একটা শান্তির কবিতা লেখা হবে বলে
"এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম" ধ্বনীতে
রেস-কোর্সের সবুজ চত্বর
হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার সুরে উদ্বেলিত হয়েছিল।
একটা শান্তির কবিতা লেখার জন্যে
"আমরা একটা ফুলকে বাঁচাব বলে"
বাংলার ঘরে ঘরে গেয়েছিল শুক-পাখী,
চরমপত্রের অগ্নি-ঝরা অগ্নি-বানী ত্রাসের ডমরু বাজিয়েছিল
দুর্বৃত্তের, জলপাই রঙ 'এ মোড়া
সুরক্ষিত বুকের গভীরে।
একটা শান্তির কবিতা লেখা হবে বলে
মতিউরের ডানা লিওনার্দোর গ্লাইডার হয়ে
মুখ থুবড়ে পড়েছিল শত্রুর ধুসর মাটিতে;
শত্রুর গুহা থেকে পালিয়ে জাহাঙ্গির,
রক্তে ভিজিয়েছিল বাংলার সবুজ জমিন -
অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল অগনিত গ্ল্যাডিয়েটর।
হায় স্বাধীনতা, এত নৈবদ্যেও তোমার ভরেনি তৃষা!
নাগালের কাছে এসেও তুমি অধরা থেকে গেলে,
আঙ্গুলের ফাঁকে গলা জ্যোৎস্নার মতো।
এখন ফুলের বুকে ছদ্মবেশী কীটদের বড় উৎপাত,
সবুজ উদ্যান আজ, আগাছার করায়ত্ত।
কতকাল আর যুদ্ধ?
পুরনো সে ক্ষতে আজো জ্বলে বিক্ষত গোলাপ।
স্মৃতিময় বরফ দেয়ালে শহীদের রঙ্গিন কোলাজ
আজো ঝুলে দেবু 'দার ট্রেপেষ্ট্রির মতো।
আর কত যুদ্ধ চাই? আর কত? হায় স্বাধীনতা, বলো।
তোমার জন্য আর কত "হরিদাসীর কপাল পুড়বে"?
আর কত "জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক" নামবে
আমাদের বিধ্বস্ত জনপদে?
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।