মাঘ মাসের এক বিকালে মতিলাল ঘরের দাওয়ায় বসে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের সাথে চুটকির বিয়ের কথা জল্পনা-কল্পনা করছিল। হঠাৎ দেখল এলোচুলে একটি পনের-ষোল বছরের নতুন বউ বস্তির উঠোনে এসে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল।
-
গল্পঘৃনিত জীবনপারভেজ রাকসান্দ কামাল
-
গল্প.অথবা ঘৃণাএকজন মীর
বৃষ্টির দিনে যেমন হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় দেনা পাওনা
আমি তেমনি আনকোড়া অলস দোকানির মত হিসেব চুকিয়েছি।
কোথা থেকে শুরু করবো। -
গল্পবোতাম খোলা ঘরসেলিনা ইসলাম
আমার যে কী হল! আমি হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলাম। বাবার গায়ের গন্ধটা এসে আমার নাকে লাগলো। মনে হল বাবা আমার আশে পাশেই আছে। খুব বড় করে সেই গন্ধটা নিঃশ্বাস ভরে নিতে চাইলাম...। নিঃশ্বাস নিতে পারলেও আর ছাড়তে পারিনি...। বাবাকে কষ্ট দেবার সাঁজা হয়েছে আমার...!
-
গল্পসুখের লাগিয়াদীননাথ মণ্ডল
"সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল..."
-
গল্পদরজার ওপাশেFahmida Bari Bipu
ওর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে মা-বোন। অনিশ্চিত পায়ে এসে দাঁড়ায় বাড়ির সামনের লোহার গেটটার কাছে।
ভীষণ অভিমানী এক মানুষ সে। সেই শৈশব থেকেই এক প্রচণ্ড অভিমান বয়ে নিয়ে চলেছে হতভাগ্যের মত। এতদিন জেনে এসেছে তার নাম ঘৃণা। ঘৃণার অপরপাশে কোন ভালোবাসার দাবী বা আকুলতা যে ওত পেতে আছে মনে হয়নি কখনো। -
গল্পজোছনার জননী হয়ে ওঠাগাজী তারেক আজিজ
আজ জোছনার চার সন্তান। মেজো ছেলে আইনজীবী সেজো ছেলে স্কুল শিক্ষক ছোট ছেলে বিবিএর ছাত্র। স্বামী অবসর জীবনে। প্রায় চল্লিশ বৎসরকাল সংসার ধর্ম অতিক্রান্ত করে জীবনযুদ্ধে জয়ীর খাতায় নাম লেখাতে চায় অশীতিপর বৃদ্ধ মা জোছনা।
-
গল্পনারকেল তত্ত্বনাঈম
আচ্ছা তোমার দেশে নারকেল দিয়ে কি কি খাওয়া বানায়? আমার দেশে প্রায় সব কিছুতেই নারকেল দেয়া হয়, রান্না করা হয় নারকেল তেল দিয়ে। নারকেল দিয়ে তৈরী ইডলি, দোসা, ওগুলোর সাথে দৈ এবং সম্ভার দিয়ে খেতে যা মজা না। একদিন ছুটির সময় তোমাকে খাওয়াতে নিয়ে যাব, আমি একটা শ্রীলংকান রেস্তোরাঁ খুজে পেয়েছি, মনে হয় ভালই হবে।
-
গল্পএকটি রূপকথার গল্পমোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
রাজদুহিতা শ্যামলীর বিয়ে তো দুরের কথা, মানুষের নির্ঘুম রজনীই হয়ে গেল রাজা হায়দার আলীর দুঃশ্চিন্তার মূখ্য কারণ ! আর প্রতিবেশী রাজ্যের মহারাজাও প্রহর গুনতে থাকে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের !
-
গল্পপরগাছারেনেসাঁ সাহা
ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আবার ছোড়দাকে ফিসফিসিয়ে বললাম- "বল তো, পরগাছা কাকে বলে?" ও বলল-"যে আমার মা-বাবার বাড়িতে থাকে, আমাদের দেওয়া পোশাক পড়ে অথচ আমাদের না দিয়ে একা একা রোজার খাবার খায়, একাই ভালো রেসাল্ট করে, তাকে পরগাছা বলে।" শেষে ফেরার পথে আমরা তিনজনে বুদ্ধি করলাম আফিয়াকে আচ্ছা করে জব্দ করব।
-
গল্পডায়রিআলমগীর মাহমুদ
আমাকে নিয়ে যখন গাড়িতে উঠায় কিছুদুর চোখ যেতেই দেখি আমার সেই মামা। দুরে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত হাসি হাসছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলোনা। ইচ্ছে করছে সেই মামার মুখে থু থু দিয়ে আসি। আমি পাকিস্তানিদের বললাম “ঐ যে দুরে দাঁড়িয়ে লোকটা আমি তার সাথে একটু দেখা করতে চাই” ওরা রাজি হলো, বন্দুকের নল তাক করে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো মামার সামনে। আমি দেরী না করে মামার মুখে থু থু ছিটিয়ে দিলাম। মামা অবাক হয়ে গেলো, আর বললো “লে যাও ওছকো”। আমি ভাবলাম অন্তত: নিজের ঘৃণাটা প্রকাশ করতে পারলাম।
আগষ্ট ২০১৫ সংখ্যা
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীএ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।