এ কে এম মাজহারুল আবেদিন 'এর "হাসতে নাকি জানেনা কেউ...কে বলেছে ভাই....সকাল বিকাল হাসের গোস্ত......খাচ্ছি হামেশাই... " মন্তব্যটা আমাদের সাহিত্যে হাস্যরসের অপ্রতুলতার কথা আবার মনে করিয়ে দিল। গল্প-কবিতায় সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রঙ্গ-রচনায় সমান ভাবেই দক্ষ একমাত্র আহমাদ মুকুল ভাইকেই নিয়মিত পাওয়া যায়। বাকীদের উদয় বৈশাখের ঘূর্ণির মত। আমাদের হাসির দৈন্য নিয়ে আমার একটা কবিতা আছে। গল্প-কবিতার বন্ধুদের জন্য কবিতাটা এখানে দিলাম।
হাসতে মানা
আহমেদ সাবের
আমরা সবাই রাম-গরুড়ের পোষ মানানো বাধ্য ছানা
হুতোম প্যাঁচা দিব্যি দিল, তাই আমাদের হাসতে মানা
দুঃখ যেন জীবন মরণ, ঘাড়ের উপর দৈত্য দানা
দুখের সুতোয় প্যাঁচাই জীবন, হাস্য মোদের নিত্য না না
যতই মাতি কাজের ঘোরে, ঠিক গভীরে নাড়ছে কাঠি
দুঃখ বোধের সুড়সুড়িটা, পিয়াজ রসের ভরা বাটি
নাকের নীচে ধরছে ঠেসে, বলছ যেন “বঁঙ্গ ছাঁনা -
দিঁলেম তোঁদের দিঁব্যি দিঁলেম, হাঁসার মাঁঠে দিঁসনে হাঁনা।
কোথায় কোথায় দুঃখ আছে, জীবন ভরে নিত্য খুঁজি
দুঃখটাকে মিত্র বানাই, দুঃখবোধেই শান্তি বুঝি
দুখের মাঝে জীবন ধারণ, দুখের বুকে হচ্ছে মরণ
দুখের মালা গলায় পরে দুখকে করি নিত্য স্মরণ
এক দুখকে ভেঙ্গে বানাই, হরেক রঙের দুঃখ নানা
খুঁত ধরে যাই যথা তথা, করি সুখের জীবন কানা।
স্রষ্টার 'এ সৃষ্টিটা তো নয়রে ওরে খুঁতটা বিহীন
খুঁতের পিছে লেগে লেগে করিস না তোর জীবন শ্রী-হীন
কালোর পাছেই মিলবে সাদা, খুঁজরে যা পাস সত্যি ভাল
হঠাৎ পাওয়ার আনন্দেতে উঠবে জ্বলে ঝলসে আলো
কালোর দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে জীবন ভরে হাসি আনা
হাসির পরাগ ছড়িয়ে দিলেই মিলবে সুখের নজরানা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।