মনি হায়দারের উপন্যাস ‘নায়ক ও নায়িকারা’ এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া

মামুন ম. আজিজ
০৩ মার্চ,২০১২

মামুন ম. আজিজ



অন্যপ্রকাশের ব্যানারে একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ তে গল্পকবতিা.কম এর ‘সেরা গল্প কবিতা’ শিরোণামের যে সংকলনটি প্রকাশ হয়েছে তা সম্পাদনা করেছেন গল্পকবিতা.কম সাইটটির দু’জন বিশিষ্ট বিচারক , মনি হায়দার এবং মোমিন রহমান। এ আমরা এই সাইটের নিয়মিত বিচরণকারী মাত্রই জানি। এবং সেই সংকলনে সম্পাদকদের নাট সিটকানো মুখবন্ধে আমাদের মাঝে যে বিরূপ মনোভাবের পশলা পশলা বাতাস হয়ে মনের কষ্টের রেখা  ছুঁয়ে গেছে সেটাও আমরা জানি।

 
মূলত সেই মুখবন্ধের তাচ্ছিল্যসূচক কথার মধ্যে দুটি উক্তি খুব মনকে নাড়া দিয়েছে। বেদনায় সিক্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে দুষ্টু আবহ। মুখবন্ধে ওনারা লিখেছেন-‘‘এখানে অংশ নেয়া গল্পকার বা কবিরা সমকালীন লেখকদের লেখা পড়েন, আমাদের মনে হয় না। আর পাঠ করলেও তা চেনা ও জনপ্রিয় লেখকদের অল্পকিছু লেখাতেই সীমাবদ্ধ। এতে আর যাই হোক একজন নিবেদিতপ্রাণ লেখক হয়ে ওঠা যায় না’’...আবার আরেক প্যারায় লিখেছেন- ‘......খুন হতে বা খুন করতে না পারলে লেখালেখিতে না আসাই ভাল। .......গল্পকবিতা ডটকমের লেখকেরা পাঠ করেন না আমাদের চিরায়ত ও শ্রেষ্ঠ গল্পকারদের গল্প, কবিদের কবিতা। পাঠ করলে তাদের লেখায় অবশ্যই তার মোচড় থাকত। থাকত আঁচড়। রাখতো দাগ।’’


মনি হায়দারের সম্ভবত ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে ২০১২ এর বইমেলায়। ধরে নিলাম তিনি সমসাময়িক লেখক। লেখক হিসেবে তিনি আমার কাছে অপরিচিত এবং সম্ভবত জনপ্রিয়্ও নয়। এবং  তার লেখা আগে পড়িনি , তাই সমসাময়িক লেখকদের বই পাঠ করার সুযোগ নিলাম বৈশাখী প্রকাশন থেকে ২০১০ সালে প্রকাশিত তার ‘নায়ক ও নায়িকারা’ বইটি ক্রয় করে। ১২৮ পৃষ্টার এই উপন্যাসটি আমি সম্প্রতি  পড়েছি।

 
বিজ্ঞ পুস্তক সমালোচক নই। তবে পাঠক হিসেবে একটা উপলব্ধি এবং দৃষ্টিকোণতো আছেই। সেই দৃষ্টিকোণ আর উপলব্ধি থেকে ‘নায়ক ও নায়িকারা’ বইটি নিয়ে ক’টি কথা বলার ইচ্ছে সংবরণ করা গেলোনা।
বইটির ফ্ল্যাপে প্রথমে শেষে জুড়ে কোন সারমর্ম নয় বরং উপন্যাসের একটি চুম্বকাংশ তুলে দেয়া হয়েছে । সেই চুস্বাকাংশেরও কিছু চুম্বাংকশ তুলে ধরেই আলোচনা শুরু করতে চাচ্ছি।

 
‘...সিনেমার ভিলেন ঢঙে সামনে এসে দাঁড়ায় পথিক। মাধবী পিছু হটে, পথিকও এগোয়। মাধবীকে দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরে পথিক-এই মুখে তাকাতে ঘৃণা হয় তোমার? অথচ এই মুখই তুমি চুষতে, চাটতে জিভ দিয়ে। মনে পড়ে ?খুব কি বেশিদিনের কথা মাধবী?


প্রাণ শক্তি সঞ্চয় করে পথিককে ঠেলে দেয় মাধবী-আমিতো মুখই চুষতাম, প্রত্যেক নারীই বিশেষ বিশেষ সময় ওসব করে। তুমি যে আমার সারা শরীর, শরীরের সবচেয়ে নোংরা জায়গা ঘন্টার পর ঘন্টা চুষতে। পেচ্ছাবের গন্ধ নিতে। বলতে জগতের শ্রেষ্ঠ গোলাপের সুগন্ধ।

 
আত্মপীড়িত বেহায়ার মতো পথিক হাসে-পুরুষ কোন না কোন সময় নারীর কাছে কুকুর হয়ে যায়।
ছিঃ আমি মানুষ নয় একটা কুকুরের সংগে সংসার করেছি এতদিন?
কুকুরের সংগে সংসার করলে তো কুকুরী হতে হয়।
না, আমি মানুষ ছিলাম। আছি এবং থাকবোও। ...’


-ভালগার ডায়ালোগ কাহিনীর প্রয়োজনে লেখকরাই এনে থাকেন। এটা আসতে পারে। ফ্ল্যাপে সেটা তুলে দেয়ার মাধ্যমে পাঠককে হয়তো একটা ধারনা দেয়া হচ্ছে অভ্যন্তরে ভালগার শুধু প্রয়োজনে আসবেই না সেটাকে লালন পালন এবং আত্তিকরনও করা হতে পারে। অথবা হতে পারে ইরোটিক কথাবার্তা পাঠে আনন্দ লাভের প্রত্যাশী একদল পাঠক যেন বইটি ক্রয় করে সে কারনে ফ্ল্যাপে একটু তার পরশ। ফ্ল্যাপে চুম্বকাংশ চুজ করার কাজটি প্রকাশকও করে থাকতে পারেন। বৈশাখী প্রকাশনীর প্রকাশক ইকবাল ভাইকে আমি চিনি। তিনি একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ -কাজেকর্মেতো বটেই  এবং অব্যশই লেবাশে। কিন্তু ব্যাবসাটা তিনি খুব ভালো বোঝেন। বিশাল প্রেস ওনার। ‘আলো ও ছায়া’ নামক একটি পত্রিকার আমি সহ সম্পাদক কাম অলংকরনকারী ছিলাম। সেটার প্রকাশিত দুই সংখ্যার ৮০% ফাইন্যান্স করেছিলেন এই ইকবাল ভাই । এবং ওনার ৫০% অসহযোগীতায় পত্রিকাটি আজ মুখ থুবড়ে বন্ধ হয়ে গেছে।

 
‘নায়ক ও নায়িকারা’ উপন্যাসটি খুবই রিয়েলিস্টিক কিন্তু আম জনতার অদেখা কিন্তু জ্ঞাত ও বহুল আলোচতি একটি বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। নতুন কোন জ্ঞান, তথ্য, লেখকের কোন উপলব্ধিগত শিক্ষার বিস্তার বিস্তৃত করে উপন্যাসের পরিসর গড়ে ওঠেনি। এটা উপন্যাসকে বেশ সহজ বোধ্য , পাঠক গ্রাহী করে তোলার উপযোগীতা প্রদান করেছে এবং কাঠিন্য বর্জন করতে বাধ্য করেছে।

 
নাট্যজগতের বিচরণ কারী মানুষের চরিত্রের কিছু কলুষিত বাস্তবতা তুলে ধরা লেখকের উপন্যাসের মূল উপজীব্য মনে করা যেতে পারে। পথিক রহমান একজন অভিনেতা। মঞ্চে অভিনয়ের হাত পেঁকেছে তার। মঞ্চে মাধবী নামের একটি সহ অভিনেত্রীর সাথে তার মন  দেয়ানেয়ার মাধম্যে তার নারীপ্রিিতর খেলাটার সূচনা । একসময় মঞ্চ ছেড়ে সে টিভিতে অভিনয় শুরু। প্রথম নাটকেই বাজিমাত। সবচেয়ে দামী নাট্য অভিনেতা বনে যেতে একটুও দেরী করতে হয়নি। তরতর করে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গেছে পথিক রহমান ।

 
বাবা-মা হারা পথিক রহমান ছোট বেলায় খালা-খালুর আশ্রিত হিসেবে খুবই নিগৃহ ভাবে মানুষ হয়েছে। সেকানে একজন বয়স্ক পুরুষ কাজের লোকের দ্বারা যৌণ নিপীড়ন হতে হতে বেঁচে গেছে। একমাত্র  বোন আত্মহত্যা করেছিল অথবা স্বামীর হাতে খুন হয়েছিল। তার স্বামী ছিল পার্ভার্টেড। নিজ চাচীর সাথে তার চলত যৌনাচার।  স্বামীর এসব হযতো জেনে ফেলে তার বোন। পথিক রহমান কিছুই করতে পারেনি; এমন সব কষ্টক্লীষ্ট কাল পেরিয়ে আজ সে অনন্ত সফল। মাধবীর বাবা আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। কিন্তু নিঃসঙ্গ। একমাত্র ছেলে বিদেশে বিয়ে করেছে। মাধবীও পথিককে বিয়ে করে চলে গেলো।

 
ঘটনার নতুন মোড় দিতে লেখক দ্রুত কয়েক বছর করে এগিয়ে যান। পথিক আর মাধবীর একটা ছেলে হয় । ছেলের নাম নিবিড়। এদিকে নাট্য জগতে নতুন নায়িকা হয়ে এসেছে লায়লা নামের একটি মেয়ে। সেই মেয়ের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে পথিক। তার সাথে দৈহিক সম্পর্কের নৈমত্তিক নতুন সুখে মাধবীর থেকে একটু একটু করে দূরে সয়ে যায় পথিক। মাধবী লায়লাকে সাবধান করে। লায়লা উল্টো মাধবীকে অপমান করে।
মাধবী আর পথিকের ঝগড়া হয় একদিন। পথিক মাধবীর গায়ে হাত তোলে। মাধবী পথিক হয়ে যায় পুরো দুই জগতের দুই বাসিন্দা। 

ঘটনার এই ক্ষণে মাধবীর বাবা মারা যান। বাবার সম্পত্তি দেখাশোনা করে আর ছেলে নিবিড়কে মানুষ করতে থাকে মাধবী। একসময় নিজেও সময কাটানো উছিলায় টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করে দেয়।


ইতমধ্যে লায়লার বাবা-মা মেয়ের মিডিয়া গসিপে বিরক্ত হয়ে যায়। মেয়েকে একদিন সে কথা জিজ্ঞেস করতেই মেয়ে মা নাজনীনকে  ৫-৬ বছর আগে মা এর গোপন পরকীয়া আর যৌনক্রিয়ার কথা তুলে উল্টো শাসায়। এখানে এরপর লেখক লায়লার মা’র স্মৃতিচারনের মাধ্যমে এক পৌঢ়া নারীর তরুন যুবার সাথে পরকীয়া যৌনাচারের বর্ননা দিয়েছেন। সেই নিয়মিত যৌনাচারের অনুশোচনায় কিংবা স্বামীর কাছে নিগৃহীত লজ্জিত হবার ভয়ে স্বামীকে মেয়ের দোহাই দিয়ে গ্রামে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন লায়লার মা।

 
একসময় পথিক আর লায়লাও বিয়ে করে ফেলে। তাদের একটি মেয়ে হয়। মেয়ের বয়স এসময় চার হয। পথিক আবার নতুন এক কিশোরী অভিনেত্রী প্রেমে পড়ে। লাযলা এসে মাধবীর কাছে ক্ষমা চায়। দু’জনের ছেলে মেয়ে খেলতে থাকে আর দু’জন একসাথে বসে কাঁদতে থাকে আর আফসোস করতে থাকে পথিকের নতুন প্রেমিকার জন্য।
...এভাবেই শেষ হয়ে গেলো এক নষ্ট পুরুষ, নারী লিপ্সু, স্বার্থপর নাট্য অভিনেতা পথিক রহমানের কিচ্ছা কাহিনী আর তার দুই স্ত্রীর পরিতাপ।

 
বাংলাদেশের একটা বড় পাঠকশ্রেণী এমন সহজবোধ্য কাহিনীরই পাগল। মনি হায়দারের জনপ্রিয়তা পাবার জন্য বইটি স্বার্থক হতে পারে।

 
লেখকের লেখার ধরন মানে বাক্য বুনন মোটামুটি সরল, প্রাঞ্জলের কাছাকাছি এবং সহজবোধ্য যদিও মাঝে মাঝে নয় প্রায়শই তার একটা বিষয় পাঠক হিসেবে লক্ষ্য করেছি, তা হলো উপমা চয়ন।
এই যেমন, -‘...মানুষের জীবনে এমন ভাল লাগার মর্মর মুহূর্ত আসে।’ , ‘ ..বুকের গহিন ভিতরে যদি দুঃখের ডিম না থাকে তবে কি শিল্পী হওয়া যায়!’; ‘মাধবীর কামরাঙা ঠোঁটে পাশা খেলার রহস্যময় হাসি উজান গাঙে পাল তোলে..’ ;  ‘শরীরি সংরাগে মাধবীর শরীর কাঁপছে এলোমেলো কলাপাতার মত।’ কিংবা ‘অথচ আজ বিদীর্ণ দুপুরে পুকুর ঘাটে বানুর শ্যামল কোমল ল্যাবণ্য ঢলো ঢলো স্তনজোড়া দেখে জয়নালের শরীর হাঙর জোড়ায়ে ভাসতে থাকে।’ ...এমন অসংখ্য উপমার প্রয়োগে বোঝা যায় লেখরেক উপমা বিলাস মনোভাব এবং এই প্রয়োগ পারদর্শিতা।

কিছূ কিছূ বাক্য গঠনে আমার দৃষ্টিতে লেখকের অমনোযোগীতার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। অবশ্য সেটা মনি হায়দারের নিজস্ব স্টাইলও হতে পারে। উদহারণ স্বরূপ -‘হাসে পথিকও, মাধবী, আজ হাসছো কিন্তু ভাবো, সাত আট বছরের একটি বালক তিমির বরণ কালে সে মাঠে বিশ পঁচিশটা গরু, যার অধিকাংশ ছিল দুর্দান্ত ষাঁড়, গ্রামের ধূলি ধূসরিত আঁকাবাঁকা পথ পার হয়ে ফিরছে বাড়িতে।’ ...এই বাক্যটি আরও গুছিয়ে ভেঙে লেখা যেত। তাতে আমার মত সহজ পাঠকের কাছে বাক্যটি আরও সহজভাবে ধরা দিত। কিংবা -‘কি বলবে, কি বলে সামলাবে এই বুনো হঠাৎ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠা আটচল্লিশ বছরের অভিজ্ঞ তুখাড় অভিনয় শিল্পীকে।’ একবারে পরলে একটা খট্কা লাগে, হঠাৎ অসহিষ্ণু হয়ে ওঠা বুনো লিখতাম আমি হলে, শব্দের এই আগ পর অবস্থান -এটা হয়তো আধুনিক রীতি যা একজন পাঠক আমার জানা নেই।

 
তারপর ...
 ‘কে? নিজস্ব ভাবনার বলয় ছিঁড়ে ঘুরে তাকায় মাধবী।


আমি রতন। কাজের ছেলেটা বলে, আপনার কাছে মেহমান এসেছে’-২য়  লাইনটি ...কাজের ছেলেটি বলে, আমি রতন। আপনার কাছে মেহমান এসেছে---এভাবে বললে বুঝতে সহজ হয়।

 
উপন্যাস হিসেবে কাহিনী এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কাহিনী বুনটে লেখকের দক্ষতা বেশ পরিপক্ক অবশ্যই।


তবে ঐ যে ফ্ল্যাপের সেই ইরোটিক চুম্বকাংশ...তা এমন একটি প্রেম, পরকীয়া, যৌনাচার এবং অভিনয় জগতের কাহিনী উপজীব্য উপন্যাসে বারবার আসবে এবং সেটা কাহিনীর প্রয়োজনে এটাই স্বাভাবিক। লেখক মনি হায়দারও  তাই হয়তো এ উপন্যাসে যৌন বিষয়টিকে বারংবার তুলে এনেছেন। বেশ কয়েকটি যৌন মিলনের রগরগে বর্ননা বেশ গভীরতার সাথে লেখক লিখেছেন। এইখানে আমার ব্যক্তিগত একটু আপত্তি হচ্ছে এতটা খোলামেলা না বলে আরেকটু শর্ট ফর্মে আরেকটু কুয়াশায় রেখে কি লেখক বর্ননা গুলো দিতে পারতোনা? যৌন মিলনের দৃশ্যগুলোর বর্ননা অনেকাংশে কিশোর বয়সে লুকিয়ে পড়া রসময় গুপ্তের চটির ভাষার মত দূর্বল না হলেও বর্ননার গভীরতায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমি যখন ৯/১০ এ পড়ি তখন নিশাত চৌধুরী নামে এক লেখকের বই বেশ চলত। সেখানেও রগরগে বর্ননা থাকত যৌন বিষয়ের। আবার বুদ্ধদেব গুহ্ও যৌনতাকে তার বইয়ে প্রাধান্য দিয়্ওে বিখ্যাত , খ্যাতনামা এবং জনপ্রিয়ও হয়েছেন।

এ্ উপন্যাসের একটি যৌনাচার দৃশ্যের বর্ননা দিলে এই লেখকের যৌন বর্ননার গভীরতা সম্পর্কে একটা সম্যক ধারনা পাওয়া যাবে , যে ধারনা হয়তো নবীন লেখকদের আধুনিক সাহিত্য লিখতে একটু হলেও সহায়তা করলেও করতে পারে।


‘...এক হাতে আলতো করে লায়লাকে ঘুরিয়ে বুকের সঙ্গে জাপটে ধরে। লায়লার আধ খোলা চোখ, ঠোঁট কাঁপে থিরথির। পথিক কমলার কোয়ার মত চুষতে থাকে লায়লার কামনায় কাতর ঠোঁট জোড়া। লায়লাও পাল্টা আঘাত হানে। শরীরের আবেগময় ঘর্ষণে লায়লার শরীরের শাড়ি শরীর থেকে বিছানায় লুটিয়ে পড়ে। পথিক একটানে ব্লাউজের বোতাম খুললে লায়লা নিজেই ব্লাউজটাকে শরীর থেকে মুক্তি দেয় মখমলে শরীরে জড়িয়ে থাকে কেবল একটি ব্রা।

 
পথিক ব্রাটাকে ঘুড়িয়ে চাটতে থাকে। লায়লার শরীরের তুফানে শীৎকার করতে থাকে, আমাকে নাও, আমাকে গ্রহণ কর প্লিজ...আর পারছিনাতো...


পথিক হাসে। লায়লাকে বুকের সঙ্গে কবুতরের মত ঝাপটে ধরে ব্রার ফিতা খুলে দেয়। ব্রার বন্ধন মুক্ত হয়ে স্তন জোড়া চাঁদনি রাতে যমুনায় মাছ ধরতে থাকে। বাম নিপলে হাত রেখে ডান নিপল মুখ নেয় পথিক আলতো আদরে।
পথিক তুখোড় খেলোয়াড়, সে এত সহজে নিষ্কৃতি দেবে কেনে। লায়লা বুক, নাভি, থাই, পায়ের আঙ্গুল, যৌনাঙ্গ চুষতে থাকে তাথিয়া তাথিয়া। ......, লায়লা দুদিকে দুপা ছড়িয়ে দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয় পথিককে।
.....................................................................................
পথিক ব্রা পড়াতে গিয়ে বারবার নিপল টিপতে আর চুষতে থাকে।

..
পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে এই দৃশ্যগুলো আরও সংক্ষেপে লিখলেও পাঠক বুঝতে পারত। তবে ঐ যে একটা কথা ওনারা সম্পাদনায় বলেছিলেন, খুন হতে কিংবা খুন করতে না পারলে লেখালেখি না করাই ভাল---- তবে কি ভাবব এই রগরগে দৃশ্যগুলোর বর্ননা পড়ে যে কামভাবের বাতাস মনে ছুটে আসতে চায় সেটা খুন হওয়ার মত বিষয়?

লেখক মনি হায়দার কিছু কিছু স্থানে বেশ গভীর ভাবনার পরিচয় দিয়েছেনে। বোঝা যায় তিনি লেখায় গভীর দর্শন ফোটাতে পারদর্শী বটে। এই যেমন-‘ খুন , খুনের মত মহৎ শিল্প কি আর আছে জগৎ সংসারে? ছোট এক টুকরো লোহা একটা জ্যান্ত মানুষের হৃদপিন্ডে ঢুকিয়ে দিলেই। লোকটা কি অবিশ্বাস্য ভাবে দুনিয়াটাকে টা টা জানিয়ে বিদায় নেয়। মাত্র ছোট্ট এক টুকরো লোহা...বাবা জগতের সব মানুষের খুন করা অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। ’

 
অথবা --‘এক সময় দেখলাম আমার বুবু আমার কাছে কেবল ঝরা পাতার মর্মম স্মৃতির ঘুড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। ..’  ..এই কঠিন বাস্তবতাও লেখক এমন উপন্যাসে এক সুযোগে লিখে দিয়েছেন। মৃত্যুর স্মৃতি বড্ড ভারী । মনের সাগরে সহসাই ডুবে যায়। লেখকের চিন্তা চেতনায় এই দর্শন ঘোরে ফেরে। লেখকের মনের গভীরতা সম্পর্কে একটা উচ্চ ধারনা আসে এখান থেকে।

 
গ্রন্থ সমালোচক হিসেবে আমার দৌড় অনলাইনেই সামান্য পরিসরে। সে কারনে অগ্রজ লেখক মনি হায়দারের ‘নায়ক ও নায়িকারা’ বইটির উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে পাঠক এবং গল্পকবতিা.কম এর প্রতিযোগী সহলেখকগণকে বইটি এবং লেখক মনি হায়দারের আধুনিক উপন্যাস সম্পর্কে  একটা ধারনা দিতে চেষ্টা করেছি মাত্র।


আধুনিক সাহিত্যজ্ঞান পরিপূর্ণ না হওয়ায় কোন উপসংহার টানা সম্ভব হলোনা বইটির সার্বিক আলোচনার উপর।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজনীন পলি এ ধরনের লেখা বই পড়ার কোন ইচ্ছা আমার ও নাই । এ ধরনের লেখা কখনো সাহিত্য বলে গণ্য হতে পারে না ।
মামুন ম. আজিজ মনি হায়দার কিন্তু শিশু সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত বেশি। বাংলা একাডেমীতে কর্মরত এই লেখক শিশু সাহিত্যে পুরষ্কারও পেয়েছেন শুনেছি। ওনার একটা শিশু সাহিত্যও জোগাড় করেছি সেটা ১০ বছর আগের লেখা। সেটা পড়েও একটা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারব।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) জলদি চাই মামুন ভাই!
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) মনি হায়দার জনাবের লেখা সম্পর্কে জানতে পেরে আমার মনে হচ্ছে, ব্লু রিল্ম দেখে দেখে ঐটার হুবহু বর্ণনা করে দিলে মনে হয় লেখা ফার্স্ট হয়ে যাবে! বাজে লেখার একটা লিমিট থাকে. এমন বাজে কুরুচিকর যৌনাত্মক বর্ণনা দিয়ে উপন্যাস লিখে ভারী আমার আধুনিক সাহিত্যিক হয়ে গেছেন. ছি ছি ছি ..........
পন্ডিত মাহী আমি একটু আধুনিকতা শিখতে চাই! বিজ্ঞ কেউ আছেন? শেখাবেন আমাকে?
মামুন ম. আজিজ ফোনে শেখাতে পারি। একটা ভালো টিপস আছে মাহি।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) আমারেও একটু শেখায়েন! মানসম্পন্ন লেখা লিখতে পারি না দেখে আমার অনেক কষ্ট :'(
রোদের ছায়া মনি হায়দার সাহেবের কোনো বই পড়া হই নি, ভেবেছিলাম এবার পড়তে হবে .......যাক বাচলাম, টাকা দিয়ে এরকম জিনিস পড়ার কোনো মানে হয় না / সরকার সিনেমা সেন্সর করে আমার তো মনে হয় এরকম উপন্যাসও সেন্সর করা দরকার ....
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) দারুন মন্তব্য করেছেন আপনি! এইসব উপন্যাস নিষিদ্ধ করা দরকার. জুব সমাজকে উচ্ছন্নে নিবে আর কি!
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) এমন নোংরা লেখা আধুনিক সাহিত্য!!!! ???!!! আর এইসব যারা লিখে আমাদের কে সাহিত্য শেখাচ্ছেন এরাই আমাদের বিচারপতি??? ছি! ঘৃণায় আমার নিজের কাছে অবশ অবশ লাগতেসে. আপনি যতটুকু বর্ণনা দিয়েছেন তাতে আমার এই লেখাকে একটা আধুনিক আবর্জনা ছাড়া আর কিছু মনে হয় নাই. এই লেখার কাহিনী তো যে কোনো পর্র্ন ইন্দাস্ত্রী লুফে নেবে. নিতান্তই জঘন্য সমাচার. পরা তো দুরের কথা, খুলে দেখার রুচিও আর হচ্ছে না. ধন্যবাদ আপনাকে যে আপনার অসিলায় একটা জঘন্য উপাখ্যান পরা থেকে বেচে গেলাম. কষ্ট লাগছে যে এইসব মানুষ গুলার কাছে আমাদের প্রতি সংখ্যার লেখাগুলা বিচারের জন্য যায়!!!???!!! এটা কি নবীন লেখন কবিদের উপরে এক ধরনের অত্যাচার নয়?
মিজানুর রহমান রানা আশ্চর্য ব্যাপার তো! এসব রগরগে যৌন উত্তেজনাকর লেখক নামের একশ্রেণীা উন্মাদের হাতেই তাহলে আমাদের লেখাগুলো পড়ে। ছিঃ ছিঃ। আল্লাহ্ বাঁচিয়েছে যে, ওই সঙ্কলনে আমাদের লেখা নেই। যত্তোসব! মামুন ভাইকে ধন্যবাদ। এদের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়ার জন্যে। এরা যাচ্ছে তাই বলে আমাদেরকে হেয় করবে, এটা তাদেরকে কে অধিকার দিয়েছে। বিচারক হিসেবে ওরা আমাদেরকে যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে না।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) এই নোংরা মনের মানুষগুলা আমাদের সাহিত্যের কি বিচার করবে রানা ভাই? ভাবতেই আমার গা গোলাচ্ছে. উপন্যাস তো না একেবারে ব্লু ফিল্ম বানায়ে ফেলসে দেখি! জঘন্য! ছিঃ
Azaha Sultan মামুন ভাই, আপনাকে হাজার সালাম- এ বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য। যৌবন যার আসে সে যুদ্ধ করতে পারে এবং জানে- তারপর পারদর্শিতাও হাসিল করে একসময়........এমন রগরগে ব্যাপারস্যাপার খোলাখুলি প্রকাশ করা সুস্থ-সাহিত্যের জন্যে শোভনীয় নয়, যা আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিসরে মনে করি। মৃত্যুর পরেও সাহিত্যিক হিসাবে নাম না হোক- এ কামনাও করি না- হাজার জনমেও আযাহা সুলতান এমন আধুনিকতার পরিধিতে পদ রাখতে পারে না। এটা আমার একান্ত প্রতিজ্ঞা। একবার আমার এক বন্ধু আমাকে কিছু ম্যাগাজিন এনে দিয়ে বলল : বড় লেখার মাষ্টার হয়েছস দেখছি, এগুলোর মতো করে লেখ......তারপর দেখিস, রাতের মধ্যে নাম কি......আমি হেসে বললাম, চল পতিতালয়ে যাই। আমি ওখানে যেতে রাজি, কিন্তু তোর বই পড়া বা লেখা আমার দশ জনমেও সম্ভবপর হবে না। ও ত রীতিমতো আশ্চর্য। বলিস কি! আমি বললাম, ওখানে আমার কিছু দেখার চাই........আপনার প্রতি সহানুভূতি বেড়ে গেল......সীমাহীন ধন্যবাদ......
Azaha Sultan আমি যখন এ মন্তব্য লেখা শুরু করি তখন কারও উপস্থিতি ছিল না, অর্থাৎ- শূন্যখাতা.....এখন দেখি, আমি অনেকের পিছে......দেখেন ত মামুন ভাই, আমি কত পিছে থাকি....হাহাহা
পাঁচ হাজার ঠিক এমন করে যদি এই বিচারক পর্ষদ প্রতি সংখ্যার দু'একটা গল্প কবিতার গভীরে নিয়ে যেতে পারতেন আমাদের! আহা কত যে ভাল হতো। আপনার আলোচনায় উপন্যাসের মন্দ-ভালো দুটো দিকই আছে দেখে মনে হচ্ছে আপনি সত্যিই একজন মনযোগী পাঠক। সে হিসাবে যোগ্য আলোচনাই হয়েছে। দেখি একটা খুন করতে পারি কি না। তবে এমপিইজির এ যুগে ৭০-৯০দশকের এমন রগরগে কাহিনীর পাঠক আকর্ষণ এখন অলিক ধারণা মাত্র।
মামুন ম. আজিজ প্রচ্ছদটি দেখুন। অবাক হয়েচি ধ্রুব এষ কেমন করে এমন একটা সস্তা প্রচ্ছদ করলেন?
পাঁচ হাজার এখানে প্রচ্ছদ শিল্পীর কোন অযাচিত হস্তক্ষেপ দেখিনা। লেখক যখন মনস্তাত্বিক জোর খাটান তখন যে কোন শিল্পীই এমন দৃশ্য আকবেন। অন্তত উপন্যাসের প্রেক্ষাপট/বিষয় বিবেচনায় নিলে এমন হতেই পারে।
তির্থক আহসান রুবেল রগরগে বর্ণনাকে খারাপ করে দেখার কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে প্রথম কথা: মামুন ভাইয়ের লেখাটা ভাল লেগেছে। এবার যুদ্ধে আসি। লেখককে কখনই কোন ডিকশনারীতে আটকানো উচিত না। রেকক লেখবে তার মতো। গ্রহণ করাটা যার যার ইচ্ছে। সেক্স, শরীর, রগরগে, যৌনতা এসবকে নিষিদ্ধ কিংবা মন্দ হিসেবে দেখতে চাইলে সাহিত্যের জন্য একটা সংবিধান এবং একটা ডিকশনারী আমদানী করতে হবে। যেখানে লেখক কোনভাবেই সেই নিয়মের বাইরে এবং সেই সব শব্দের বাইরে যেতে পারবে না। গেলেই তার লেখক হিসেবে পাওয়া লাইসেন্স বাতিল করা হবে।.... এটা নিশ্চয় ভাবা যায় না...... শেষ কথা। আপনারা কি দয়া করে 'কষ্ট' সংখ্যায় আমার লেখা 'এটা কোন গল্প নয়' শিরোনামের গল্পটা আরেকবার পড়বেন???? অনেক অনেক ঘৃণা উপহার পেয়েছিলাম সে লেখাটি থেকে.... তবুও আমি আজো ধারণা করি, আমার লেখা অন্যতম সেরা লেখা সেটি.... ধন্যবাদ
মামুন ম. আজিজ তির্থক, কোন লেখকের ভাষা ব্যবহার নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই। পাঠক সেটা বিচার করে নেবে। কোন পাঠক কতটুকু কাটছাট আর কতটুকু পরিপাটি করে কোন ঘটনার বর্নানা বুঝে নিতে পারে কিংবা বুছতে চায় সেটাও পাঠক নিজেই ঠিক করে নেবে। ..লেখক নিজ স্টাইলএ লিখে যাবে। সে কারনে সব লেখক সবার কাছৈ সমান সমাদর পাবেনা, পায়ওনা। ...তাই বলে লেখক অ লেখক হয়ে যাবেনা। ...আমি কোন উপসংহার কিন্তু টানিনি, আমি কেবল আলোচনা করেছি একটি বইয়ের ভেতকার স্পষ্টতা নিয়ে। লেখক মনি হায়দার আমাদের নিয়ে কটুক্তি বা বেশী উষ্মা প্রকাশ করাটা তার একটা অসাদাচরণ মনে হয়েছে তাই তার অবস্থান এবং স্টাইলটা একটু আলোচনা করেত চাইলাম । .........লেখক কেউ ..সেক্স দৃশ্যকে অনেক সরলতায় , সহজ সংক্ষেপেও পাঠককে বোঝাতে পারবে, আবার কেউ বেশ কঠিন করে , আবার কেউ একদম শীৎকারের প্রতিটি পলপল তুলে ধরে, প্রতিটি মুহূর্ত ধরে ধরে এগিয়ে পাঠককে বোঝাতে চাইবে। এখন পাঠক কারটা গ্রহণ করবে সেটা পাঠকের ব্যাপার। কিন্তু লেখক এই ধরনের মধ্যে কোন একটা যদি বলে , আমার স্টাইলটাই আধুনিক, তখন রাগটা চলে আসে। এটাই আমার ভাবার বিষয়।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) @রুবেল ভাই: প্রথম কথা হলো কষ্ট সংখ্যা ওই শিরোনামে আপনার কোনো লেখা নেই. শুধু কষ্ট কেন কোনো সন্খাতেই নেই. আমি তো কয়েকবার দেখে এলাম. যাই হোক, আপনার কথাতেই আসি, সাহিত্তে স্বাধীনতা মানে যদি হয় যে খুশি তাই, তাহলে সাহিত্তে মূল্যায়নের আর দরকার কি? সবাই তাহলে রাজা. তাহলে আর এত কষ্ট করে বাছাবাছি করা দরকার কি? সাহিত্য মানুষকে অনেক কিছুই দিতে পারে. অনেক আগে থেকেই দিয়ে আসছে. সেক্ষেত্রে একজন সাহিত্যিককেও অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রেখেই লেখা উচিত. একজন লেখন আজে বাজে যৌনদৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে লিখে দিল, আমরা সবাই মিলে তাকে বাহ বাহ দিলাম, তো সমাজ এখান থেকে কি পেল? যথেচ্ছা যৌনাচার তাই না? আশাকরি ভেবে দেখবেন. সাহিত্য মানেই লাগাম ছাড়া কথার বুলি নয়. তাহলে তো বলতে হয় রসময় গুপ্ত একজন মহান সাহিত্যিক. অবস্য আমাদের মনি হায়দার সাহেব উনার চাইতে কোনো অংশে কম গেলেন না. আমার মতামতের জন্য আমি নিতান্তই দুক্ষিত.
তির্থক আহসান রুবেল ক্ষমা প্রার্থী,... আমার গল্পটার নাম ছিল 'মেয়ে তোমার মন খারাপ কেন?'
তির্থক আহসান রুবেল মামুন ভাই, আমি কিন্তু আপনার লেখাটা নিয়ে নেগেটিভ ভাবছি না..... আপনার লেখা এবং ভাবনা দুটোই পজেটিভ। কিন্তু কিছু কিছু মন্তব্য দেখে আমার মনে হয়েছে অনেকে শুধুমাত্র চিৎকার করার জন্য চিৎকার করছে......
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) কার মন্তব্য দেখে আপনার এমন মনে হলো যে শুধু চিত্কার করছে? @রুবেল ভাই
জাকিয়া জেসমিন যূথী মনি হায়দার এর বইটি পড়ি নাই। এরকম রগরগে কাহিনী বর্ণিত লেখা পড়ার ইচ্ছেও নেই। তবে, আপনি নামী লেখক বা বোদ্ধা সমালোচক না হলেও বর্ণনা ভালো লিখেছেন। (আমি লেখক না হতে পারি, অন্তত অনেক নামী-দামী-সস্তা নতুন পুরাতন লেখকের লেখা পড়েছি। সেই ধারনা থেকেই এখানে কমেন্ট দিলাম।)

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

মার্চ ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i