ভালবাসিবারে প্রাণ
সদা করে আনচান
আসে তাই হৃদপাত্র খুলে
পরানে পরাণ বাঁধি
মিষ্টভাষ্য সখ্য আদি
লয়ে বসে সুচারু মুকুলে
যে চাক মধুতে মাখা
তাহা মগডালে রাখা
ঘেরা থাকে লক্ষপ্রাণ হূলে
না বুঝে চাখিতে গেলে
আসে ধেয়ে- কাছে পেলে
জর্জরিত হয় বিষে- শুলে
মদীর চক্ষু- দৃষ্টি
ঘটায় কি অনাসৃষ্টি
যে পড়িবে একবার ঝুলে
লয়ে নিজ ন্যাড়া মাথা
বেলতলা ছাড়ে দাদা
মাড়াতে চায়না আর ভুলে
অতি পাপাচার জানি
হৃদয় কমলখানি
শুস্ক হয়- ভালোবাসা ছুঁলে
আহারে দিব্য কান্ত
শুকায়ে আদ্যোপান্ত
ঝরে ঝরে পড়ে যেন খুলে
সদা বিরবির করে
বক্ষ থাবায়ে মরে
বিনীদ্র রজনী কাটে ঢুলে
অতঃপর ভগ্নচিত্ত
কি জানি সে কী নিমিত্ত
তারা গোণে গগণ মাস্তুলে
প্রায়শ কলম ধরি
নিজ যন্ত্রণা স্মরি
মরম বেদনা- আঙ্গুলে
পড়ে ঝরে ঝরে আর
কাগজের সাদা পার
ভাসে নীল বিষাদে অকূলে
বৎস তাই ধীর অতি
প্রেমভাবে হলে মতি
আপন হৃদয় পাঁজি খুলে
লগন বুঝিয়া নিও
মোহ ভ্রম তেয়াগিও
এ পথ বিষম জংগুলে
(যদিও যাহারা আজি
বাতলাই বিধিরাজী
এই পথে অতি অগ্রসর
যতই ফুটুক হূল
করেছি কদাপী ভুল
বিঁধাইতে বক্ষে প্রেম শর)
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।