শীতের সকালে লেপের নিচে আধশোয়া হয়ে
ঘুম ঘুম চোখে জানালার বাইরে তাকিয়ে কুয়াশায়
ঢেকে থাকা প্রকৃতি দেখতে দেখতে-
হাতে এক মগ গরম চায়ের উষ্ণতা নিয়ে
সাথে একটা মোটা উপন্যাসের পাতা উল্টাতে উল্টাতে
জীবনের বয়ে চলা-
এ সব আমার জন্য এক নিরেট বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমি ভালোভাবেই বুঝে নিয়েছি
এ সব দিবাস্বপ্ন, সে আমার জন্য নয়!
হয়তো আমি এর যোগ্য নই
নতুবা আমার বিলাসিতা করার সময় কই?
যে ক’ টাকা বেতন পাই
তা দিয়ে এক রকম ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’
বাংলায় পড়া সেই প্রবাদ প্রবচন
জীবনের প্রকট বাস্তব হয়ে ধরা দেয়।
আমার আসে পাশের মানুষগুলো ব্যস্ত রয়েছে নিজেদের সুখ সম্ভোগে
আর আমি প্রতিনিয়ত টাকা বাচানোর চিন্তা করি-
কারণ আমি অসুস্থ হয়ে গেলেও
আমার চিকিৎসা করানোর মত কোন টাকা নেই।
ওষুধ খাওয়াটাও এখন আমার কাছে এক বিলাসিতা-
গরম চায়ের পেয়ালা শীতকালে আমার হাতে
কোন উষ্ণতার আমেজ আনে না-
বরং তার পরিবর্তে আমি হাতে খাই গরম ছেঁকা।
ফোস্কা পড়তে গিয়েও পড়ে না- সাথে যুক্ত হয় একটু জ্বলুনি।
ফোস্কা ওঠার মত বিলাসি হাত তো আমার নয়!
দুঃখের দিনে আমার এই হাত কারো সামনে পাতা বড় দায়-
আমি সবার আড়ালে চোখ মুছে নেই-
এক অনিশ্চিত অপার বিলাসিতায়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।