তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না

জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
২২ ফেব্রুয়ারী,২০১৫

কোনোদিন কাউকে বলো না-----

কবিতা এখন আমাকে ফাঁকি দিয়ে বর্ণমেলার হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে   

টি এস সি থেকে দোয়েল চত্বর,

হাকিম চত্বর,

বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ!

তবে

অপরাজেয় বাংলা থেকে বটতলা, ওরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই;

পিছিয়ে নেই  

আশেপাশের দু’একটি চায়ের স্টল, ফুটপাত, সব্যসাচী দূর্বাঘাস কেউই;  

তারাও যেন প্রত্যেকেই এক একটি জীবন্ত কবিতা!   

তবে এতোসুখের(!) মাঝেও আরেকটি কথা না বলে পারছি না!

তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না----  

কেউ একজন স্বর্গে গিয়েছিলেন-- ভাষা শহীদদের সাথে দেখা হয়নি!  

কে জানি কানে কানে বলে দিয়েছে

প্রতিদিনই মেলায় এসে চুপচাপ বসে থাকেন রফিক,জব্বারের অতৃপ্ত আত্মা!    

তাঁরা আবারও বুকের তাজা খুন ঢেলে দিতে চান  

আবারও আরেকটি ৮ই ফাগুন ফিরিয়ে আনতে চান

আবারও আরও গাঢ় রঙে রাঙিয়ে দিতে চান শিমুল, কৃষ্ণচূড়া!    

তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না----   

আরও জানতে পারলাম, তাঁরা নাকি আর স্বর্গে ফিরে যেতে চান না!    

কেবল প্রত্যয়ী বুকে, শকুন চোখে একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করেন,    

ধূলিকণার মতো তাদের উড়িয়ে নিতে চায় দমকা বাতাস,  

তাঁরা এতোটুকু নড়েন না! হিমগিরির মতো ঠায় বসে থাকেন।  

আগ্নেয়গিরি বুকের ভেতর লাভা হয়ে ওঠে বর্ণমালা,   

তবু তাঁরা কিছু বলেন না।

নীরবে-নিভৃতে এক বঙ্গোপসাগর দীর্ঘশ্বাস  

বুকের গভীরে চাপা দিয়ে রাখেন, কখন মহাবিস্ফোরণের মাহেন্দ্রক্ষণ ফিরে আসে!    

কার কাছে জানি শুনেছেন,  

আমরা নাকি এখন অ,আ,ম বলতে লজ্জা পাই!

উড়ে এসে জুড়ে বসা পরদেশি বাবুর এ বি সি বলতে পেরে গৌরব কামাই!   

তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না----  

আমরা নাকি ভুলে যেতে বসেছি বাংলা ও বাঙ্গালির ইতিহাস?

তাঁরা অবাক হয়ে কেবলই ভাবেন,

এতোকিছুর পরেও আমরা কিভাবে চুপ করে আছি!  

আমরা কি তবে আর বাঙালি নেই? এই প্রশ্ন তাদের কুরে কুরে খায়।  

তবে গোপন খবরও আছে একটা, কোনোদিন কাউকে বলো না---  

আমি কেবল তোমাকেই চুপি চুপি বলে রাখছি!     

তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না--- -------

শুনেছি, মা ডাক তাঁরা কখনও ভুলতে দেবেন না 

ভুলতে দেবেন না, মায়ের নাড়ীর সাথে বাংলা ভাষার অবিচ্ছেদ্য শেকড়ের টান!  

কোনোদিন--- কোনোমতেই মাতৃভাষার অমর্যাদা সহ্য করবেন না!   

তৈরি হয়েই আছে তাদের বুকের সব সামান,   

যে কোনো সময় একসাথে করে তারস্বরে চিৎকার করে উঠবেন,

কোনো ভয় নেই--- ওরে কোনো ভয় নেই,

এই নাও---------- বুক, দাগাও কামান!!  

তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না----

আরও একটা পাক্কা খবর আছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে!

তাঁরা এবার নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবেন,          

এরই ধারাবাহিকতায়  

তাঁরা এখন শহীদ মিনারে গণঅনশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন!

তাদের সাথে আছেন সর্বজনাব সজনে পাতা, জালি লাউয়ের ডগা, মটরশুটি,

দোয়েল-শ্যামা, ময়না-টিয়া সবাই;  

আরও আছেন এই বাংলার আকাশ, এই বাংলার বাতাস, ধূলিকণা---

সবাই,  

সবাই সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন

বুলেট-বোমার কোনো তোয়াক্কা নেই

কেবল আবারও শহীদ হওয়ার আকাংখারা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।।      

 

 

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i