাচ্ছেনা বলে সময় দিতে পারছেনা। এটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছিল প্রথম দিকে। এখানে সময় দেয়ার জন্য মানসিক এনার্জি খুঁজে পেতাম না। কোন রকম একটা লেখা পোষ্ট করেই হারিয়ে যেতাম।
সেরা পঁচিশের নিয়ম চালু হবার পরে আমার লেখার নিয়মিত পাঠক আমার প্রিয় এবং আর এক মেধাবী কবি নাহিদ বলেছিল. আমি সেরা পঁচিশে না ওঠায় সে নাকি খুবই হতাশ হয়েছে। বলা যায় নাহিদের এই প্রকাশভঙ্গীটার কারণেই পরের সংখ্যায় আমি গল্পকবিতায় সময় দিতে থাকি। প্রথমবার সময় দেয়ার পুরস্কারও হাতেনাতে পেয়ে সেরা পঁচিশে উঠে যাই আর নিজেকেই চমকে দিয়ে একটা পুরস্কারও জিতে ফেলি। এরপর একটা নেশা ধরে যায় এবং থেকে যাই এখানে। অবশ্য ঘটনাক্রমে আমার পুরনো সাইটটিতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে সেখান থেকে একটু দূরে সরে এসেছিলাম। সে যাই হোক এই নেশায় চিড় ধরেনি কখনো এমন না। মাঝেমাঝেই ধরেছে তবে খুব বেশীমাত্রায় না।
........................................
ফিরে যাই অভিযোগটি প্রসঙ্গে। অভিযোগের একটি অংশ যারা পুরস্কার পায় তারাই বারবার পায়। ঘটনাক্রমে হঠাৎ করেই আমিও এই অপরাধীদের দলে এসে পড়ি। তার আগে একটা পুরস্কার জেতার অম্লমধুর অভিজ্ঞতা যেহেতু হয়েছিল। পুরস্কার জেতাটাকে আসল টার্গেট না করে আমি ভাল লেখার চেষ্টা করাটাকে টার্গেট করে এগোচ্ছিলাম। বিচারকদের বিচারের ওপর অনাস্থা আনার মত খুব জোরালো যুক্তি কখনো খুঁজে পাইনি। হয়ত মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, এই লেখাটাও পুরস্কার পেতে পারত। কিন্তু যেটা পেয়েছে সেটাকে অযোগ্য মনে হয়নি। পরপর দুটো পুরস্কার কিভাবে এলো, সেটা নিয়ে আমার সত্যি কোন ধারণা নেই। তবে আগের মতই মনে হয়েছে আমার লেখাটা না পেয়ে অন্য একটা লেখা পুরস্কার পেতে পারত। নিজের লেখার ওপর আমার আস্থা বরাবরই কম।
যিনি অভিযোগটি করেছেন তিনি কেমন লেখেন সে বিচার করার স্পর্ধা আমার নেই। আমি হয়ত তাকে ভোট দেব গোপনে। সেটা আমার মাপকাঠিতে। সেটার পরিমাণও খুব কম। ৭০ ভাগ নম্বরের ভার তো বিচারকরা নিয়েই নিয়েছেন। মাত্র ত্রিশ ভাগ আমার বিচারে আর কি হবে? তবে তিনি বিচারক পর্যন্ত কেন পৌছুতে পারছেন না সেটা একটা প্রশ্ন হতেই পারে। আমি জানি এ প্রশ্নের উত্তর এখন গল্পকবিতায় অ্যাকটিভ যে কেউই জানেন। কয়েকদিন আগে কন্যাডুবি নামের একটা আইডি থেকে এ বিষয়ে অনেকেরই বার্তায় বার্তায় চমৎকার কিছু টিপস দেয়া হয়েছিল।
সেসব টিপসের সবগুলোর ব্যাপারে আমি ঠিক একমত নই। কারণ তিনি টিপসগুলো দিয়েছিলেন ক্ষোভ থেকে। তার কিছু টিপস ছিল মূলত কিছু কূটকৌশল। এ পৃথিবী খুব অকরুণ হলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার মতামত, অনেষ্টি ইজ দ্য বেষ্ট পলিসি। সেই অনেষ্টি আসলে কার সাথে? আমি মনে করি অনেষ্ট হতে হবে নিজের সাথে। মুশকিল হল অনেষ্টির সাথে পরিশ্রমের একটা যোগ থাকে। সেই পরিশ্রমের কষ্টটুকু অনেকেই পুরোপুরি করতে চান না। অথবা পরিশ্রম করার মত পর্যাপ্ত সময় তার হাতে নেই। তিনি শর্টকাট পথ বেছে নেন। শর্টকাট পথটা হল লেখা না পড়েই মন্তব্য করা। এক্ষেত্রে নিরাপদ মন্তব্য হল, ভাল, খুব ভাল, অসাধারণ, শুভকামনা ইত্যাদি। সেজন্য অন্যের করা মন্তব্যগুলোতে একটু চোখ বুলিয়ে নিয়েই কাজটা করা যায়। যেহেতু মন্তব্য করলেই লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় এবং কেউ ভোট দিলেন কি দিলেন না সেটা বোঝার উপায় নেই সেহেতু অনেকে এই অতিচালাকিটুকুও সহজে করে ফেলেন। তিনি মন্তব্য করেন, ভোট দেন না।
সমস্যা হল এরপর কিন্তু তিনি নিজেই একটা দ্বন্দ্বে থাকেন, তার লেখায় কি অন্যরা ভোট দিয়েছে? অসততার এটা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি। নিজেকে যিনি বিশ্বাসযোগ্য রাখেন না- তার পক্ষে অন্যকে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। সততার আসলে কোন শর্টকাট পথ নেই। কন্যাডুবি অবশ্য আর একটা পরামর্শ দিয়েছেন। লেখায় গিয়ে বলে আসা যে আমি এ লেখায় ৫ দিলাম। তাহলে তিনি চক্ষুলজ্জায়ও তাকে অন্তত ৩ দেন। এইসব শর্টকাট প্রসেসের কিছু মারাত্মক সমস্যা আছে। কেউ কেউ এভাবে ধরা পড়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন ৫ দিলাম। কিন্তু খেয়ালও করেননি যে লেখকের ভোটই বন্ধ। অনেকে সব লেখায়ই অসাধারণ কমেন্ট করছেন কিন্তু খেয়াল করে দেখা গেল তিনি প্রতি এক দুমিনিটে একটা লেখা পড়ছেন। যেখানে ভোট দিতে তার চাইতে অনেক বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়. তিনি কিন্তু বিষয়টা যে কোন কারণে হোক বুঝতে পারেননি। জানি যিনি অসততা অবলম্বন করেন তিনি সহজে শোধরান না। হয়ত এসব জ্ঞান তিনি আবার নিখুঁতভাবে অসৎ হবার কাজেই লাগাবেন।
আবার সবাই যে ইচ্ছা করে অসৎ হন তা না কিন্তু। হয়ত কেউ নতুন এসেছেন- সিস্টেমটাই বুঝে উঠতে পারেননি। ভেবেছেন অসাধারণ লিখলেই অসাধারণ ভোট যোগ হয়ে যায়। হাসির ব্যাপার না। এরকম সত্যি সত্যি হতে পারে। মানুষ বড় বিচিত্র প্রাণী। তবে আমার অবজার্ভেশন বেশীরভাগ মানুষই আসলে সৎ।
.............................................
আবার ফিরে আসি মন্তব্যকারী সেই লেখকের প্রসঙ্গে। আমি তার সাম্প্রতিক মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম তিনি নিজের লেখা ছাড়া কারো লেখায়ই মন্তব্য করেন না। এখন সংগত প্রশ্ন উঠেই যায় ভোট পাওয়া, মন্তব্য পাওয়া বলতে কি তিনি শুধু নিজেরটাই বোঝেন? অন্যদেরও তো ইচ্ছে করে সবার ভোট এবং মন্তব্য পাওয়ার। তিনি যদি অন্যদেরকে বঞ্চিত করেন অন্যরাও তো তাকে বঞ্চিত করার অধিকার সংরক্ষণ করেন। যদিও দেখেছি অনেকেই তার লেখায় মন্তব্য করেছেন। গল্পকবিতায় কিছু লেখক আছেন যারা সবার লেখায়ই মন্তব্য করেন, ভোটও দেন। এমনকি অনেকে কোন লেখা ভাল লাগলে প্রমোটও করে থাকেন। তিনি কিন্তু তাকে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের লেখায়ও কোন সৌজন্য মন্তব্য করেন নি। হ্যাঁ তিনি ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু তিনি নিজে যা করেন না সেটা অন্যদের কাছ থেকে আশা করাটা হয়ত একটু হিপোক্রেসি।
ভোট বেশী পাওয়া, কম পাওয়া দুধরনের অভিজ্ঞতাই আমার হয়েছে। আমি দেখেছি অন্য লেখকের ভোট পেতে হলে কষ্ট করে তার লেখাটা পড়েও একটা অনেষ্ট মূল্যায়ন করতে হয়। সুতরাং অন্যকে দোষ না দিয়ে নিজের একটু তৎপর হওয়াটাই বোধ হয় শোভন।
আর একটা কথা একটু কুণ্ঠা নিয়েও বলতেই হচ্ছে। একটা প্রতিযোগিতামূলক প্লাটফর্ম নিজের উত্তরণের জন্য খুব ভাল পরিবেশ। অনেকেই এই সুযোগে বেশী বেশী পড়ছেন। এখানকার লেখার পাশাপাশি দেশবিদেশের ভাল ভাল লেখাগুলো। গল্পকবিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত কিছু তরুণ লেখকদের কথা বলতে পারি যারা শুরুর দিকে যেমন লিখেছেন আর এখন যেমন লিখছেন তার মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। তাদের মধ্যে চেষ্টা ছিল নিজেকে ক্রমাগত আরো ভাল কিছু লেখার দিকে এগিয়ে নেবার। তারা প্রচুর পড়েছে এবং প্রচুর চর্চা করেছে। লেখালেখিতে নবীন কিন্তু বয়সে তুলনামূলক প্রবীণ দু-একজন অতিমেধাবীদের লেখা পড়েও এমন ধারণা হয়েছে। যে যেমন পড়বেন তার হাত থেকে তেমন লেখাই বেরিয়ে আসবে। লেখকদের সম্বন্ধে প্রচলিত একটা কথা হল, ইনপুট=আউটপুট। সুতরাং বিশ্ব সাহিত্যের, আমাদের স্বদেশী, স্বভাষী সাহিত্যের ভাল ভাল লেখা পড়ার আর ক্রমাগত চর্চার মাধ্যমেই আমরা লেখক হিসেবে নিজেদের উত্তরণ ঘটাতে পারি।
অভিযোগ করার চাইতে এই চেষ্টাগুলোই মনে হয় বেশী ফলপ্রসূ। অন্তত আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তাই বলে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।